ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রেনে সবজি পরিবহন Logo আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি কর্নেল অলির Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ

গাজা ইসরায়েল যুদ্ধের এক মাস: মৃত্যু আর ক্ষুধার বিভীষিকা

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩ ৬৮ বার পঠিত

ইসরাইলের বেপরোয়া বোমা হামলা

গাজা- ইসরায়েলের রক্তাক্ত সংঘাতের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। গত সাতই অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমন করতে থাকে ইসরায়েল।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা এতোটাই তীব্র রূপ নেয় যে, গত এক মাসে ওই উপত্যকায় যতো হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সাতই অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় এখনো পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে গাজার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। হামলা থেকে বাঁচতে সবাই দক্ষিণের পথে পা বাড়ালেও জাতিসংঘ বলছে গাজার কোন জায়গায়ই নিরাপদ নয়। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই এই লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের।

মিশরের সীমান্ত ঘেঁষা রাফাহ ক্রসিংও খোলা হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে অবরুদ্ধ গাজার লাখ লাখ মানুষ এক প্রকার মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

মানবিক বিপর্যয়

সাতই অক্টোবর কী হয়েছিল:
ইহুদীদের বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুকত শেষ হবার পরপরই ৭ই অক্টোবর ভোর থেকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা শুরু করে।

এরিমধ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বেশ কিছু অস্ত্রধারী দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে।

এজন্য শুরুতে তারা সীমান্ত বেষ্টনীতে থাকা পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামে ড্রোন হামলা চালায়। এরপর বিস্ফোরক এবং যানবাহন ব্যবহার করে নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তত ৮০টি জায়গা ভেঙে তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে।

এসব কাজে মোটর চালিত হ্যাং-গ্লাইডার অর্থাৎ অনেকটা প্যারাসুটের মতো দেখতে মানববাহী বাহন এবং মোটরবাইকও ব্যবহার করে তারা।

এভাবে গাজা থেকে হাজারো সশস্ত্র হামাস সদস্য একাধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং আক্রমণ চালাতে শুরু করে। হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে একটি অংশ বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং অন্যরা সামরিক ফাঁড়িগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

এরপর তারা ইসরায়েল থেকে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করে সীমান্তের সুড়ঙ্গ পথগুলো দিয়ে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যায়। অসমর্থিত কিছু ভিডিওতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের ধরে মোটর বাইকে করে গাজার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ কর রকেট তেল আবিবে আঘাত করলে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারি প্রশ্নবিদ্ধ:
হামাসের এত বড় পরিকল্পিত হামলা কিভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে গেল, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।

এক্ষেত্রে ব্যর্থতার কোন ব্যক্তিগত দায়ভার স্বীকার করেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি এ নিয়ে ভীষণ চাপের মধ্যে আছেন।

গত ২৯শে অক্টোবর তার একটা এক্স বার্তা বা সাবেক টুইটার বার্তা আলোচনার ঝড় তোলে। যেখানে তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেন। তবে পরে নেতানিয়াহু টুইটটি মুছে দেন ও ক্ষমা চান।

গাজায় হামলা, তিন স্তরের যুদ্ধ ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পরপরই গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাতে শুরু করে তেল আবিব। গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গাজা সীমান্তে লাখ লাখ পদাতিক সেনা, সাঁজোয়া সেনা, আর্টিলারি সৈন্যদল মোতায়েন করা হয়।

টানা এক সপ্তাহ ধরে গাজায় বিমান হামলার পর, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলার উদ্দেশ্যে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। তবে আনুষ্ঠানিক স্থল অভিযান বা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘোষণা আসে ২৮শে অক্টোবর। অর্থাৎ হামলা শুরুর ২১ দিন পর।

ওইদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন ভাষণে ঘোষণা দেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

নেতানিয়াহু ওই টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমরা যুদ্ধ করব, আমরা স্থলে বা আকাশে কোথাও সৈন্য প্রত্যাহার করব না।”

পশ্চিমা দেশ ও আরব বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের পাশে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গাজায় শরণার্থী শিবিরে হামলা

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই যুদ্ধকে তিন স্তরে ভাগ করার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেছেন, “প্রথম পর্যায়ে অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, হামাসকে পরাজিত ও ধ্বংস করার জন্য তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা।”

“দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনারা, হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের নির্মূল করতে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাবে।”

এবং তৃতীয় পর্যায়ে, “ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হবে,” গ্যালান্ট বলেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, সাতই অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এক হামাস নেতাকে তারা হত্যা করেছে।

বিবিসি যুদ্ধক্ষেত্রে এই নিহত হওয়ার কি খবর এককভাবে যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে হামাস এখনও কোন মন্তব্য করেনি।

