ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ঝুকি নিয়ে রেললাইনের পাশে গরম কাপড়ের দোকান,দুর্ঘটনার আশংকা স্থানীয়দের

সৈয়দপুর( নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ৪৩ বার পঠিত

শীত মৌসুমে সৈয়দপুরের রেললাইনের পাশে জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। একারনে গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রেললাইন পার হতে গিয়ে এক কাসা পিতল ব্যবসায়ির মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও স্হানীয় প্রসাশন অবৈধ ওইসব দোকান পাট উচ্ছেদের কোন প্রকার উদ্দ্যাগই নিচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার লোক মারফত ও পৌরসভার নাম করে দৈনিক হারে ওইসব দোকান থেকে অর্থ আদায় করায় প্রানহানির কথা আমলেই নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।

শহরের পুরাতন বাবু পাড়ার ফিরোজ আহমেদ বলেন শীত মৌসুমে অনেক ব্যবসায়ি রেললাইন সংলগ্ন পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করেন।একারনে নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম ঘটে রেললাইন এলাকায়। তবে যেকোনো সময়ে যে প্রান হানি ঘটতে পারে তা কেউই ভেবে দেখছেন না। আর একারণেই ৩ ডিসেম্বর দুপুরে ট্রেনের নিচে দ্বিখণ্ডিত হয়ে এক ব্যবসায়ির মৃত্যু ঘটে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইন এলাকার সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

রেললাইন এলাকায় পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ি অশেষ বলেন, আমরা আসলেই জিবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছি।কিন্তু কি আর করা বলুন, বড় ব্যবসা করার পুজি নাই বলে সামান্য পুজি নিয়ে শুধু মাত্র সংসার চালাতেই জিবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করা। তিনি বলেন, বাজারে একেকটি দোকান ভাড়া ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেখানে রেললাইনের পাশে দোকান বসালে ষ্টেশন মাষ্টারের লোকদের প্রতিদিন ৫০ টাকা, রেলওয়ে পুলিশের লোকদের ৫০ টাকা, পৌরসভার লোকদের ৩০ টাকা ও ক’জন সাংবাদিক পরিচয়ে আসা যুবকদের ৫০ টাকা দিলেই হয়ে যায়।

সবুজ নামের একজন ট্রেন চালক জানান,সৈয়দপুর শহরের পাঁচ মাথা মোড় থেকে রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের পাষ ঘেঁষে বসেছে অসংখ্য দোকানপাট। এরফলে সাবধানে ও ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করতে হয়।পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও রেললাইন এলাকায় অসংখ্য দোকানপাট থাকার কারনে সতর্কতার সঙ্গে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করতে হচ্ছে। রেললাইন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হলে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা মিলবে না জানান তিনি।

সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, যারা ষ্টেশন মাষ্টারের কথা বলে অবৈধ দখলদারদের কাছে থেকে টাকা নিচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদারদেরও উচ্ছেদ করতে উপর মহলের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, রেললাইন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হলে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা মিলবে না ও মন্তব্য করেন তিনি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঝুকি নিয়ে রেললাইনের পাশে গরম কাপড়ের দোকান,দুর্ঘটনার আশংকা স্থানীয়দের

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

শীত মৌসুমে সৈয়দপুরের রেললাইনের পাশে জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। একারনে গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রেললাইন পার হতে গিয়ে এক কাসা পিতল ব্যবসায়ির মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও স্হানীয় প্রসাশন অবৈধ ওইসব দোকান পাট উচ্ছেদের কোন প্রকার উদ্দ্যাগই নিচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার লোক মারফত ও পৌরসভার নাম করে দৈনিক হারে ওইসব দোকান থেকে অর্থ আদায় করায় প্রানহানির কথা আমলেই নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।

শহরের পুরাতন বাবু পাড়ার ফিরোজ আহমেদ বলেন শীত মৌসুমে অনেক ব্যবসায়ি রেললাইন সংলগ্ন পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করেন।একারনে নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম ঘটে রেললাইন এলাকায়। তবে যেকোনো সময়ে যে প্রান হানি ঘটতে পারে তা কেউই ভেবে দেখছেন না। আর একারণেই ৩ ডিসেম্বর দুপুরে ট্রেনের নিচে দ্বিখণ্ডিত হয়ে এক ব্যবসায়ির মৃত্যু ঘটে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইন এলাকার সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

রেললাইন এলাকায় পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ি অশেষ বলেন, আমরা আসলেই জিবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছি।কিন্তু কি আর করা বলুন, বড় ব্যবসা করার পুজি নাই বলে সামান্য পুজি নিয়ে শুধু মাত্র সংসার চালাতেই জিবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করা। তিনি বলেন, বাজারে একেকটি দোকান ভাড়া ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেখানে রেললাইনের পাশে দোকান বসালে ষ্টেশন মাষ্টারের লোকদের প্রতিদিন ৫০ টাকা, রেলওয়ে পুলিশের লোকদের ৫০ টাকা, পৌরসভার লোকদের ৩০ টাকা ও ক’জন সাংবাদিক পরিচয়ে আসা যুবকদের ৫০ টাকা দিলেই হয়ে যায়।

সবুজ নামের একজন ট্রেন চালক জানান,সৈয়দপুর শহরের পাঁচ মাথা মোড় থেকে রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের পাষ ঘেঁষে বসেছে অসংখ্য দোকানপাট। এরফলে সাবধানে ও ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করতে হয়।পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও রেললাইন এলাকায় অসংখ্য দোকানপাট থাকার কারনে সতর্কতার সঙ্গে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করতে হচ্ছে। রেললাইন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হলে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা মিলবে না জানান তিনি।

সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, যারা ষ্টেশন মাষ্টারের কথা বলে অবৈধ দখলদারদের কাছে থেকে টাকা নিচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদারদেরও উচ্ছেদ করতে উপর মহলের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, রেললাইন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হলে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা মিলবে না ও মন্তব্য করেন তিনি।

Facebook Comments Box