ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ১১ বার পঠিত

ছবি সংগৃহিত

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে’ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছে না, পারবেও না। জনতার রুদ্ররোষ ক্রমেই গণবিস্ফোরণে রূপ নিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সব বাহিনী নামানো হয়েছে, থামাতে পারেনি। সব রকম নির্যাতনের পরও আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। আন্দোলন বাড়ছে, আরও বাড়বে। ইসলামী আন্দোলন এবং সব সহযোগী সংগঠন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারের পরাজয় না হয়।’

শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন আইএবি মিলনায়তনে ছাত্র ও যুবকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘সারা দেশে পুলিশকে গ্রেফতার বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার গ্রেফতার বাণিজ্য করা হচ্ছে। এর সঙ্গে পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজন জড়িত। কিন্তু জুলুম নির্যাতনের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেও সরকারের আখের রক্ষা হবে না। সরকারকে গণহত্যার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতেই হবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে ও ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমাদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদের যৌথ সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, মহিলা ও পরিবার বিষয়ক সম্পাদক এবং যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, এইচ এম কাওছার বাঙালি, অ্যাডভোকেট বায়জিদ, মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আল আমিন, খায়রুল আহসান মারজান প্রমুখ।

ফয়জুল করীম বলেন, ‘৭১-৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনের ইতিহাস তারা বলে না। তখন তারা এক ভয়ঙ্কর শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছিল জাতিকে। বাকশাল কায়েম করে জনগণের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। ৭৫-এর খুনিদের বিচার হলে ২০২৪ এর খুনিদেরও বিচার হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘যে তরুণেরা শিক্ষাঙ্গনে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্কুলে, কলেজে বুক চিতিয়ে দিচ্ছে, তারা হয় আপনার সন্তান, আপনার ভাই, আত্মীয়। তাদের বুকে গুলি চালাবেন না। জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে জনগণের বুকেই রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি নিক্ষেপ করবেন না। এ রকম একটি হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর এই লাশের কারবালায় দাঁড়িয়ে এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই। একথা এখন বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিধ্বনি হচ্ছে।’

কর্মসূচি: শনিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থানা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি থাকবেন দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

আপডেট সময় : ১১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে’ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছে না, পারবেও না। জনতার রুদ্ররোষ ক্রমেই গণবিস্ফোরণে রূপ নিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সব বাহিনী নামানো হয়েছে, থামাতে পারেনি। সব রকম নির্যাতনের পরও আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। আন্দোলন বাড়ছে, আরও বাড়বে। ইসলামী আন্দোলন এবং সব সহযোগী সংগঠন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারের পরাজয় না হয়।’

শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন আইএবি মিলনায়তনে ছাত্র ও যুবকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘সারা দেশে পুলিশকে গ্রেফতার বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার গ্রেফতার বাণিজ্য করা হচ্ছে। এর সঙ্গে পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজন জড়িত। কিন্তু জুলুম নির্যাতনের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেও সরকারের আখের রক্ষা হবে না। সরকারকে গণহত্যার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতেই হবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে ও ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমাদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদের যৌথ সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, মহিলা ও পরিবার বিষয়ক সম্পাদক এবং যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, এইচ এম কাওছার বাঙালি, অ্যাডভোকেট বায়জিদ, মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আল আমিন, খায়রুল আহসান মারজান প্রমুখ।

ফয়জুল করীম বলেন, ‘৭১-৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনের ইতিহাস তারা বলে না। তখন তারা এক ভয়ঙ্কর শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছিল জাতিকে। বাকশাল কায়েম করে জনগণের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। ৭৫-এর খুনিদের বিচার হলে ২০২৪ এর খুনিদেরও বিচার হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘যে তরুণেরা শিক্ষাঙ্গনে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্কুলে, কলেজে বুক চিতিয়ে দিচ্ছে, তারা হয় আপনার সন্তান, আপনার ভাই, আত্মীয়। তাদের বুকে গুলি চালাবেন না। জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে জনগণের বুকেই রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি নিক্ষেপ করবেন না। এ রকম একটি হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর এই লাশের কারবালায় দাঁড়িয়ে এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই। একথা এখন বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিধ্বনি হচ্ছে।’

কর্মসূচি: শনিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থানা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি থাকবেন দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

Facebook Comments Box