এদিকে, গাজায় হামলা অব্যাহত থাকায় হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। হামাস এ পর্যন্ত কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনও বেশিরভাগ তাদের হাতে বন্দি রয়েছে।

নেতানিয়াহু হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন, যারা গাজায় তীব্র হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হামাস মূলত এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির প্রস্তাব দেয়।

কোণঠাসা গাজাবাসী, কোন অংশ নিরাপদ নয় :
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সেনারা গাজায় প্রবেশ করে উপকূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং কার্যতভাবে তারা গাজা উপত্যকাকে উত্তর গাজা এবং দক্ষিণ গাজা, এই দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে।

ইসরায়েল এখন গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে বাসিন্দাদের জন্য একটি ‘করিডোর’ খোলা রেখেছে বলে তিনি জানান। গাজা শহরকে একটি “যুদ্ধক্ষেত্র” ঘোষণা দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কীকরণ লিফলেটও ফেলা হয়েছে।

উত্তর গাজা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হলেও সেখানে এখন সাড়ে তিন থেকে চার লাখ লোক অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গাজার কোন অংশই এখন নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে তারা হামলা আরও জোরদার করবে এবং গাজা উপত্যকা এবং গাজা শহর ঘিরে স্থল অভিযানও আরও শক্তিশালী করা হবে।

এমন অবস্থা দেখে গাজায় অবস্থানরত বিবিসির সংবাদদাতা রুশদী আবু আলুফ মনে করছেন, ইসরায়েলি বাহিনী এভাবে গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করতে চাইছে এবং গাজা শহরকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি হাসপাতালও। অক্টোবরের মাঝামাঝি গাজার আল–আহলি আরব নামের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেইসাথে আল কুদস ও আল শিফা হাসপাতালের আশেপাশেও তারা হামলা চালায়।

মৃত্যুর মিছিল:
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সাতই অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় এখনো পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী ও শিশু। যদিও ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই হিসাব বিশ্বাস করে না।

দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিনি শাখার কর্মকর্তা জেসন লি গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে। সেইসাথে যতো মানুষ আহত হয়েছে তাদের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন শিশু।

এদিকে জাতিসংঘের হিসেবে ২১ মাস আগে রাশিয়ার পুরো মাত্রায় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় ৯৭০০ জন বেসামরিক নাগরিক সেখানে মারা গিয়েছে।

ইসরাইলী হামলায় নিহতের বেশীরভাগই শিশু

সে হিসেবে দেখা যায় রাশিয়ায় ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যতজনকে হত্যা করেছে, ইসরায়েলিরা এই এক মাসে তার চাইতেও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে।

যুদ্ধবিরতি নয়, মানবিক বিরতির প্রস্তাব: যুক্তরাষ্ট্রের, ক্ষুব্ধ আরব বিশ্ব গাজা ও ইসরায়েলের এই নজিরবিহীন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিশ্বে কার্যত দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।

কেউ সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে, আবার কেউ ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে। আবার কারও বক্তব্যে ফুটে উঠেছে ‘নিরপেক্ষ অবস্থানের’ কথা। সবশেষ আরব দেশগুলো গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়।

তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করছে যে যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে, এবং আবারো সাতই অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র গাজায় এখনই কোন যুদ্ধবিরতি চায় না। তবে দেশটি গাজায় একটি মানবিক বিরতির বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি আর মানবিক বিরতির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল মানবিক বিরতি অপেক্ষাকৃত কম সময়ের জন্য কার্যকর হয়। কখনো কয়েক ঘণ্টার জন্যও কার্যকর করা হয়ে থাকে মানবিক বিরতি। শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্যই মানবিক বিরতি আহ্বান করা হয়ে থাকে।

এই মানবিক বিরতির বিষয়ে আরব দেশগুলোর সমর্থন আদায়ে সৌদি আরব, জর্ডান, ইরাক ও তুরস্কে সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

আম্মানে লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে আরব রাষ্ট্রগুলো মানবিক বিরতির পরিবর্তে জরুরী অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব আনেন। এ সময় আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ব্লিংকেন।

নেতানিয়াহু বলেছেন, হামলা চলবে:
মানবিক বিরতির বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথেও বৈঠক করেন ব্লিংকেন। কিন্তু নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হবে না। হামলা চলবে।

হামাসের হামলার একেবারে প্রথম দিন থেকে ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও সেটিতে সমর্থন দিয়েছেন।

তবে তিনি এটাও যুক্ত করেন যে ‘সঠিক পন্থায়’ এটি করতে হবে। যার মানে তিনি বুঝিয়েছেন যে ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিক রক্ষায় যুদ্ধের নীতি মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েন বলেন, তিনি গত ৩০ বছরে ইসরায়েলের সবগুলো যুদ্ধের রিপোর্ট করেছেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

