ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দিল্লি থেকে শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন, আমরা দেখব : ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ১১ বার পঠিত

ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নাই। বরং বাংলাদেশের জনগণ তারেক রহমানের সঙ্গে আছে। তার প্রমাণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন, তার প্রমাণ চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন… এসব নির্বাচনে কোনো মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই। ভাইয়ে ভাইয়ে নির্বাচন দিয়ে ডামি নির্বাচনের সেই সরকারপ্রধান আজকে আবার দিল্লি যাচ্ছেন। কী নিয়ে আসবেন আমরা দেখব। এবার খালি হাতে এলে কিন্তু জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিকভাবে আপনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। শুক্রবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশের মাটির ওপর দিয়ে রেললাইন স্থাপন পরিকল্পনার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

 

দুপুর ২টায় দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি রওনা হবেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক রয়েছে।ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বলা শুরু করেছে, ভারত তুমি বন্ধু থাকো।কিন্তু বন্ধু বলে আজকে আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে যাবে, আমার ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে আমাদের বঞ্চিত করবে…. বাংলাদেশের জনগণ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মমর্যাদা অনেক বড়। তাই আপনাদের (ভারত) জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আপনাকে দিতেই হবে।

 

তিনি আরো বলেন, আপনারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণ করবেন আর সেই রেলে করে ক্যান্সারের নমুনা পাওয়া এমন সব পণ্যসামগ্রী অন্য প্রান্তে নিয়ে যাবেন, তা কখনোবাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, একাত্তর সালে আমরা হাফ প্যান্ট পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি… রাওয়ালপিণ্ডির পিঞ্জির ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি… তাই বলে আবার আমরা দিল্লির আগ্রাসন মেনে নেব, বাংলাদেশের মানুষ তা কখনো জীবন থাকতে গ্রহণ করবে না। আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শরিক হই।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা এই সরকারের সৃষ্টি। আপনারা (সরকার) দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, মানুষকে দুই বেলা পেটভরে খাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। আপনি এমন এক বাজেট ঘোষণা করেছেন, যেখানে আমি আমার উপার্জিত অর্থের কর দেব আর যারা কোটি কোটি টাকা ডলার চুরি করে ১৯ শতাংশ কর দিয়ে বৈধতা আনবে, তাদের আমাদের সঙ্গে সমান করে দিয়েছেন।

তাই এই সরকার লুটেরাদের সরকার, দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই ভারতপ্রীতির সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদকে আমি আহ্বান জানাব, আমাদের জীবন থাকতেও তাদের এসব অন্যায়-অত্যাচার গ্রহণ করা হবে না।

ফারুক বলেন, আমরা বলতে চাই, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখতে পারেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে পারেন; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয় নাই। কিছুসংখ্যক আমলা, কিছুসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা, যারা বাংলাদেশে আজকে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলকে দমন করার কাজে নিয়োজিত। তার প্রমাণ আজিজ, বেনজীর ও আসাদুজ্জামান মিয়া। এই আজিজ-বেনজীর-আসাদুজ্জামান মিয়া- আপনারা এখন কোথায়?

জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এইচ এম সাইফ আলী খান, আ ক ম মোজাম্মেল, শাহ নেছারুল হক, তাঁতীদলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, উলামা দলের কাজী আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

দিল্লি থেকে শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন, আমরা দেখব : ফারুক

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নাই। বরং বাংলাদেশের জনগণ তারেক রহমানের সঙ্গে আছে। তার প্রমাণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন, তার প্রমাণ চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন… এসব নির্বাচনে কোনো মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই। ভাইয়ে ভাইয়ে নির্বাচন দিয়ে ডামি নির্বাচনের সেই সরকারপ্রধান আজকে আবার দিল্লি যাচ্ছেন। কী নিয়ে আসবেন আমরা দেখব। এবার খালি হাতে এলে কিন্তু জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিকভাবে আপনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। শুক্রবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশের মাটির ওপর দিয়ে রেললাইন স্থাপন পরিকল্পনার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

 

দুপুর ২টায় দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি রওনা হবেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক রয়েছে।ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বলা শুরু করেছে, ভারত তুমি বন্ধু থাকো।কিন্তু বন্ধু বলে আজকে আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে যাবে, আমার ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে আমাদের বঞ্চিত করবে…. বাংলাদেশের জনগণ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মমর্যাদা অনেক বড়। তাই আপনাদের (ভারত) জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আপনাকে দিতেই হবে।

 

তিনি আরো বলেন, আপনারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণ করবেন আর সেই রেলে করে ক্যান্সারের নমুনা পাওয়া এমন সব পণ্যসামগ্রী অন্য প্রান্তে নিয়ে যাবেন, তা কখনোবাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, একাত্তর সালে আমরা হাফ প্যান্ট পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি… রাওয়ালপিণ্ডির পিঞ্জির ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি… তাই বলে আবার আমরা দিল্লির আগ্রাসন মেনে নেব, বাংলাদেশের মানুষ তা কখনো জীবন থাকতে গ্রহণ করবে না। আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শরিক হই।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা এই সরকারের সৃষ্টি। আপনারা (সরকার) দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, মানুষকে দুই বেলা পেটভরে খাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। আপনি এমন এক বাজেট ঘোষণা করেছেন, যেখানে আমি আমার উপার্জিত অর্থের কর দেব আর যারা কোটি কোটি টাকা ডলার চুরি করে ১৯ শতাংশ কর দিয়ে বৈধতা আনবে, তাদের আমাদের সঙ্গে সমান করে দিয়েছেন।

তাই এই সরকার লুটেরাদের সরকার, দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই ভারতপ্রীতির সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদকে আমি আহ্বান জানাব, আমাদের জীবন থাকতেও তাদের এসব অন্যায়-অত্যাচার গ্রহণ করা হবে না।

ফারুক বলেন, আমরা বলতে চাই, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখতে পারেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে পারেন; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয় নাই। কিছুসংখ্যক আমলা, কিছুসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা, যারা বাংলাদেশে আজকে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলকে দমন করার কাজে নিয়োজিত। তার প্রমাণ আজিজ, বেনজীর ও আসাদুজ্জামান মিয়া। এই আজিজ-বেনজীর-আসাদুজ্জামান মিয়া- আপনারা এখন কোথায়?

জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এইচ এম সাইফ আলী খান, আ ক ম মোজাম্মেল, শাহ নেছারুল হক, তাঁতীদলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, উলামা দলের কাজী আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Facebook Comments Box