ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

কোহলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হার

ক্রীড়াঙ্গন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩ ৪৯ বার পঠিত

বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ

ব্যাটিংয়ে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটির ভিত কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। পুরো ওভার খেলে তারা পুঁজি করতে পারল কেবল ২৫৭ রান। ব্যাটিং-স্বর্গ হিসেবে খ্যাতি থাকা পুনের উইকেটে এই রান ভারত তাড়া করে ফেলল অনায়াসে। বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত হল।৭ উইকেটের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ভারতের দুই ওপেনার; রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তোলেন ৬৩ রান।

দলিয় ৮৮ রানে রোহিত ৪৮ রানে বিদায় নিলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন গিল। ৫৩ রানে তিনি থামেন মিরাজের শিকার বন
এরপর পুনেতে তাণ্ডব চালান কোহলি। ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে এনে দেন চতুর্থ জয়।

এর আগে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয় বাংলাদেশের। উদ্বোধনি জুটি থেকেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের আসে ৯৩ রান। দুর্দান্ত শুরুর পর তানজিদ হাসান তামিমের অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি।

এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তামিমকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন কুলদ্বীপ ইয়দাভ। এরপরই টাইগার শিবিরে শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। সেই মিছিলে একে একে শামিল হয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ।

উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়া লিটন দাস দেখাচ্ছিলেন আশা। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৮২ বলে ৬৬ রান করা লিটনকে তিনি ফেরান শুভমান গিলের তালুবন্দি করে।

এরপর দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাওহীদ হৃদয় ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকলেও রানের চাকার গতি বাড়ান মুশি। হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রানে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দলকে।

শেষ পর্যন্ত মুশিও রণে ভঙ্গ দেন ৩৮ রানে।

মুশফিক হাল ছেড়ে দিলেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন রিয়াদ। ব্যাট চালাতে থাকেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু ৩৬ বলে ৪৬ করে তাকে থাকতে হয় বুমরাহর শিকার বনে।

শেষদিকে আর কার্যকরী ইনিংস খেলা সম্ভব হয়নি টাইগার ব্যাটাদের কারো পক্ষেই। যে কারণে ৮ উইকেটের খরচায় ২৫৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (তামিম ৫১, লিটন ৬৬, শান্ত ৮, মিরাজ ৩, হৃদয় ১৬, মুশফিক ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মুস্তাফিজ ১, শরিফুল ৭ ; বুমরাহ ১০-১-৪১-২, সিরাজ ১০-০-৬০-২, পান্ডিয়া ০.৩-০-৮-০, কোহলি ০.৩-০-২-০, শারদুল ৯-০-৫৯-১, কুলদীপ ১০-০-৪৭-১, জাদেজা ১০-০-৩৮-২)।

ভারত : ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (রোহিত ৪৮, গিল ৫৩, কোহলি ১০৩, আইয়ার ১৯, রাহুল ৩৪ ; শরিফুল ৮-০-৫৪-০, মুস্তাফিজ ৫-০-২৯-০, নাসুম ৯.৩-০-৬০-০, হাসান ৮-০-৬৫-১, মিরাজ ১০-০-৪৭-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০)

ফলাফল : ভারত সাত উইকেটে জয়ী

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

কোহলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হার

আপডেট সময় : ০১:০১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

ব্যাটিংয়ে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটির ভিত কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। পুরো ওভার খেলে তারা পুঁজি করতে পারল কেবল ২৫৭ রান। ব্যাটিং-স্বর্গ হিসেবে খ্যাতি থাকা পুনের উইকেটে এই রান ভারত তাড়া করে ফেলল অনায়াসে। বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত হল।৭ উইকেটের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ভারতের দুই ওপেনার; রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তোলেন ৬৩ রান।

দলিয় ৮৮ রানে রোহিত ৪৮ রানে বিদায় নিলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন গিল। ৫৩ রানে তিনি থামেন মিরাজের শিকার বন
এরপর পুনেতে তাণ্ডব চালান কোহলি। ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে এনে দেন চতুর্থ জয়।

এর আগে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয় বাংলাদেশের। উদ্বোধনি জুটি থেকেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের আসে ৯৩ রান। দুর্দান্ত শুরুর পর তানজিদ হাসান তামিমের অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি।

এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তামিমকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন কুলদ্বীপ ইয়দাভ। এরপরই টাইগার শিবিরে শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। সেই মিছিলে একে একে শামিল হয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ।

উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়া লিটন দাস দেখাচ্ছিলেন আশা। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৮২ বলে ৬৬ রান করা লিটনকে তিনি ফেরান শুভমান গিলের তালুবন্দি করে।

এরপর দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাওহীদ হৃদয় ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকলেও রানের চাকার গতি বাড়ান মুশি। হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রানে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দলকে।

শেষ পর্যন্ত মুশিও রণে ভঙ্গ দেন ৩৮ রানে।

মুশফিক হাল ছেড়ে দিলেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন রিয়াদ। ব্যাট চালাতে থাকেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু ৩৬ বলে ৪৬ করে তাকে থাকতে হয় বুমরাহর শিকার বনে।

শেষদিকে আর কার্যকরী ইনিংস খেলা সম্ভব হয়নি টাইগার ব্যাটাদের কারো পক্ষেই। যে কারণে ৮ উইকেটের খরচায় ২৫৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (তামিম ৫১, লিটন ৬৬, শান্ত ৮, মিরাজ ৩, হৃদয় ১৬, মুশফিক ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মুস্তাফিজ ১, শরিফুল ৭ ; বুমরাহ ১০-১-৪১-২, সিরাজ ১০-০-৬০-২, পান্ডিয়া ০.৩-০-৮-০, কোহলি ০.৩-০-২-০, শারদুল ৯-০-৫৯-১, কুলদীপ ১০-০-৪৭-১, জাদেজা ১০-০-৩৮-২)।

ভারত : ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (রোহিত ৪৮, গিল ৫৩, কোহলি ১০৩, আইয়ার ১৯, রাহুল ৩৪ ; শরিফুল ৮-০-৫৪-০, মুস্তাফিজ ৫-০-২৯-০, নাসুম ৯.৩-০-৬০-০, হাসান ৮-০-৬৫-১, মিরাজ ১০-০-৪৭-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০)

ফলাফল : ভারত সাত উইকেটে জয়ী

Facebook Comments Box