ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সরকার জনগণের অধিকার খর্ব করতে আদালতকে ব্যবহার করছে : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ ১৪ বার পঠিত

জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এই সরকারের আমলে যাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে এই সরকারই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়েছে, যাকে প্রধান সেনাপতি বানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে, যিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কাহিনী এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এটা একটা সরকার হলো?

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে এক সমাবেশে দেশের অবস্থা তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে অষ্টম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে পুলিশি হামলায় ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে জয়নুল আবদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন তবে কোনো বক্তব্য দেননি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়।

পেনসন নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নতুন পেনসন স্কিম মানেন না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। কোনো মন্ত্রী কোনো কথা বলছেন না। আমি পত্রিকায় দেখলাম, আজকে নাকি সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের সাথে বসবেন কিন্তু পরে শুনলাম তা স্থগিত করা হয়েছে।’

মান্না বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় দেখলাম উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, ট্রানজিট দিয়েছি, তাতে ক্ষতি কি? আরে ট্রানজিট তো দেননি, করিডোর দিয়েছেন।

আপনার দেশ দিয়ে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশেই ঢুকবে। এই ট্রেন মালবাহীও হতে পারে, এই মালগাড়ির মধ্যে কি থাকতে পারে তা আমরা জানি না। কোনো দেশ যদি মনে করে যে, মালগাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে, আপনাদের চতুর্দিকে সেভেন সিস্টারের মধ্যে গোলামালগুলো চলছে তারা যদি মনে করে এরমধ্যে অস্ত্র আছে আমরা বাধা দেব। তার মানে হচ্ছে, বাংলাদেশকে আপনারা একদিকে চীন এবং ভারতের মধ্যে যে করিডোর তাদের মধ্যে সমস্যা করে তার জায়গা তৈরি করেছেন, আরেক দিকে আপনি ওইসব এলাকায় যত সমস্ত বিদ্রোহী আছেন তাদেরকে উস্কে দিচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতার ওপরে এটা একটা বিপদ হতে পারে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সরকার জনগণের অধিকার খর্ব করতে আদালতকে ব্যবহার করছে : মান্না

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এই সরকারের আমলে যাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে এই সরকারই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়েছে, যাকে প্রধান সেনাপতি বানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে, যিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কাহিনী এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এটা একটা সরকার হলো?

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে এক সমাবেশে দেশের অবস্থা তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে অষ্টম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে পুলিশি হামলায় ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে জয়নুল আবদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন তবে কোনো বক্তব্য দেননি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়।

পেনসন নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নতুন পেনসন স্কিম মানেন না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। কোনো মন্ত্রী কোনো কথা বলছেন না। আমি পত্রিকায় দেখলাম, আজকে নাকি সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের সাথে বসবেন কিন্তু পরে শুনলাম তা স্থগিত করা হয়েছে।’

মান্না বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় দেখলাম উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, ট্রানজিট দিয়েছি, তাতে ক্ষতি কি? আরে ট্রানজিট তো দেননি, করিডোর দিয়েছেন।

আপনার দেশ দিয়ে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশেই ঢুকবে। এই ট্রেন মালবাহীও হতে পারে, এই মালগাড়ির মধ্যে কি থাকতে পারে তা আমরা জানি না। কোনো দেশ যদি মনে করে যে, মালগাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে, আপনাদের চতুর্দিকে সেভেন সিস্টারের মধ্যে গোলামালগুলো চলছে তারা যদি মনে করে এরমধ্যে অস্ত্র আছে আমরা বাধা দেব। তার মানে হচ্ছে, বাংলাদেশকে আপনারা একদিকে চীন এবং ভারতের মধ্যে যে করিডোর তাদের মধ্যে সমস্যা করে তার জায়গা তৈরি করেছেন, আরেক দিকে আপনি ওইসব এলাকায় যত সমস্ত বিদ্রোহী আছেন তাদেরকে উস্কে দিচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতার ওপরে এটা একটা বিপদ হতে পারে।

Facebook Comments Box