ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

কাদা পানিতে একাকার আবাসন প্রকল্প; বসবাস ও চলাচলে ভোগান্তি।

সৈয়দপুর ( নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১৪৮ বার পঠিত

কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে বসবাস ও চলাচলে ভোগান্তির শিকার সৈয়দপুরের আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের

কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে বসবাস ও চলাচলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সৈয়দপুরের আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। আশ্বিন মাসের ২/৩ দিনের ভারী বর্ষনে ওই এলাকায় হাটুপানি হয়ে তা বেড়িয়ে গেলেও কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে আছে আবাসন প্রকল্পের সড়ক সহ ঘরবাড়ি।  ফলে ভোগান্তির শিকার মানুষজন উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেও লাভ হচ্ছে না বলে জানান প্রকল্পের বাসিন্দারা।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মতির মোড় সংলগ্ন ১০৮ টি ২ রুম বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করা হয়।  সেখানে পর্যায়ক্রমে ভুমিহীন, গৃহহীন ও দরিদ্র পরিবরকে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের প্রায় বছরখানেক ভালো ভাবে বসবাস করলেও চলতি বছরের আশ্বিন মাসে ভারী বর্ষনে আবাসন এলাকার ঘরবাড়ি ও আশপাশ প্রায় ২ ফিট তলিয়ে যায়। এর ২/৪ দিন পর আশপাশ এলাকার পানি শুকিয়ে গেলেও আবাসন এলাকা নিচু হওয়ায় কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এর কারনে সেখানে বসবাস ও চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকার বাসিন্দারা গরীব ও আর্থিক সামর্থ না থাকায় নিচু জায়গা ভরাট করতে পারেনি।
ওই এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম( ৫৫) জানান, আবাসন প্রকল্পে কাঁদা পানি, রাস্তাঘাট নিচু ও বড়বড় গর্ত থাকায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ১/২ মাসের মধ্যে মাটি ভরাট করা না হলে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
একই কথা বলেন দুলালি নামের অপর এক বাসিন্দা, তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন গরীবদের বসবাসের জন্য মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে ঘরবাড়ি দিয়েছেন সত্য কিন্তু কোন খোঁজ খবরই রাখেন না তারা। আশ্বিন মাসে ভারী বর্ষনে আবাসন এলাকা তলিয়ে গিয়ে বর্তমানে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়লেও দেখার যেন কেউই নেই।
তিনি বলেন আবাসন প্রকল্পের স্যানিটেশন ও পানি নিষ্কাসন ব্যাবস্হা নেই বললেই চলে। এছাড়া এই প্রকল্পে যারা বসবাস করেন তারা সকলেই দিনমজুর। আবাসন এলাকা থেকে বের হয়ে কাজের সন্ধানে শহরে যাওয়ার সড়কটিও সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
এবিষয়ে কথা হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ আবু সাঈদ এর সাথে, তিনি বলেন, ওই আবাসন প্রকল্পের পার্শেই আরো ৩০ টি ২ রুম বিশিষ্ট ঘরের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবাসন প্রকল্পের রাস্তা ঘাট ও চলাচলের সড়কে মাটি ভরাট সহ পানি নিষ্কাসন ব্যবস্হা করা হবে।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

কাদা পানিতে একাকার আবাসন প্রকল্প; বসবাস ও চলাচলে ভোগান্তি।

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে বসবাস ও চলাচলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সৈয়দপুরের আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। আশ্বিন মাসের ২/৩ দিনের ভারী বর্ষনে ওই এলাকায় হাটুপানি হয়ে তা বেড়িয়ে গেলেও কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে আছে আবাসন প্রকল্পের সড়ক সহ ঘরবাড়ি।  ফলে ভোগান্তির শিকার মানুষজন উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেও লাভ হচ্ছে না বলে জানান প্রকল্পের বাসিন্দারা।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মতির মোড় সংলগ্ন ১০৮ টি ২ রুম বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করা হয়।  সেখানে পর্যায়ক্রমে ভুমিহীন, গৃহহীন ও দরিদ্র পরিবরকে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের প্রায় বছরখানেক ভালো ভাবে বসবাস করলেও চলতি বছরের আশ্বিন মাসে ভারী বর্ষনে আবাসন এলাকার ঘরবাড়ি ও আশপাশ প্রায় ২ ফিট তলিয়ে যায়। এর ২/৪ দিন পর আশপাশ এলাকার পানি শুকিয়ে গেলেও আবাসন এলাকা নিচু হওয়ায় কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এর কারনে সেখানে বসবাস ও চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকার বাসিন্দারা গরীব ও আর্থিক সামর্থ না থাকায় নিচু জায়গা ভরাট করতে পারেনি।
ওই এলাকার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম( ৫৫) জানান, আবাসন প্রকল্পে কাঁদা পানি, রাস্তাঘাট নিচু ও বড়বড় গর্ত থাকায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ১/২ মাসের মধ্যে মাটি ভরাট করা না হলে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
একই কথা বলেন দুলালি নামের অপর এক বাসিন্দা, তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন গরীবদের বসবাসের জন্য মুজিব শত বর্ষ উপলক্ষে ঘরবাড়ি দিয়েছেন সত্য কিন্তু কোন খোঁজ খবরই রাখেন না তারা। আশ্বিন মাসে ভারী বর্ষনে আবাসন এলাকা তলিয়ে গিয়ে বর্তমানে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়লেও দেখার যেন কেউই নেই।
তিনি বলেন আবাসন প্রকল্পের স্যানিটেশন ও পানি নিষ্কাসন ব্যাবস্হা নেই বললেই চলে। এছাড়া এই প্রকল্পে যারা বসবাস করেন তারা সকলেই দিনমজুর। আবাসন এলাকা থেকে বের হয়ে কাজের সন্ধানে শহরে যাওয়ার সড়কটিও সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
এবিষয়ে কথা হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ আবু সাঈদ এর সাথে, তিনি বলেন, ওই আবাসন প্রকল্পের পার্শেই আরো ৩০ টি ২ রুম বিশিষ্ট ঘরের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবাসন প্রকল্পের রাস্তা ঘাট ও চলাচলের সড়কে মাটি ভরাট সহ পানি নিষ্কাসন ব্যবস্হা করা হবে।
Facebook Comments Box