ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মাত্র ২০০ টাকা না দেয়ায় যুবক খুন পাবনায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩ ৪৯ বার পঠিত

মাত্র ২০০ টাকা না দেওয়ায় পাবনায় রিপন হোসেন(২১) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী হৃদয় হোসেন। এ ঘটনার পর থেকে হৃদয় হোসেন পলাতক থাকলেও গত সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার আশুলিয়ায় ক্যারামবোর্ড খেলার একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় হোসেন (২২) পাবনার আতাইকুলা থানার ভবানীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রজিম উদ্দিনের ছেলে। নিহত রিপন হোসেন একই গ্রামের খোরশেদ মোল্লার ছেলে।
তৌহিদুল মবিন খান জানান,স্থানীয় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আতাইকুলা থানার ভবানীপুর পূর্ব পাড়া কতিপয় ছেলেরা চাঁদা তুলে টিন ও বাঁশ দিয়ে একটি ক্লাব ঘর তৈরী করে। এই ক্লাব ঘর তৈরীতে নিহত রিপন ৫০০ টাকা এবং হত্যাকারী হৃদয় ২০০ টাকা দেয়।পরবর্তীতে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে ঘটনার অনুমান ১ মাস পূর্বে রিপনের সাথে হৃদয়ের চাচাতো ভাই আয়নালের ব্যক্তিগত দ্বন্দ হ্ওয়ার কারনে ক্লাব ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। নিহত রিপন ক্লাবের ভাঙ্গা অংশ টিন, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে যেতে চাইলে হৃদয়, হৃদয়ের ভাই তালেব এবং চাচাতো ভাই আয়নাল ও মুনসুর, রিপনকে হৃদয়ের ২০০ টাকা দিতে বলে। রিপন পরে টাকা দিবে বললে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারির উপক্রম হয়।এ সময় হৃদয়ের মা মারামরি ঠেকাতে গেলে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে বাম হাতে আঘাত পায়। এরই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রিপনকে মারার উদ্দেশ্য হৃদয় স্থানীয় কামার দিয়ে একটি ধারালো হাঁসুয়া তৈরী করে এবং সুযোগ খুঁজতে থাকে।

এরই মধ্যে গত ১২ জুলাই, ২০২৩ তারিখ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজমিস্ত্রী রিপন হোসেনকে হাঁসুয়া দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিবেশি ভাতিজা হৃদয়। ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত রিপনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও অবস্থা গুরুতর হলে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ঘটনার ১২ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিপন। এ ঘটনায় রিপনের বাবা খোরশেদ মোল্লা বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত হৃদয়। পরে গত ১৪ আগস্ট র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আতাইকুলা থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

মাত্র ২০০ টাকা না দেয়ায় যুবক খুন পাবনায়

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

মাত্র ২০০ টাকা না দেওয়ায় পাবনায় রিপন হোসেন(২১) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী হৃদয় হোসেন। এ ঘটনার পর থেকে হৃদয় হোসেন পলাতক থাকলেও গত সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার আশুলিয়ায় ক্যারামবোর্ড খেলার একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত হৃদয় হোসেন (২২) পাবনার আতাইকুলা থানার ভবানীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রজিম উদ্দিনের ছেলে। নিহত রিপন হোসেন একই গ্রামের খোরশেদ মোল্লার ছেলে।
তৌহিদুল মবিন খান জানান,স্থানীয় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আতাইকুলা থানার ভবানীপুর পূর্ব পাড়া কতিপয় ছেলেরা চাঁদা তুলে টিন ও বাঁশ দিয়ে একটি ক্লাব ঘর তৈরী করে। এই ক্লাব ঘর তৈরীতে নিহত রিপন ৫০০ টাকা এবং হত্যাকারী হৃদয় ২০০ টাকা দেয়।পরবর্তীতে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে ঘটনার অনুমান ১ মাস পূর্বে রিপনের সাথে হৃদয়ের চাচাতো ভাই আয়নালের ব্যক্তিগত দ্বন্দ হ্ওয়ার কারনে ক্লাব ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। নিহত রিপন ক্লাবের ভাঙ্গা অংশ টিন, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে যেতে চাইলে হৃদয়, হৃদয়ের ভাই তালেব এবং চাচাতো ভাই আয়নাল ও মুনসুর, রিপনকে হৃদয়ের ২০০ টাকা দিতে বলে। রিপন পরে টাকা দিবে বললে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারির উপক্রম হয়।এ সময় হৃদয়ের মা মারামরি ঠেকাতে গেলে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে বাম হাতে আঘাত পায়। এরই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রিপনকে মারার উদ্দেশ্য হৃদয় স্থানীয় কামার দিয়ে একটি ধারালো হাঁসুয়া তৈরী করে এবং সুযোগ খুঁজতে থাকে।

এরই মধ্যে গত ১২ জুলাই, ২০২৩ তারিখ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজমিস্ত্রী রিপন হোসেনকে হাঁসুয়া দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিবেশি ভাতিজা হৃদয়। ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত রিপনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও অবস্থা গুরুতর হলে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ঘটনার ১২ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিপন। এ ঘটনায় রিপনের বাবা খোরশেদ মোল্লা বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত হৃদয়। পরে গত ১৪ আগস্ট র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আতাইকুলা থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Facebook Comments Box