ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে প্যানেল আলোচনায় কর্তৃপক্ষের বাধা

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২ বার পঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মিলনায়তনে সভা আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার পর শেষ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি বাতিল করায় আলোচনা সভা করতে পারেনি আয়োজকেরা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘জাতীয় পাঠ্যক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?’ শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এই সভার আয়োজন করে।

আলোচক ও শ্রোতারা মিলনায়তনের সামনে জড়ো হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বশির আয়োজকদের ফোন করে আলোচনা সভা না করার কথা জানান।

আলোচনা সভার অনুমতি বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল বশির বলেন, “তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি দুপুর ২টায় জানতে পারি যে, এই কর্মসূচি রাষ্ট্র, সরকার এবং আমাদের জাতির ক্ষতি করতে পারে। এ জন্য আমি আয়োজকদের ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন অন্য কোথাও আয়োজন করেন।”

এদিকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, “আমরা নতুন পাঠ্যক্রমের ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। যারা এ ধরনের সাধারণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় তারা রাষ্ট্রের কল্যাণ চায় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর যে নতুন পাঠ্যক্রম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা একটি ফাঁকা গুলি ছাড়া আর কিছুই নয়।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, “নতুন পাঠ্যসূচিতে ৩০ শতাংশ বিজ্ঞান কার্যক্রম রাখা হয়েছে এবং বাকিগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও গণিত বাদ দিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো কারিগরি শিক্ষার অংশ হতে পারে, মূলধারার নয়। এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই প্রশাসক ও নির্বাহীদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।”

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে প্যানেল আলোচনায় কর্তৃপক্ষের বাধা

আপডেট সময় : ০৭:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মিলনায়তনে সভা আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার পর শেষ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি বাতিল করায় আলোচনা সভা করতে পারেনি আয়োজকেরা।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘জাতীয় পাঠ্যক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?’ শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এই সভার আয়োজন করে।

আলোচক ও শ্রোতারা মিলনায়তনের সামনে জড়ো হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বশির আয়োজকদের ফোন করে আলোচনা সভা না করার কথা জানান।

আলোচনা সভার অনুমতি বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল বশির বলেন, “তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি দুপুর ২টায় জানতে পারি যে, এই কর্মসূচি রাষ্ট্র, সরকার এবং আমাদের জাতির ক্ষতি করতে পারে। এ জন্য আমি আয়োজকদের ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন অন্য কোথাও আয়োজন করেন।”

এদিকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, “আমরা নতুন পাঠ্যক্রমের ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। যারা এ ধরনের সাধারণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় তারা রাষ্ট্রের কল্যাণ চায় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর যে নতুন পাঠ্যক্রম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা একটি ফাঁকা গুলি ছাড়া আর কিছুই নয়।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, “নতুন পাঠ্যসূচিতে ৩০ শতাংশ বিজ্ঞান কার্যক্রম রাখা হয়েছে এবং বাকিগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও গণিত বাদ দিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো কারিগরি শিক্ষার অংশ হতে পারে, মূলধারার নয়। এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই প্রশাসক ও নির্বাহীদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।”

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী অংশ নেন।

Facebook Comments Box