গাজা ইসরায়েল যুদ্ধের এক মাস: মৃত্যু আর ক্ষুধার বিভীষিকা

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

গাজা- ইসরায়েলের রক্তাক্ত সংঘাতের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। গত সাতই অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় ক্রমাগত পাল্টা আক্রমন করতে থাকে ইসরায়েল।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা এতোটাই তীব্র রূপ নেয় যে, গত এক মাসে ওই উপত্যকায় যতো হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সাতই অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় এখনো পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে গাজার অন্তত ২০ লাখ মানুষ। হামলা থেকে বাঁচতে সবাই দক্ষিণের পথে পা বাড়ালেও জাতিসংঘ বলছে গাজার কোন জায়গায়ই নিরাপদ নয়। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই এই লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের।

মিশরের সীমান্ত ঘেঁষা রাফাহ ক্রসিংও খোলা হচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে অবরুদ্ধ গাজার লাখ লাখ মানুষ এক প্রকার মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

মানবিক বিপর্যয়

সাতই অক্টোবর কী হয়েছিল:
ইহুদীদের বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুকত শেষ হবার পরপরই ৭ই অক্টোবর ভোর থেকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা শুরু করে।

এরিমধ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বেশ কিছু অস্ত্রধারী দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে।

এজন্য শুরুতে তারা সীমান্ত বেষ্টনীতে থাকা পর্যবেক্ষণ সরঞ্জামে ড্রোন হামলা চালায়। এরপর বিস্ফোরক এবং যানবাহন ব্যবহার করে নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তত ৮০টি জায়গা ভেঙে তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে।

এসব কাজে মোটর চালিত হ্যাং-গ্লাইডার অর্থাৎ অনেকটা প্যারাসুটের মতো দেখতে মানববাহী বাহন এবং মোটরবাইকও ব্যবহার করে তারা।

এভাবে গাজা থেকে হাজারো সশস্ত্র হামাস সদস্য একাধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং আক্রমণ চালাতে শুরু করে। হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে একটি অংশ বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং অন্যরা সামরিক ফাঁড়িগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

এরপর তারা ইসরায়েল থেকে ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করে সীমান্তের সুড়ঙ্গ পথগুলো দিয়ে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যায়। অসমর্থিত কিছু ভিডিওতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের ধরে মোটর বাইকে করে গাজার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ কর রকেট তেল আবিবে আঘাত করলে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা নজরদারি প্রশ্নবিদ্ধ:
হামাসের এত বড় পরিকল্পিত হামলা কিভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে গেল, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।

এক্ষেত্রে ব্যর্থতার কোন ব্যক্তিগত দায়ভার স্বীকার করেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি এ নিয়ে ভীষণ চাপের মধ্যে আছেন।

গত ২৯শে অক্টোবর তার একটা এক্স বার্তা বা সাবেক টুইটার বার্তা আলোচনার ঝড় তোলে। যেখানে তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেন। তবে পরে নেতানিয়াহু টুইটটি মুছে দেন ও ক্ষমা চান।

গাজায় হামলা, তিন স্তরের যুদ্ধ ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পরপরই গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাতে শুরু করে তেল আবিব। গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গাজা সীমান্তে লাখ লাখ পদাতিক সেনা, সাঁজোয়া সেনা, আর্টিলারি সৈন্যদল মোতায়েন করা হয়।

টানা এক সপ্তাহ ধরে গাজায় বিমান হামলার পর, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলার উদ্দেশ্যে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। তবে আনুষ্ঠানিক স্থল অভিযান বা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘোষণা আসে ২৮শে অক্টোবর। অর্থাৎ হামলা শুরুর ২১ দিন পর।

ওইদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন ভাষণে ঘোষণা দেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

নেতানিয়াহু ওই টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমরা যুদ্ধ করব, আমরা স্থলে বা আকাশে কোথাও সৈন্য প্রত্যাহার করব না।”

পশ্চিমা দেশ ও আরব বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের পাশে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গাজায় শরণার্থী শিবিরে হামলা

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই যুদ্ধকে তিন স্তরে ভাগ করার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেছেন, “প্রথম পর্যায়ে অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, হামাসকে পরাজিত ও ধ্বংস করার জন্য তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা।”

“দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনারা, হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের নির্মূল করতে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাবে।”

এবং তৃতীয় পর্যায়ে, “ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হবে,” গ্যালান্ট বলেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, সাতই অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এক হামাস নেতাকে তারা হত্যা করেছে।

বিবিসি যুদ্ধক্ষেত্রে এই নিহত হওয়ার কি খবর এককভাবে যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে হামাস এখনও কোন মন্তব্য করেনি।

এদিকে, গাজায় হামলা অব্যাহত থাকায় হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। হামাস এ পর্যন্ত কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনও বেশিরভাগ তাদের হাতে বন্দি রয়েছে।

