ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সাঁথিয়ায় সরকারী খাস জমি মালিকানা দাবী কালি মন্দিরের, তদন্ত প্রতিবেদনের রিপোর্ট

সাঁথিয়া(পাবনা) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ৪৭ বার পঠিত

সাঁথিয়া নন্দনপুরে এক বিধবা মহিলাকে বন্দোবস্ত সরকারী খাস জায়গা মালিকানা দাবী মন্দির কমিটির

পাবনার সাঁথিয়ার নন্দনপুরে সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়া বিধবা মহিলা মরিয়ম বেগমের জায়গা ডিএস মূলে কালি মন্দিরের দাবী করে রেকর্ড সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ দিকে ওই বিধবা মরিয়ম বেগম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন সরকারী খাস জমি আমাকে বন্দোবস্ত দেয়ার পরেও মন্দির কমিটির লোকজন ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে জোর জবরদস্তিভাবে সরকারী বন্দোবস্তকৃত জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। খা্স জায়গা মালিকানা দাবী করে মন্দির কমিটি আদালতে পিটিশন মামলা ২৫২/২০২৪ দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসকে।
সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের ১৭২ নং দাগের ১৬ শতক জায়গা ডিএস মূলে কালি মন্দিরের দাবী করে বিবাদী মরিয়ম বেগমকে অবৈধভাবে ভূমিহীন বানিয়ে বন্দোবস্ত নেয়ায় মন্দিরের যাওয়া আসা,পূজাঅর্চনা করা অসুবিধা সৃষ্টি হওয়ায় ১৪৪ ধারায় মামলা করেন মন্দির কতৃর্পক্ষ। বিবাদী পক্ষ নালিশী সম্পত্তি সরকারের নিকট থেকে ১০/ীরর/২০১৭—২০১৮বন্দোবস্তমূলে ০.১০ একর প্রাপ্ত হইয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। নালিশী সম্পত্তি সরকারী খাস সম্পত্তি। বাদী পক্ষের কোন স্বার্থ বা স্বত্ত নাই। বাদী পক্ষ অযথা হয়রানী করার জন্য ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সরজমিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয় মন্দির আরএস ১৭৪ দাগে কালি বাড়ি হিসেবে এবং আরএস ১৭২ নং দাগে পুজা অর্চনা করার ঘর, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা এবং বিবাদী পক্ষ বন্দোবস্তমূলে ০.০৪২৫ একর জমিতে চার পাশে বেড়া দিয়ে ভোগদখল করে আছেন। এ ছাড়া বর্তমান আরএস রেকর্ড অনুযায়ী সরকারী ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত সম্পত্তি হওয়ায় বাদী পক্ষের কোন স্বত্ত্ব প্রতীয়মান হয় না।
মন্দির কমিটির সভাপতি রাজবংশি বলেন, ওই নালিশী সম্পত্তির ১০ শতক জায়গা ভূলক্রমে আরএস রেকর্ড এ এসে সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত হয়। আর এ সুযোগে সাঁথিয়া কেস নং ১০/২০১৭—২০১৮ নং বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে ভুমিহীন হিসেবে ওই সম্পত্তির ১০ শতক জায়গা মৃত তমেজ মাস্টারের স্ত্রী মোছাঃ মরিয়মের নামে বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে মন্দির কমিটি সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহা বলেন, ভুমিহীন না হয়েও মন্দিরের জায়গা বন্দোবস্ত পেয়ে মরিয়মের লোকজন আমাদের আক্রমণ করে। ফলে আমাদের ধমীর্য় পূজাঅর্চনা করতে পারছি না। তারা আমাদের ধমীর্ও অনুভুতিতে আঘাত হানছে।
বিধবা মরিয়ম বেগম বলেন, আমি একজন বিধবা মহিলা। আমার কোন জায়গা না থাকায় সরকার থেকে খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়েছি। আমার সব কাগজ পত্র বৈধ। অথচ মন্দির কমিটি সব মিথ্যা জাল কাগজপত্র নিয়ে আমার জায়গা দখল নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানী করছে। তাদের মন্দিরের দাগ ও খতিয়ান নম্বর সম্পূর্ণ আলাদা। আমারটার সাথে কোন মিল নেই যা তদন্তে প্রমানিত।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সাঁথিয়ায় সরকারী খাস জমি মালিকানা দাবী কালি মন্দিরের, তদন্ত প্রতিবেদনের রিপোর্ট

