ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

বৃষ্টিতে সীমাহীন কষ্টে গাজার বাস্তুচ্যুতরা

সারাবেলার সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫০ বার পঠিত

বৃষ্টির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে অনেকগুলো তাঁবু পানিতে ডুবে গেছে

যুফদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শীতকালের বৃষ্টি হয়েছে। এতে করেই সেখানে শীত বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দুর্ভোগও। বৃষ্টি গাজার বাস্তুচ্যুতদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের জেরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা। জনাকীর্ণ সংকীর্ণ জায়গায় তাঁবু করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তবে, শীতকালের বৃষ্টি সেই জীবনকেও আরও দুর্বিষহ করে তুলছে।

বাড়ি হারিয়ে তাঁবুতে ঠাঁই মিলেছে গাজার বাসিন্দা আজিজা আল-সাবাওয়ারির। বৃষ্টিতে তাদের তাঁবুতে পানি ঢুকে পড়েছে। সেই পানি বের করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সী এই মা বলেন, ‘শীতে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার মেয়ের পায়ে কোনো জুতা নেই। মনে হচ্ছে, আমরা ভিক্ষুক। কেউ আমাদের কথা চিন্তা করে না। কেউ সাহায্য করে না।’

বৃষ্টির জেরে গাজার তাপমাত্রা রাতারাতি অনেক কমে গেছে। আর রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও নিচে নামে। বৃষ্টির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে অনেকগুলো তাঁবু পানিতে ডুবে গেছে। ভালো আশ্রয় না পেয়ে অনেকে প্লাস্টিকের চাদরের নিচে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছে।

গত দুই মাসে যুদ্ধের জেরে গাজার ১৯ লাখ লোক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তাদের মধ্যে একজন আজিজা আল-সাবাওয়ারি। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশে গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা দক্ষিণ গাজার রাফাহ সীমান্তে অবস্থান করছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বাস করতো আজিজা আল-সাবাওয়ারি। তবে, তাকে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে পরিবারসহ আশ্রয় নেন এই মা। এরপর জোরপূর্বক পরিবারটিকে রাফা সীমান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা বলছে, মিসর সীমান্তের পাশের শহর রাফাহ বাস্তুচ্যুতদের একটি বিশাল শিবিরে পরিণত হয়েছে, যেখানে কাঠ এবং প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করে শত শত তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বৃষ্টিতে সীমাহীন কষ্টে গাজার বাস্তুচ্যুতরা

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

যুফদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শীতকালের বৃষ্টি হয়েছে। এতে করেই সেখানে শীত বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দুর্ভোগও। বৃষ্টি গাজার বাস্তুচ্যুতদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের জেরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা। জনাকীর্ণ সংকীর্ণ জায়গায় তাঁবু করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। তবে, শীতকালের বৃষ্টি সেই জীবনকেও আরও দুর্বিষহ করে তুলছে।

বাড়ি হারিয়ে তাঁবুতে ঠাঁই মিলেছে গাজার বাসিন্দা আজিজা আল-সাবাওয়ারির। বৃষ্টিতে তাদের তাঁবুতে পানি ঢুকে পড়েছে। সেই পানি বের করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সী এই মা বলেন, ‘শীতে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার মেয়ের পায়ে কোনো জুতা নেই। মনে হচ্ছে, আমরা ভিক্ষুক। কেউ আমাদের কথা চিন্তা করে না। কেউ সাহায্য করে না।’

বৃষ্টির জেরে গাজার তাপমাত্রা রাতারাতি অনেক কমে গেছে। আর রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও নিচে নামে। বৃষ্টির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে অনেকগুলো তাঁবু পানিতে ডুবে গেছে। ভালো আশ্রয় না পেয়ে অনেকে প্লাস্টিকের চাদরের নিচে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছে।

গত দুই মাসে যুদ্ধের জেরে গাজার ১৯ লাখ লোক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তাদের মধ্যে একজন আজিজা আল-সাবাওয়ারি। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশে গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা দক্ষিণ গাজার রাফাহ সীমান্তে অবস্থান করছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বাস করতো আজিজা আল-সাবাওয়ারি। তবে, তাকে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে পরিবারসহ আশ্রয় নেন এই মা। এরপর জোরপূর্বক পরিবারটিকে রাফা সীমান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা বলছে, মিসর সীমান্তের পাশের শহর রাফাহ বাস্তুচ্যুতদের একটি বিশাল শিবিরে পরিণত হয়েছে, যেখানে কাঠ এবং প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করে শত শত তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
Facebook Comments Box