সাঁথিয়ায় মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা
- আপডেট সময় : ০৫:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩৫ বার পঠিত
পাবনার সাঁথিয়ায় সরকারী ইজারাকৃত সোনাই বিলে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় কোটি টাকা মুল্যের শত শত মণ মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গৌরিগ্রাম ও নন্দনপুর ইউনিয়নের সোনাই বিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলায় প্রায় ৭৫ একর জমি নিয়ে সরকারী একটি বিল কল্যাণপুর মৎজীবি সমবায় সমিতি সরকারকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে ইজারা নেয়। তারা ওই বিল এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় মাছ উৎপাদনে ও রক্ষাণাবেক্ষণে অংশ নেয়। দীর্ঘদিন সেখানে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে পোনা উৎপাদনসহ নানা প্রজাতির মাছ ছাড়ে ওই বিলে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে দুস্কৃতিকারীরা বিলে গ্যাস ট্যাবলেট ও বিষ প্রয়োগ করে সমস্ত মাছ মেরে ফেলে। বিষ প্রয়োগের ফলে বিলের শৌল, টাকি, জিয়েল, বাইম, নয়না, রুই, কাতল, জাপানি রুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ মরে ভেসে উঠেছে। আবার কিছু মাছ মরে পঁচে ডুবে রয়েছে।
সরজমিন সোনাই বিলে গিয়ে দেখা যায়, বিলের পাড়ে গ্যাসট্যাবলেট পড়ে রয়েছে। মাছ মরে সব ভেসে উঠেছে। স্থানীয়রা ওই পানি থেকে পঁচা মরা মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় বিলের মৎস্য উৎপাদনকারীর ও ইজারাদার কল্যাণপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আক্কাস আলীসহ এলাকার যুবক সাইফুল, রিপন,আসাদুল, আলীমেরা জানান, আমরা এলাকার কতিপয় বেবকার যুবকেরা মিলে দেশীয় মাছ উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য লক্ষ লক্স টাকা বিনিয়োগ করি। যখন ঠিক মাছটা মারবো, বিক্রি করবো ঠিক সেই মূহুর্তে দুস্কৃতিকারীরা আমাদের এতবড় ক্ষতিটা করলো। এটা শুধু আমাদের ক্ষতিই নয় এরা দেশেরও ক্ষতি করলো। তারা বলেন, ৫ আগস্টের আগে যারা ওই বিল জোর করে ভোগ দখল করে খেত তারা আমাদের এই সর্বনাশ করেছে বলে ধারণা। সাইফুল ইসলাম বলেন প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী বিষয়টা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
বালিয়াকান্দি থানার এস আই রাজিবুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।