ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঁথিয়ায় মা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর অশ্লীল ভিডিও ধারনের অভিযোগ

পাবনা প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ ২৯০ বার পঠিত

পাবনা সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর মা জেনারেল হাসপাতালে এক যুবতী রোগীকে অল্লীল ভিডিও ধারনের অভিযোগ উঠেছে উক্ত হাসপাতালের ম্যানেজার ইসমাইল হাসানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কাশিনাথপুর প্রাইভেট মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানীয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে ভুক্তভোগী যুবতীর বাবা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী যুবতীর বাবা জানান, শুক্রবার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার সবুর এর কাছে আমার মেয়েকে আমি ও আমার স্ত্রী হার্টের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। এসময় ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করার কথা জানান। পরে হাসপাতালের ম্যানেজার ইসমাইল হাসান মেয়েটিকে একটি এক্সরে রুমে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা মূলক কথা বলে জানান, আপনার গায়ের জামায় বোতাম আছে এতেেএক্সরে হবে না। নরম ম্যাকসি পড়ে আসুন। এক পর্যায়ে মেয়েটি বাথরুমে কাপড় পরিবর্তন করতে প্রবেশ করেন। এ সময় ম্যানেজার গোপনে বার্থরুমের দরজার উপর দিয়ে মেয়েটির উলঙ্গ ভিডিও ধারন করতে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েটি টের পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। এ ঘটনা তার বাবা-মাকে জানালে পরে বিষয়টি হাসপাতালের মালিক রুবেল খান কে জানান তারা। এসময় আশে পাশে থাকা অন্যান্য রোগীরা লম্পট ম্যানেজারকে আটকে রাখেন একটা রুমে।

মেয়েটির বাবা-মা মালিককে অনুরোধ করেন যে ছেলেটির কাছে যে ভিডিও আছে তারাতারি ডিলিট করে দেন। মালিক বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করেন এবং এক পর্যায়ে ম্যানেজারকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন। এক পর্যায়ে আশেপাশের লোকজন জমায়েত হতে থাকলে হাসপাতাল মালিক আ’লীগ নেতা রুবেল তার স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীকে খবর দিয়ে এনে উল্টো ভুক্তভুগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। এতে ভুক্তভুগীর পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

মেয়েটির বাবা আরও জানান, আমার মেয়ে অবিবাহিত অনার্স এ পড়াশোনা করছে। এখন যদি ঐ অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। তাহলে তার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, আর কোন রোগী যেন ওই হাসপাতালে গিয়ে নির‌্যাতনের শিকার না হয় এ জন্য তার উপযুক্ত বিচার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন পদধারী নেতা। সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও বেড়া পৌর মেয়র আশিফ শামস রঞ্জনের ছত্রছায়ায় বহু আকাম কুকাম করেছে যা বলার মত না। এমনকি তার হাসপাতালে একজন ডাক্তার আছে যে নারী লোভী। সুন্দর সুন্দর মেয়ে ছাড়া সে তার হাসপাতালে থাকতে চায়না। তার হাসপাতালে অসামাজিক অনেক কর্মকান্ড হয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ম্যানেজার ইসমাইল হাসান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতালের মালিক মো.রুবেল খান জানান,  এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে তবে আমার হাসপাতালে না। সেটা আমার পাশের ইবনেসিনায়। ইবনেসিনার মালিক কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার বাবার সেটা। ঐ ম্যানেজারকে তাৎক্ষনিক বহিস্কার করা হয়েছে। সে পলাতক আছে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি জানতে রুবেলের বাবা ইবনেসিনার মালিককে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও  রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপরে জানতে সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল বাতেনকে বার বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন কেটে দেন ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সাঁথিয়ায় মা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর অশ্লীল ভিডিও ধারনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

পাবনা সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর মা জেনারেল হাসপাতালে এক যুবতী রোগীকে অল্লীল ভিডিও ধারনের অভিযোগ উঠেছে উক্ত হাসপাতালের ম্যানেজার ইসমাইল হাসানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কাশিনাথপুর প্রাইভেট মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানীয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে ভুক্তভোগী যুবতীর বাবা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী যুবতীর বাবা জানান, শুক্রবার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার সবুর এর কাছে আমার মেয়েকে আমি ও আমার স্ত্রী হার্টের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। এসময় ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করার কথা জানান। পরে হাসপাতালের ম্যানেজার ইসমাইল হাসান মেয়েটিকে একটি এক্সরে রুমে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা মূলক কথা বলে জানান, আপনার গায়ের জামায় বোতাম আছে এতেেএক্সরে হবে না। নরম ম্যাকসি পড়ে আসুন। এক পর্যায়ে মেয়েটি বাথরুমে কাপড় পরিবর্তন করতে প্রবেশ করেন। এ সময় ম্যানেজার গোপনে বার্থরুমের দরজার উপর দিয়ে মেয়েটির উলঙ্গ ভিডিও ধারন করতে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েটি টের পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। এ ঘটনা তার বাবা-মাকে জানালে পরে বিষয়টি হাসপাতালের মালিক রুবেল খান কে জানান তারা। এসময় আশে পাশে থাকা অন্যান্য রোগীরা লম্পট ম্যানেজারকে আটকে রাখেন একটা রুমে।

মেয়েটির বাবা-মা মালিককে অনুরোধ করেন যে ছেলেটির কাছে যে ভিডিও আছে তারাতারি ডিলিট করে দেন। মালিক বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করেন এবং এক পর্যায়ে ম্যানেজারকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন। এক পর্যায়ে আশেপাশের লোকজন জমায়েত হতে থাকলে হাসপাতাল মালিক আ’লীগ নেতা রুবেল তার স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীকে খবর দিয়ে এনে উল্টো ভুক্তভুগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। এতে ভুক্তভুগীর পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

মেয়েটির বাবা আরও জানান, আমার মেয়ে অবিবাহিত অনার্স এ পড়াশোনা করছে। এখন যদি ঐ অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। তাহলে তার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, আর কোন রোগী যেন ওই হাসপাতালে গিয়ে নির‌্যাতনের শিকার না হয় এ জন্য তার উপযুক্ত বিচার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন পদধারী নেতা। সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও বেড়া পৌর মেয়র আশিফ শামস রঞ্জনের ছত্রছায়ায় বহু আকাম কুকাম করেছে যা বলার মত না। এমনকি তার হাসপাতালে একজন ডাক্তার আছে যে নারী লোভী। সুন্দর সুন্দর মেয়ে ছাড়া সে তার হাসপাতালে থাকতে চায়না। তার হাসপাতালে অসামাজিক অনেক কর্মকান্ড হয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ম্যানেজার ইসমাইল হাসান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতালের মালিক মো.রুবেল খান জানান,  এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে তবে আমার হাসপাতালে না। সেটা আমার পাশের ইবনেসিনায়। ইবনেসিনার মালিক কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার বাবার সেটা। ঐ ম্যানেজারকে তাৎক্ষনিক বহিস্কার করা হয়েছে। সে পলাতক আছে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি জানতে রুবেলের বাবা ইবনেসিনার মালিককে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও  রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপরে জানতে সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল বাতেনকে বার বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন কেটে দেন ।

Facebook Comments Box