ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয় যেতে প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে কোমলমতি শিশুরা

পাবনা প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ৩২ বার পঠিত

পাবনার সাঁথিয়া ধোপাদহ ইউনিয়ননের বড়পাইকসা গ্রামের ইছামতির ডাইকের পাকা রাস্তা হতে বড় পাইকশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেতে গ্রামীন সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। ফলে কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পড়ে গিয়ে জামাকাপড় ও বই খাতা ভিজে ভোগান্তিতে পড়ে। ফলে বিদ্যালয় বিমূখ হচ্ছে কোমলমতি ছেলে মেয়েরা। শৃধু তাই নয়। ওই সড়ক দিয়ে স্থানীয়বাসিন্দরা মাঠ থেকে তাদের ফসলাদি ঘরে তুলতে সীমাহিন দুর্ভোগে পড়েন। পায়ে হেটে চলাচল করতেও তাদের কষ্টের যেন সীমা নেই্। অতি দ্রুত সকড়টি সংস্কার করে কোমলমতি শিশুদের চলাচলের উপযোগী করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন জানা গেছে, ধোপাদহ ইউনিয়নের বড়পাইকশা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেতে একমাত্র গ্রামীণ সড়কটির বেহাল দশা। কাদা পানিতে সড়কটি একার্কা হয়ে থাকে। পানির মধ্যে দিয়ে কোমলমতি শিশুরা চলাচল করছে মাসের পর মাস। পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় এখানে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েন বছরের বেশীর ভাগ সময়। কারণ হিসেবে জানা গেছে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে ক্যানালটি করেছে। ফলে ক্যানালের উত্তর পাশে বসতিদের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করে ক্যাণাল নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়বাসিন্দা আজমত, সবুজ, বাচ্চু, মকছেদ জানান, এই সড়কে প্রায় সারাবছরই বৃষ্টির পানিতে রাস্তা,বাড়িঘর পানিকাদাতে নিমজ্জিত থাকে। আমাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। যদিও জোর করে স্কুলে পাঠালে কাপড়চোপর ভিজে ফেরত আসে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে আসতে এই একটি মাত্র রাস্তা। যা সামান্য বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায়। এ রাস্তা দিয়ে পানির মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে পড়ে জামা কাপড় বই পু¯তক ভিজে যায়। তখন আমাদের আর স্কুলে যেতে মন চায় না। আমরা রাস্তাটি সংস্কার করার দাবী করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই বিদ্যালয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। একটি মাত্র রাস্তা যেখানে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোমলমতি শিশুর্ াবিদ্যালয়ে আসতে চায় না। ফলে কোমমতি শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হয়। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছি না। তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের উপযোগী করে তোলার আবেদন জানাইতেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান-প্রধান সড়কের সাথে সংযোগ সড়কটি এটি। বৃষ্টি কাদায় একাকার হয়ে থাকে। রাস্তাটি সংস্কার হওয়া জরুরি। আমরাও বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

সাঁথিয়ায় বিদ্যালয় যেতে প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে কোমলমতি শিশুরা

আপডেট সময় : ০৫:৪০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

পাবনার সাঁথিয়া ধোপাদহ ইউনিয়ননের বড়পাইকসা গ্রামের ইছামতির ডাইকের পাকা রাস্তা হতে বড় পাইকশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেতে গ্রামীন সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। ফলে কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পড়ে গিয়ে জামাকাপড় ও বই খাতা ভিজে ভোগান্তিতে পড়ে। ফলে বিদ্যালয় বিমূখ হচ্ছে কোমলমতি ছেলে মেয়েরা। শৃধু তাই নয়। ওই সড়ক দিয়ে স্থানীয়বাসিন্দরা মাঠ থেকে তাদের ফসলাদি ঘরে তুলতে সীমাহিন দুর্ভোগে পড়েন। পায়ে হেটে চলাচল করতেও তাদের কষ্টের যেন সীমা নেই্। অতি দ্রুত সকড়টি সংস্কার করে কোমলমতি শিশুদের চলাচলের উপযোগী করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন জানা গেছে, ধোপাদহ ইউনিয়নের বড়পাইকশা গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেতে একমাত্র গ্রামীণ সড়কটির বেহাল দশা। কাদা পানিতে সড়কটি একার্কা হয়ে থাকে। পানির মধ্যে দিয়ে কোমলমতি শিশুরা চলাচল করছে মাসের পর মাস। পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় এখানে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েন বছরের বেশীর ভাগ সময়। কারণ হিসেবে জানা গেছে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে ক্যানালটি করেছে। ফলে ক্যানালের উত্তর পাশে বসতিদের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করে ক্যাণাল নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়বাসিন্দা আজমত, সবুজ, বাচ্চু, মকছেদ জানান, এই সড়কে প্রায় সারাবছরই বৃষ্টির পানিতে রাস্তা,বাড়িঘর পানিকাদাতে নিমজ্জিত থাকে। আমাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। যদিও জোর করে স্কুলে পাঠালে কাপড়চোপর ভিজে ফেরত আসে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে আসতে এই একটি মাত্র রাস্তা। যা সামান্য বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায়। এ রাস্তা দিয়ে পানির মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে পড়ে জামা কাপড় বই পু¯তক ভিজে যায়। তখন আমাদের আর স্কুলে যেতে মন চায় না। আমরা রাস্তাটি সংস্কার করার দাবী করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই বিদ্যালয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। একটি মাত্র রাস্তা যেখানে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোমলমতি শিশুর্ াবিদ্যালয়ে আসতে চায় না। ফলে কোমমতি শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হয়। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছি না। তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের উপযোগী করে তোলার আবেদন জানাইতেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান-প্রধান সড়কের সাথে সংযোগ সড়কটি এটি। বৃষ্টি কাদায় একাকার হয়ে থাকে। রাস্তাটি সংস্কার হওয়া জরুরি। আমরাও বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Facebook Comments Box