নেতানিয়াহু হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন, যারা গাজায় তীব্র হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হামাস মূলত এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির প্রস্তাব দেয়।

কোণঠাসা গাজাবাসী, কোন অংশ নিরাপদ নয় :
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সেনারা গাজায় প্রবেশ করে উপকূল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং কার্যতভাবে তারা গাজা উপত্যকাকে উত্তর গাজা এবং দক্ষিণ গাজা, এই দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে।

ইসরায়েল এখন গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে বাসিন্দাদের জন্য একটি ‘করিডোর’ খোলা রেখেছে বলে তিনি জানান। গাজা শহরকে একটি “যুদ্ধক্ষেত্র” ঘোষণা দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কীকরণ লিফলেটও ফেলা হয়েছে।

উত্তর গাজা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হলেও সেখানে এখন সাড়ে তিন থেকে চার লাখ লোক অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গাজার কোন অংশই এখন নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে তারা হামলা আরও জোরদার করবে এবং গাজা উপত্যকা এবং গাজা শহর ঘিরে স্থল অভিযানও আরও শক্তিশালী করা হবে।

এমন অবস্থা দেখে গাজায় অবস্থানরত বিবিসির সংবাদদাতা রুশদী আবু আলুফ মনে করছেন, ইসরায়েলি বাহিনী এভাবে গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করতে চাইছে এবং গাজা শহরকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি হাসপাতালও। অক্টোবরের মাঝামাঝি গাজার আল–আহলি আরব নামের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেইসাথে আল কুদস ও আল শিফা হাসপাতালের আশেপাশেও তারা হামলা চালায়।

মৃত্যুর মিছিল:
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সাতই অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় এখনো পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী ও শিশু। যদিও ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই হিসাব বিশ্বাস করে না।

দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিনি শাখার কর্মকর্তা জেসন লি গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে। সেইসাথে যতো মানুষ আহত হয়েছে তাদের প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন শিশু।

এদিকে জাতিসংঘের হিসেবে ২১ মাস আগে রাশিয়ার পুরো মাত্রায় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় ৯৭০০ জন বেসামরিক নাগরিক সেখানে মারা গিয়েছে।

ইসরাইলী হামলায় নিহতের বেশীরভাগই শিশু

সে হিসেবে দেখা যায় রাশিয়ায় ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যতজনকে হত্যা করেছে, ইসরায়েলিরা এই এক মাসে তার চাইতেও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে।

যুদ্ধবিরতি নয়, মানবিক বিরতির প্রস্তাব: যুক্তরাষ্ট্রের, ক্ষুব্ধ আরব বিশ্ব গাজা ও ইসরায়েলের এই নজিরবিহীন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিশ্বে কার্যত দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে।

কেউ সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে, আবার কেউ ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে। আবার কারও বক্তব্যে ফুটে উঠেছে ‘নিরপেক্ষ অবস্থানের’ কথা। সবশেষ আরব দেশগুলো গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়।

তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করছে যে যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হবে, এবং আবারো সাতই অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে পারে সংগঠনটি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র গাজায় এখনই কোন যুদ্ধবিরতি চায় না। তবে দেশটি গাজায় একটি মানবিক বিরতির বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি আর মানবিক বিরতির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল মানবিক বিরতি অপেক্ষাকৃত কম সময়ের জন্য কার্যকর হয়। কখনো কয়েক ঘণ্টার জন্যও কার্যকর করা হয়ে থাকে মানবিক বিরতি। শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্যই মানবিক বিরতি আহ্বান করা হয়ে থাকে।

এই মানবিক বিরতির বিষয়ে আরব দেশগুলোর সমর্থন আদায়ে সৌদি আরব, জর্ডান, ইরাক ও তুরস্কে সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

আম্মানে লেবানন, কাতার, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে আরব রাষ্ট্রগুলো মানবিক বিরতির পরিবর্তে জরুরী অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব আনেন। এ সময় আরব নেতাদের তোপের মুখে পড়েন ব্লিংকেন।

নেতানিয়াহু বলেছেন, হামলা চলবে:
মানবিক বিরতির বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথেও বৈঠক করেন ব্লিংকেন। কিন্তু নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হবে না। হামলা চলবে।

হামাসের হামলার একেবারে প্রথম দিন থেকে ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও সেটিতে সমর্থন দিয়েছেন।

তবে তিনি এটাও যুক্ত করেন যে ‘সঠিক পন্থায়’ এটি করতে হবে। যার মানে তিনি বুঝিয়েছেন যে ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিক রক্ষায় যুদ্ধের নীতি মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েন বলেন, তিনি গত ৩০ বছরে ইসরায়েলের সবগুলো যুদ্ধের রিপোর্ট করেছেন।

Facebook Comments Box