আমরা পকেটে হাত দিয়ে থাকলে আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৬:০২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ১২ বার পঠিত
রংপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয় যখন ভাঙচুর করা হলো, তখন নেতা–কর্মীদের তো ঘুরে দাঁড়াতে হতো। তাঁরা যে ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না, এটা নিয়ে তাঁর কষ্ট লাগছে। আমরা পকেটে হাত দিয়ে যদি ঘুমিয়ে থাকি, তাহলে আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির এই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রংপুরের উপাচার্যকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল; পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার না করলে হয়তো পরিবারসহ সবাইকে পুড়িয়ে মারত। কাজেই এটা কোনো ছাত্র আন্দোলন নয়। যাঁরা যাঁরা সম্পদ বিনষ্ট করেছেন, থানা লুট করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করেছেন, ভিসিকে হত্যার চেষ্টা করেছেন, সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। যাঁরা অর্থের জোগান করেছেন, যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেতু ভবন, ত্রাণ অধিদপ্তর, বিটিভি, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নানা জায়গা পুড়িয়ে দেওয়া হলো। এর সঙ্গে আন্দোলনের সম্পর্ক কী, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি। নরসিংদীর কারাগারে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাদের নিয়ে গেল? যারা জঙ্গি। ৯ জন জঙ্গি আসামি সেখানে ছিল।
একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমার কষ্ট লাগে, আপনাদের পার্টি অফিসটা যখন ভাঙচুর করল। আপনাদের তো ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা পকেটে হাত দিয়ে যদি ঘুমিয়ে থাকি, তাহলে আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে। এটারই প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি–জামায়াত, জঙ্গি—সব একত্র হয়ে গেছে।’ যারা সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাসিমা জামান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান প্রমুখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু ও জাকির হোসেন সরকার, পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময় সভার আগে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শহরের তাজহাট থানা, উপকমিশনারের অফিস, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঘুরে দেখেন।