ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আলুর সিন্ডিকেটকে ভোক্তা অধিদপ্তরের আল্টিমেটাম

 নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫২ বার পঠিত

ঢাকাঃ আলুর কিনতে গিয়ে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। দেশে উৎপাদিত আলু ৫০ টাকা কেজিতে কিনে খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই অবস্থায় আলুর দাম নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বুধবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) সকালে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। ভোক্তার ডিজি বলেন, আমরা কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি।

এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও তিন-চার দিন দেখব, এর মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করার সময় আর দেড় থেকে দুই মাস। এ সময়ের মধ্যে আলু বের করা না হলে পচে যাবে।

এরপরও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে মজুতের দিকে ঝুঁকছেন। এই অবস্থায় বাইরে থেকে আলু আমদানি করলে সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। কারণ আলু নির্দিষ্ট সময়ে পর পচে যায়। আরমান কোল্ড স্টোরেজ প্রসঙ্গে সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় কৃষক ও নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলুসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন।

এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশ্যে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এসময় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ডিমের দাম বেঁধে দেয় সরকার। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভারত থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই খবরে ডিমের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসা শুরু করেছে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২০ সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

আলুর সিন্ডিকেটকে ভোক্তা অধিদপ্তরের আল্টিমেটাম

আপডেট সময় : ০২:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকাঃ আলুর কিনতে গিয়ে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। দেশে উৎপাদিত আলু ৫০ টাকা কেজিতে কিনে খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই অবস্থায় আলুর দাম নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বুধবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) সকালে রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। ভোক্তার ডিজি বলেন, আমরা কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি।

এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও তিন-চার দিন দেখব, এর মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করার সময় আর দেড় থেকে দুই মাস। এ সময়ের মধ্যে আলু বের করা না হলে পচে যাবে।

এরপরও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে মজুতের দিকে ঝুঁকছেন। এই অবস্থায় বাইরে থেকে আলু আমদানি করলে সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। কারণ আলু নির্দিষ্ট সময়ে পর পচে যায়। আরমান কোল্ড স্টোরেজ প্রসঙ্গে সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় কৃষক ও নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলুসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন।

এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশ্যে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এসময় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ডিমের দাম বেঁধে দেয় সরকার। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভারত থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই খবরে ডিমের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসা শুরু করেছে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২০ সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box