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

পাবনার সাঁথিয়ার নন্দনপুরে সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়া বিধবা মহিলা মরিয়ম বেগমের জায়গা ডিএস মূলে কালি মন্দিরের দাবী করে রেকর্ড সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ দিকে ওই বিধবা মরিয়ম বেগম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন সরকারী খাস জমি আমাকে বন্দোবস্ত দেয়ার পরেও মন্দির কমিটির লোকজন ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে জোর জবরদস্তিভাবে সরকারী বন্দোবস্তকৃত জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে। খা্স জায়গা মালিকানা দাবী করে মন্দির কমিটি আদালতে পিটিশন মামলা ২৫২/২০২৪ দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসকে।
সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের ১৭২ নং দাগের ১৬ শতক জায়গা ডিএস মূলে কালি মন্দিরের দাবী করে বিবাদী মরিয়ম বেগমকে অবৈধভাবে ভূমিহীন বানিয়ে বন্দোবস্ত নেয়ায় মন্দিরের যাওয়া আসা,পূজাঅর্চনা করা অসুবিধা সৃষ্টি হওয়ায় ১৪৪ ধারায় মামলা করেন মন্দির কতৃর্পক্ষ। বিবাদী পক্ষ নালিশী সম্পত্তি সরকারের নিকট থেকে ১০/ীরর/২০১৭—২০১৮বন্দোবস্তমূলে ০.১০ একর প্রাপ্ত হইয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। নালিশী সম্পত্তি সরকারী খাস সম্পত্তি। বাদী পক্ষের কোন স্বার্থ বা স্বত্ত নাই। বাদী পক্ষ অযথা হয়রানী করার জন্য ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সরজমিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয় মন্দির আরএস ১৭৪ দাগে কালি বাড়ি হিসেবে এবং আরএস ১৭২ নং দাগে পুজা অর্চনা করার ঘর, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা এবং বিবাদী পক্ষ বন্দোবস্তমূলে ০.০৪২৫ একর জমিতে চার পাশে বেড়া দিয়ে ভোগদখল করে আছেন। এ ছাড়া বর্তমান আরএস রেকর্ড অনুযায়ী সরকারী ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত সম্পত্তি হওয়ায় বাদী পক্ষের কোন স্বত্ত্ব প্রতীয়মান হয় না।
মন্দির কমিটির সভাপতি রাজবংশি বলেন, ওই নালিশী সম্পত্তির ১০ শতক জায়গা ভূলক্রমে আরএস রেকর্ড এ এসে সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত হয়। আর এ সুযোগে সাঁথিয়া কেস নং ১০/২০১৭—২০১৮ নং বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে ভুমিহীন হিসেবে ওই সম্পত্তির ১০ শতক জায়গা মৃত তমেজ মাস্টারের স্ত্রী মোছাঃ মরিয়মের নামে বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে মন্দির কমিটি সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহা বলেন, ভুমিহীন না হয়েও মন্দিরের জায়গা বন্দোবস্ত পেয়ে মরিয়মের লোকজন আমাদের আক্রমণ করে। ফলে আমাদের ধমীর্য় পূজাঅর্চনা করতে পারছি না। তারা আমাদের ধমীর্ও অনুভুতিতে আঘাত হানছে।
বিধবা মরিয়ম বেগম বলেন, আমি একজন বিধবা মহিলা। আমার কোন জায়গা না থাকায় সরকার থেকে খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়েছি। আমার সব কাগজ পত্র বৈধ। অথচ মন্দির কমিটি সব মিথ্যা জাল কাগজপত্র নিয়ে আমার জায়গা দখল নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানী করছে। তাদের মন্দিরের দাগ ও খতিয়ান নম্বর সম্পূর্ণ আলাদা। আমারটার সাথে কোন মিল নেই যা তদন্তে প্রমানিত।

Facebook Comments Box