ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় বাংলাদেশকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৫ বার পঠিত

বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার (ইউএস) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড়ের অনুমোদনের সময় বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সংস্থাটি স্বল্পমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সতর্ক মুদ্রানীতির পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালার সমর্থন হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয় রাজস্ব নীতি গ্রহণের কথা বলেছে। এ ছাড়া, বাহ্যিক ধাক্কার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি এসব পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।

ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কিস্তি ছাড়ের পর দেশের অর্থনীতির মূল্যায়ন করে সংস্থাটি যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে তারা এসব কথা বলেছে।

বাংলাদেশের মুদ্রানীতি কাঠামো আরও আধুনিকীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের প্রশংসা করে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুদ্রানীতি আধুনিক হলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব শক্তিশালী হবে।

একক বিনিময় হার গ্রহণের মুদ্রার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ধীরে ধীরে আরও নমনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে অর্থনীতিতে বাহ্যিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

আইএমএফের ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ব্যবস্থার অধীনে এবং ২২ কোটি ১৫ লাখ ডলার আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে দেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদিত ইসিএফ/ইএফএফ এবং আরএসএফ ব্যবস্থার পরিমাণ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়েছিল।

আইএমএফ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনের সময় দুর্বলদের সুরক্ষার জন্য অনৈক্যজনিত সমন্বয় রোধে সহায়তা করেছে।”

সমসাময়িক আরএসএফ ব্যবস্থা ইসিএফ/ইএফএফ এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থানগুলোকে পরিপূরক করেছে। আইএমএফ বলেছে, এই তহবিল অতিরিক্ত অর্থায়নকে অনুপ্রাণিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় বাংলাদেশকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে

আপডেট সময় : ১১:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার (ইউএস) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড়ের অনুমোদনের সময় বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সংস্থাটি স্বল্পমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সতর্ক মুদ্রানীতির পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালার সমর্থন হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয় রাজস্ব নীতি গ্রহণের কথা বলেছে। এ ছাড়া, বাহ্যিক ধাক্কার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি এসব পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।

ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কিস্তি ছাড়ের পর দেশের অর্থনীতির মূল্যায়ন করে সংস্থাটি যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে তারা এসব কথা বলেছে।

বাংলাদেশের মুদ্রানীতি কাঠামো আরও আধুনিকীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের প্রশংসা করে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুদ্রানীতি আধুনিক হলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব শক্তিশালী হবে।

একক বিনিময় হার গ্রহণের মুদ্রার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ধীরে ধীরে আরও নমনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে অর্থনীতিতে বাহ্যিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

আইএমএফের ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের মধ্যে প্রায় ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ব্যবস্থার অধীনে এবং ২২ কোটি ১৫ লাখ ডলার আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে দেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদিত ইসিএফ/ইএফএফ এবং আরএসএফ ব্যবস্থার পরিমাণ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়েছিল।

আইএমএফ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনের সময় দুর্বলদের সুরক্ষার জন্য অনৈক্যজনিত সমন্বয় রোধে সহায়তা করেছে।”

সমসাময়িক আরএসএফ ব্যবস্থা ইসিএফ/ইএফএফ এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থানগুলোকে পরিপূরক করেছে। আইএমএফ বলেছে, এই তহবিল অতিরিক্ত অর্থায়নকে অনুপ্রাণিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

Facebook Comments Box