ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোলাকিয়ায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামায়াত অনুষ্ঠিত

কিশোরগন্জ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪ ১৬ বার পঠিত

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এবারো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার ঈদগাহ ময়দানে।আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানে এবার ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন মুফতি মাওলানা হিফজুর রহমান। জামাত শেষে জাতীয় অগ্রগতি, শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানসহ শহরের গণ্যমান্য লোকজন এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

জানা যায়, সুদূর ইয়ামেন থেকে ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে আগত শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির পূর্ব পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমেদের হাতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের গোড়াপত্তন হয়। জেলা শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৮২৮ সালে ঈদুল ফিতরের জামাতে তিনি নিজেই ইমামতি করেন।আর সেই জামাতের কাতার গণনায় সোয়া লাখ মুসল্লির উপস্থিতি পাওয়া যায়। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। উচ্চারণ বিবর্তনের ফলে এ ঈদগাহ ময়দানটি এখন শোলাকিয়া নামেই সমধিক পরিচিত।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

শোলাকিয়ায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামায়াত অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এবারো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার ঈদগাহ ময়দানে।আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানে এবার ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন মুফতি মাওলানা হিফজুর রহমান। জামাত শেষে জাতীয় অগ্রগতি, শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানসহ শহরের গণ্যমান্য লোকজন এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

জানা যায়, সুদূর ইয়ামেন থেকে ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে আগত শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির পূর্ব পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমেদের হাতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের গোড়াপত্তন হয়। জেলা শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৮২৮ সালে ঈদুল ফিতরের জামাতে তিনি নিজেই ইমামতি করেন।আর সেই জামাতের কাতার গণনায় সোয়া লাখ মুসল্লির উপস্থিতি পাওয়া যায়। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। উচ্চারণ বিবর্তনের ফলে এ ঈদগাহ ময়দানটি এখন শোলাকিয়া নামেই সমধিক পরিচিত।

Facebook Comments Box