ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

শেরপুর প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৯ বার পঠিত

আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শেরপুরে আমিনুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার বিকালে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমিনুল ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬/৭ মাস আগে বিয়ে করেন আমিনুল ইসলাম। দীর্ঘদিন বেকার থাকায় তার স্ত্রী বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন আমিনুল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

গত ১৯ জুন থেকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিং ও ওষুধপত্র সেবন শুরু করেন তিনি। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তার পোস্ট দেখে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে আমিনুল ফেসবুক পোস্টে লেখেন— ‘আমি আমার সঠিক মস্তিষ্কে লিখে যাচ্ছি, আজ আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এ বিষয়টি নিয়ে যেন কারও প্রতি কোনো প্রকার চার্জ না করা হয় এবং কাউকে দায়ী করা না হয়।’
তার আগে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন— ‘ঝুলে গেলে মানুষ মরে যায়, নাকি বেঁচে যায়?’

সদর থানার ওসি মো. এমদাদুল হক জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৬:০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শেরপুরে আমিনুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার বিকালে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমিনুল ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬/৭ মাস আগে বিয়ে করেন আমিনুল ইসলাম। দীর্ঘদিন বেকার থাকায় তার স্ত্রী বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন আমিনুল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

গত ১৯ জুন থেকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিং ও ওষুধপত্র সেবন শুরু করেন তিনি। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তার পোস্ট দেখে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে আমিনুল ফেসবুক পোস্টে লেখেন— ‘আমি আমার সঠিক মস্তিষ্কে লিখে যাচ্ছি, আজ আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এ বিষয়টি নিয়ে যেন কারও প্রতি কোনো প্রকার চার্জ না করা হয় এবং কাউকে দায়ী করা না হয়।’
তার আগে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন— ‘ঝুলে গেলে মানুষ মরে যায়, নাকি বেঁচে যায়?’

সদর থানার ওসি মো. এমদাদুল হক জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Facebook Comments Box