ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পিকআপে রাখা মাছের পানি পড়ে প্রধান সড়কে খানা খন্দের সৃষ্টি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ৮২ বার পঠিত

পিক-আপ থেকে মাছের পানি পড়ে প্রধান সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের। গতকাল শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে গিয়ে এমনই চিত্র চোখে পড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কের মদীনা মোড় সংলগ্ন মাছ বাজারের সামনে দাড়িয়ে আছে ৩০/৩৫টি মাছ বাহী পিকআপ। ওই পিকআপে মাছ জীবিত রাখার জন্য মোটা পলিথিন দিয়ে করা হয়েছে জলাধার।একই সাথে ওই পানিতে পানির ঢেউ তুলে মাছ জীবিত রাখতে বসানো হয়েছে যান্ত্রিক মোটর।এর পর ওই মাছ আনলোড করার সময় পিকআপ এর সব পানিই পরছে রাস্তায়। কিন্তু রাস্তাটির পাশ দিয়ে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্হা না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা থাকছে জলাবদ্ধতায়।

এ নিয়ে কথা হয় মাছ ব্যবসায়ি বাবলুর সাথে, তিনি বলেন, বাইরে থেকে পিকআপ করে মাছ আমদানি করলে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক ছাড়া অন্য খানে আনলোড করার ব্যবস্হা নেই। শুধু মাত্র পানি নিস্কাসন ব্যবস্হা না থাকার কারনেই মাছের পানি রাস্তায় পড়ে জমে থাকছে।পৌরসভাকে এবিষয়ে অবগত করার পরেও কোন ব্যবস্হাই নিচ্ছেন না, অথচ পিকআপ প্রতি ১৫০/১৬০ টাকা আদায় করছেন ঠিকই।

বাদল নামের অপর এক ব্যবসায়ী জানান,নীলফামারী জেলার সব চেয়ে বড় মাছের আড়ত হলো সৈয়দপুর। একারনে প্রায় প্রতিদিনই ২৫/৩০ টিপিকআপ ভর্তি মাছ আসে সৈয়দপুরে এবং এখান থেকে সরবরাহ করা হয় সবখানে।

মাছ জীবিত রেখে আমদানি করতে গেলে পিক-আপে পানি রাখতেই হবে এ মাছ আনলোড করার সময় পানি রাস্তায় পড়বেই। যদি এই সড়কে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্হা থাকতো তাহলে রাস্তায় পানি জমে থাকতো না এবং রাস্তাও নষ্ট হতো না।আসলে ওই রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পানি৷ জমে থাকার পর অন্য কোন যানবাহন চলাচল করার সময় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সকলেই।

ওই আড়তে মাছ কিনতে আসা ক’জন ক্রেতা বলেন,শুধু মাত্র এই রাস্তাটিই নয় শহরের প্রায় সব কটি রাস্তারই বেহাল অবস্থা। তারা বলেন,বর্তমান মেয়রের পৌরসভার দায়িত্বে আছেন প্রায় সারে ৩ বছর পেরিয়েছে।

এই ৩ বছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন ১৩১ কোটি টাকা, দ্বিতীয় বছর ১৭১ কোটি টাকা এবং চলতি বছরে বাজেট ঘোষণা করেন ১৫৯ কোটি টাকা। এই বাজের শহরের উন্নয়নে করা হলেও চোখে পড়ার মত কোন উন্নয়নই দেখতে পায়নি সৈয়দপুর বাসী।

তবে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, মাছের গাড়ির পানি পড়ে নষ্ট হওয়া রাস্তাটির কিছু অংশ সংস্কার করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সব কটি রাস্তাই সংস্কার করা হবে বলে তিনি সাংবাদিক দের জানান।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

পিকআপে রাখা মাছের পানি পড়ে প্রধান সড়কে খানা খন্দের সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

পিক-আপ থেকে মাছের পানি পড়ে প্রধান সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের। গতকাল শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে গিয়ে এমনই চিত্র চোখে পড়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কের মদীনা মোড় সংলগ্ন মাছ বাজারের সামনে দাড়িয়ে আছে ৩০/৩৫টি মাছ বাহী পিকআপ। ওই পিকআপে মাছ জীবিত রাখার জন্য মোটা পলিথিন দিয়ে করা হয়েছে জলাধার।একই সাথে ওই পানিতে পানির ঢেউ তুলে মাছ জীবিত রাখতে বসানো হয়েছে যান্ত্রিক মোটর।এর পর ওই মাছ আনলোড করার সময় পিকআপ এর সব পানিই পরছে রাস্তায়। কিন্তু রাস্তাটির পাশ দিয়ে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্হা না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা থাকছে জলাবদ্ধতায়।

এ নিয়ে কথা হয় মাছ ব্যবসায়ি বাবলুর সাথে, তিনি বলেন, বাইরে থেকে পিকআপ করে মাছ আমদানি করলে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক ছাড়া অন্য খানে আনলোড করার ব্যবস্হা নেই। শুধু মাত্র পানি নিস্কাসন ব্যবস্হা না থাকার কারনেই মাছের পানি রাস্তায় পড়ে জমে থাকছে।পৌরসভাকে এবিষয়ে অবগত করার পরেও কোন ব্যবস্হাই নিচ্ছেন না, অথচ পিকআপ প্রতি ১৫০/১৬০ টাকা আদায় করছেন ঠিকই।

বাদল নামের অপর এক ব্যবসায়ী জানান,নীলফামারী জেলার সব চেয়ে বড় মাছের আড়ত হলো সৈয়দপুর। একারনে প্রায় প্রতিদিনই ২৫/৩০ টিপিকআপ ভর্তি মাছ আসে সৈয়দপুরে এবং এখান থেকে সরবরাহ করা হয় সবখানে।

মাছ জীবিত রেখে আমদানি করতে গেলে পিক-আপে পানি রাখতেই হবে এ মাছ আনলোড করার সময় পানি রাস্তায় পড়বেই। যদি এই সড়কে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্হা থাকতো তাহলে রাস্তায় পানি জমে থাকতো না এবং রাস্তাও নষ্ট হতো না।আসলে ওই রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পানি৷ জমে থাকার পর অন্য কোন যানবাহন চলাচল করার সময় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সকলেই।

ওই আড়তে মাছ কিনতে আসা ক’জন ক্রেতা বলেন,শুধু মাত্র এই রাস্তাটিই নয় শহরের প্রায় সব কটি রাস্তারই বেহাল অবস্থা। তারা বলেন,বর্তমান মেয়রের পৌরসভার দায়িত্বে আছেন প্রায় সারে ৩ বছর পেরিয়েছে।

এই ৩ বছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন ১৩১ কোটি টাকা, দ্বিতীয় বছর ১৭১ কোটি টাকা এবং চলতি বছরে বাজেট ঘোষণা করেন ১৫৯ কোটি টাকা। এই বাজের শহরের উন্নয়নে করা হলেও চোখে পড়ার মত কোন উন্নয়নই দেখতে পায়নি সৈয়দপুর বাসী।

তবে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, মাছের গাড়ির পানি পড়ে নষ্ট হওয়া রাস্তাটির কিছু অংশ সংস্কার করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সব কটি রাস্তাই সংস্কার করা হবে বলে তিনি সাংবাদিক দের জানান।

Facebook Comments Box