ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

সাকিব-তামিম ইস্যু ক্রিকেট বোর্ড ঠিকভাবে সামলাতে পারেনি

ক্রীড়াঙ্গন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০ বার পঠিত

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান

“আমরা ডিম সিন্ডিকেট, ডাব সিন্ডিকেট শুনি, আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেটের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এটা চলছে, এভাবে চললে ক্রিকেটটা ধ্বংসের পথে যাবে,” তামিম-সাকিব ইস্যুতে ফেসবুক লাইভে এসে এভাবেই ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ সেখানে প্রথম অনুশীলনের পর, কাল প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেসব নিয়ে আলোচনা-আগ্রহ কোনটাই নাই এখন ক্রিকেটভক্তদের। বরং একদিন আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ও সেখানে তামিম ইকবালের না থাকাটাই জন্ম দেয় নানা বিতর্কের।

এরপর সামাজিক মাধ্যমে এসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তামিম ইকবাল। আর রাতে এক সাক্ষাৎকারে তামিম ও নিজের প্রসঙ্গে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সাকিব আল হাসান। তামিম তার ভিডিওতে সরাসরি সাকিবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি, তবে সাকিব আল হাসান তার সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে বেশ কয়েককটি মন্তব্য করেছেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন তামিমের বাদ পড়ার বিষয়ে তার কোন ভূমিকা ছিলো না। সবমিলে ক্রিকেটের বাইরে এসব বিতর্কই এখন সামাজিক মাধ্যম থেকে চায়ের টেবিল সবখানে। যা স্পষ্টতই দুটো ভাগ গড়ে দিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। “আমরা সোশ্যালি এত ডিভাইড হয়ে যাই সহজে, এই ঘটনা আমাদের আরো ডিভাইড করে দিতে পারে,” ক্রিকেট প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “সামনে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি, এ সময় এই বিভক্তি আমাদের ফোকাসটা অন্যদিকে নিচ্ছে, যা বিশ্বকাপে নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা নাজমুল আবেদীন ফাহিমও মনে করেন বিসিবি এই ঘটনা ঠিকভাবে সামলাতে পারে নি, ফলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। সাকিব-তামিম ইস্যু যেভাবে সামনে আসলো : বিশ্বকাপে দল ঘোষণার আগে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন ছিল দুটো?- তামিম ইকবাল কি থাকছেন, আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে কি দলে নেয়া হবে? কিন্তু দল ঘোষণার পর সব আলোচনা ঘুরে যায় এক নম্বর প্রশ্ন ঘিরেই। তামিম ইকবালকে ছাড়াই ১৫ জনের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে নির্বাচকরা। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনেও সিংহভাগ প্রশ্ন ছিল এটা নিয়েই, তামিমকে কেন বাদ দেয়া হল? নির্বাচকেরা এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলেন ফিটনেস ঘাটতি থাকার কারণেই তামিমকে দলে রাখা হয়নি।

কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় অবশ্য দল ঘোষণার আগে থেকেই। কয়েকটা গণমাধ্যমে খবর আসে তামিম বিশ্বকাপে ৫টা ম্যাচ খেলতে চেয়েছেন, আর সেটাই বড় কারণ তাকে বাদ দেয়ার। আবার এমনও বলা হয় বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করতে চেয়েছে বোর্ড, যা তামিম মেনে নেননি, আর সে কারণেই বাদ পড়তে হয় তাকে। আর এ সবগুলো ঘটনার পেছনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দায়ী করে একটা পক্ষ। তাদের দাবি, পুরোপুরি ফিট নয় এমন কোন ক্রিকেটারকে অধিনায়ক সাকিব দলে চান নি বলেই তামিম ইকবালের জায়গা হল না বিশ্বকাপে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। আর এভাবেই গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের আলোচনায় এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান চলে আসেন মুখোমুখি অবস্থানে।

তবে এর পেছনে কোন তৃতীয় পক্ষও কাজ করে থাকতে পারে বলে শঙ্কা সাকিব-তামিমের এক সময়ের কোচ নাজমুল আবেদীনের। “আমি খুব সম্প্রতি শুনেছি যে তারা কেউ কথা বলে না, আমি খুবই অবাক হয়েছি। কারণ তারা এত ক্লোজ ছিল যে পরিবারের চেয়ে বেশি সময় নিজেদের সাথে কাটিয়েছে। এটা নিশ্চয় মিনিমাইজ করা যেত, কেন করা গেল না, আশে পাশে যারা থাকে তারা দূরত্বটা বাড়িয়ে দিল কি না, কারণ অনেকে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পছন্দ করে।” বিকেএসপির এই শিক্ষক মনে করেন সাকিব-তামিমের ভাগাভাগি হয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাগাভাগি, যা কাঙ্খিত নয়।

সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার যে কারণে আলোচনায় :রাত ১১টায় বাংলাদেশের খেলার চ্যানেল টি-স্পোর্টস সাকিব আল হাসানের সাথে প্রায় আধাঘন্টার এক সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সেখানে তামিম ইকবাল ও তার নিজের বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন সাকিব। প্রথমত তিনি তামিম ইকবালের বাদ পড়া প্রসঙ্গে নিজের কোন ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন। “আমার তো দায়িত্ব না পুরো দল নির্বাচন করা, এটা অনেক প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক কিছু বিবেচনায় থাকে। আর আমি এগুলোতে এখন খুবই কম যুক্ত থাকি।” তামিমের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন প্রসঙ্গেও তার সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন সাকিব আল হাসান।

কিন্তু তার মতে দলের প্রয়োজনে যে কারো যে কোন পজিশনে ব্যাট করা উচিত। “এটাতে খারাপ কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এটা আমার কাছে মনে হয় একেবারে বাচ্চা মানুষের মতো যে আমার ব্যাট আমি খেলবো, আর কেউ খেলতে পারবে না। টিমের জন্য যে কেউ যে কোন জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত।” এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন দল সবসময় আগে, এখানে ব্যক্তিগত অর্জনের কোন মানে নেই। ইকবালের ফিটনেস প্রসঙ্গেও প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। তিনি কি আসলেই ৫ টা ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন, আর এ কারণেই কি তিনি তামিমকে দলে নেননি? “এটা পুরাটা ভুল, এই বিষয় নিয়ে কারো সাথে আমার কোন আলোচনাই হয়নি।”

কিন্তু এরপরই সাকিব আল হাসান ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির একটা উক্তি টেনে বলেন, “কোন খেলোয়াড় যদি ফিট না হয়ে খেলে, তাহলে কিন্তু সে দল ও দেশের সাথে প্রতারণা করছে। এটা শুধু তামিম না অন্য যে কারো ক্ষেত্রে হলে একই কথা বলতাম। কারণ আমি যদি একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেসের ব্যাপারে নিশ্চিত না হই, তাহলে আমার জন্য দল নির্বাচন করা কঠিন। এরকম প্লেয়ার আমি মনে করি না টিমে দরকার আছে।” বিবিসি

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/  ২৮ সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সাকিব-তামিম ইস্যু ক্রিকেট বোর্ড ঠিকভাবে সামলাতে পারেনি

আপডেট সময় : ০৮:২৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

“আমরা ডিম সিন্ডিকেট, ডাব সিন্ডিকেট শুনি, আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেটের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এটা চলছে, এভাবে চললে ক্রিকেটটা ধ্বংসের পথে যাবে,” তামিম-সাকিব ইস্যুতে ফেসবুক লাইভে এসে এভাবেই ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ সেখানে প্রথম অনুশীলনের পর, কাল প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেসব নিয়ে আলোচনা-আগ্রহ কোনটাই নাই এখন ক্রিকেটভক্তদের। বরং একদিন আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ও সেখানে তামিম ইকবালের না থাকাটাই জন্ম দেয় নানা বিতর্কের।

এরপর সামাজিক মাধ্যমে এসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তামিম ইকবাল। আর রাতে এক সাক্ষাৎকারে তামিম ও নিজের প্রসঙ্গে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সাকিব আল হাসান। তামিম তার ভিডিওতে সরাসরি সাকিবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি, তবে সাকিব আল হাসান তার সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে বেশ কয়েককটি মন্তব্য করেছেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন তামিমের বাদ পড়ার বিষয়ে তার কোন ভূমিকা ছিলো না। সবমিলে ক্রিকেটের বাইরে এসব বিতর্কই এখন সামাজিক মাধ্যম থেকে চায়ের টেবিল সবখানে। যা স্পষ্টতই দুটো ভাগ গড়ে দিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। “আমরা সোশ্যালি এত ডিভাইড হয়ে যাই সহজে, এই ঘটনা আমাদের আরো ডিভাইড করে দিতে পারে,” ক্রিকেট প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “সামনে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি, এ সময় এই বিভক্তি আমাদের ফোকাসটা অন্যদিকে নিচ্ছে, যা বিশ্বকাপে নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা নাজমুল আবেদীন ফাহিমও মনে করেন বিসিবি এই ঘটনা ঠিকভাবে সামলাতে পারে নি, ফলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। সাকিব-তামিম ইস্যু যেভাবে সামনে আসলো : বিশ্বকাপে দল ঘোষণার আগে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন ছিল দুটো?- তামিম ইকবাল কি থাকছেন, আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে কি দলে নেয়া হবে? কিন্তু দল ঘোষণার পর সব আলোচনা ঘুরে যায় এক নম্বর প্রশ্ন ঘিরেই। তামিম ইকবালকে ছাড়াই ১৫ জনের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে নির্বাচকরা। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনেও সিংহভাগ প্রশ্ন ছিল এটা নিয়েই, তামিমকে কেন বাদ দেয়া হল? নির্বাচকেরা এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলেন ফিটনেস ঘাটতি থাকার কারণেই তামিমকে দলে রাখা হয়নি।

কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় অবশ্য দল ঘোষণার আগে থেকেই। কয়েকটা গণমাধ্যমে খবর আসে তামিম বিশ্বকাপে ৫টা ম্যাচ খেলতে চেয়েছেন, আর সেটাই বড় কারণ তাকে বাদ দেয়ার। আবার এমনও বলা হয় বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করতে চেয়েছে বোর্ড, যা তামিম মেনে নেননি, আর সে কারণেই বাদ পড়তে হয় তাকে। আর এ সবগুলো ঘটনার পেছনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দায়ী করে একটা পক্ষ। তাদের দাবি, পুরোপুরি ফিট নয় এমন কোন ক্রিকেটারকে অধিনায়ক সাকিব দলে চান নি বলেই তামিম ইকবালের জায়গা হল না বিশ্বকাপে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। আর এভাবেই গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের আলোচনায় এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান চলে আসেন মুখোমুখি অবস্থানে।

তবে এর পেছনে কোন তৃতীয় পক্ষও কাজ করে থাকতে পারে বলে শঙ্কা সাকিব-তামিমের এক সময়ের কোচ নাজমুল আবেদীনের। “আমি খুব সম্প্রতি শুনেছি যে তারা কেউ কথা বলে না, আমি খুবই অবাক হয়েছি। কারণ তারা এত ক্লোজ ছিল যে পরিবারের চেয়ে বেশি সময় নিজেদের সাথে কাটিয়েছে। এটা নিশ্চয় মিনিমাইজ করা যেত, কেন করা গেল না, আশে পাশে যারা থাকে তারা দূরত্বটা বাড়িয়ে দিল কি না, কারণ অনেকে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পছন্দ করে।” বিকেএসপির এই শিক্ষক মনে করেন সাকিব-তামিমের ভাগাভাগি হয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাগাভাগি, যা কাঙ্খিত নয়।

সাকিব আল হাসানের সাক্ষাৎকার যে কারণে আলোচনায় :রাত ১১টায় বাংলাদেশের খেলার চ্যানেল টি-স্পোর্টস সাকিব আল হাসানের সাথে প্রায় আধাঘন্টার এক সাক্ষাৎকার প্রচার করে। সেখানে তামিম ইকবাল ও তার নিজের বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন সাকিব। প্রথমত তিনি তামিম ইকবালের বাদ পড়া প্রসঙ্গে নিজের কোন ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন। “আমার তো দায়িত্ব না পুরো দল নির্বাচন করা, এটা অনেক প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক কিছু বিবেচনায় থাকে। আর আমি এগুলোতে এখন খুবই কম যুক্ত থাকি।” তামিমের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন প্রসঙ্গেও তার সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন সাকিব আল হাসান।

কিন্তু তার মতে দলের প্রয়োজনে যে কারো যে কোন পজিশনে ব্যাট করা উচিত। “এটাতে খারাপ কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এটা আমার কাছে মনে হয় একেবারে বাচ্চা মানুষের মতো যে আমার ব্যাট আমি খেলবো, আর কেউ খেলতে পারবে না। টিমের জন্য যে কেউ যে কোন জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত।” এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন দল সবসময় আগে, এখানে ব্যক্তিগত অর্জনের কোন মানে নেই। ইকবালের ফিটনেস প্রসঙ্গেও প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। তিনি কি আসলেই ৫ টা ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন, আর এ কারণেই কি তিনি তামিমকে দলে নেননি? “এটা পুরাটা ভুল, এই বিষয় নিয়ে কারো সাথে আমার কোন আলোচনাই হয়নি।”

কিন্তু এরপরই সাকিব আল হাসান ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির একটা উক্তি টেনে বলেন, “কোন খেলোয়াড় যদি ফিট না হয়ে খেলে, তাহলে কিন্তু সে দল ও দেশের সাথে প্রতারণা করছে। এটা শুধু তামিম না অন্য যে কারো ক্ষেত্রে হলে একই কথা বলতাম। কারণ আমি যদি একজন খেলোয়াড়ের ফিটনেসের ব্যাপারে নিশ্চিত না হই, তাহলে আমার জন্য দল নির্বাচন করা কঠিন। এরকম প্লেয়ার আমি মনে করি না টিমে দরকার আছে।” বিবিসি

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/  ২৮ সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box