ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণ-তরুণীর মরদেহ মিলল লঞ্চের কেবিনে

চাঁদপুর প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ১৪ বার পঠিত

ছবি সংগৃহিত

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের একটি কেবিন থেকে আনোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক তরুণ ও রোজিনা আক্তার (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের পরিবারের কাছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার ওই লঞ্চটি সদরঘাটে পৌঁছানোর পরে খবর পেয়ে নৌ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এই তথ্য নিশ্চিত করে নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।

আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে। আর রোজিনা আক্তারের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।

এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজর আবু সাইদ জানান, লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর ৩১১ নম্বর কেবিন খুলে যাত্রী বের হয়নি। আধা ঘণ্টা সময় নিয়ে দরজা আওয়াজ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর নৌ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

আবু সাইদ আরও জানান, আনোয়ার এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেন।

লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের মালিক প্রতিনিধি আজগর আলী সরকার বলেন, ‘সকালেই ঘটনাটি আমাকে লঞ্চ থেকে স্টাফরা জানায়। আমি তাঁদেরকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুটি মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাঁদের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

তরুণ-তরুণীর মরদেহ মিলল লঞ্চের কেবিনে

আপডেট সময় : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের একটি কেবিন থেকে আনোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক তরুণ ও রোজিনা আক্তার (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের পরিবারের কাছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার ওই লঞ্চটি সদরঘাটে পৌঁছানোর পরে খবর পেয়ে নৌ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এই তথ্য নিশ্চিত করে নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।

আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে। আর রোজিনা আক্তারের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।

এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজর আবু সাইদ জানান, লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর ৩১১ নম্বর কেবিন খুলে যাত্রী বের হয়নি। আধা ঘণ্টা সময় নিয়ে দরজা আওয়াজ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর নৌ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

আবু সাইদ আরও জানান, আনোয়ার এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেন।

লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের মালিক প্রতিনিধি আজগর আলী সরকার বলেন, ‘সকালেই ঘটনাটি আমাকে লঞ্চ থেকে স্টাফরা জানায়। আমি তাঁদেরকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুটি মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাঁদের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Facebook Comments Box