ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’ চালু হচ্ছে আজ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩ ৩০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং ডলার সাশ্রয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’। আজ কার্ডটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ব্যাংকগুলোর সহায়তায় কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্র্যাক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে ‘টাকা পে’। প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে। যা দিয়ে গ্রাহক ভারতে লেনদেন করতে পারবে।

ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা দেয়। দেশীয় কার্ড ‘টাকা পে’ একই সেবা দেবে।

প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এমন নিজস্ব কার্ড আছে, সেগুলো হলো- ভারতের কার্ড ‘রুপে’, পাকিস্তানের ‘পাকপে’, শ্রীলংকার ‘লংকাপে’ ও সৌদি আরবে আছে ‘মাদা’।

এর আগে ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টার বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিল না। এর ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। যে ফি দেওয়া হয় এটা অনেকটা বিদেশে চলে যায়। আমরা ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।’

গভর্নর জানান, এ কার্ড থাকলে গ্রাহকেরা বাংলাদেশে এটিকে ডেবিট কার্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোনো কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন, তখনো এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ১লা নভেম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’ চালু হচ্ছে আজ

আপডেট সময় : ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং ডলার সাশ্রয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’। আজ কার্ডটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ব্যাংকগুলোর সহায়তায় কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্র্যাক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে ‘টাকা পে’। প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে। যা দিয়ে গ্রাহক ভারতে লেনদেন করতে পারবে।

ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা দেয়। দেশীয় কার্ড ‘টাকা পে’ একই সেবা দেবে।

প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এমন নিজস্ব কার্ড আছে, সেগুলো হলো- ভারতের কার্ড ‘রুপে’, পাকিস্তানের ‘পাকপে’, শ্রীলংকার ‘লংকাপে’ ও সৌদি আরবে আছে ‘মাদা’।

এর আগে ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টার বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিল না। এর ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। যে ফি দেওয়া হয় এটা অনেকটা বিদেশে চলে যায়। আমরা ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।’

গভর্নর জানান, এ কার্ড থাকলে গ্রাহকেরা বাংলাদেশে এটিকে ডেবিট কার্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোনো কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন, তখনো এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ১লা নভেম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box