ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আমার দেশের দ্বীপে গেলে মিয়ানমার থেকে গুলি করে, সরকার কিছুই বলে না: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ১২ বার পঠিত

সরকারের নতজানু নীতি ও দাসসুলভ মনোভাবের কারণে বারবার বাংলাদেশের সীমান্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। নিজ দেশের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক যেতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা— এ কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে প্রেসক্লাবে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ এর আলোচনা সভায় এসব বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমার দেশ থেকে আমাদের দ্বীপে যেতে পারছি না। সেই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু তো করা হয়নি। এমনকি একটি বক্তব্যও দেয়নি। উল্টো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে কিছু বলবো।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, কী ব্যর্থতা, সরকারের নতজানু মনোভাব…. মিয়ানমারের মতো একটি দেশকেও কিছু বলা যাবে না? কতটা দাসসুলভ মনোভাব হলে এমনটি হতে পারে।

এ সময় তিনি ছন্দে ছন্দে বলেন, ‘দাস্য সুখে হাসছো মুখে’। সুখটা দাসত্বের কিন্তু মুখে হাসি…. কিছু বলা যাবে না, কারণ তাদের সাথে তো আমার-তাদের দেনদরবার হচ্ছে প্রতিদিন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সীমান্তে মানুষ মারে সরকার কথা বলে না। পানি দেয় না, একটা কথাও বলে না। সেন্টমার্টিনে এখন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার চুপ করে আছে। হাজার হাজার মানুষ এখন বিপদগ্রস্ত।

টাকা পাচার ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারা দেশের টাকা পাচার করে, টাকা কোথায় যায়? সেটি সবাই মোটামুটি জানে। সাংবাদিকরাও জানে, কিন্তু তারা লিখতে পারে না। মানুষ জেনেও মুখ খুলতে পারে না। মোবাইল ব্যাংকিং নগদের প্রতি লেনদেন থেকে ৫ পয়সা করে কমিশন নেয়া হয়। সেই কমিশন দেশের বাইরে চলে যায়। কোথায় যায় সেটি আমি জানতে চাই। জানতে পারিনি। আপনারা খোঁজ করলে হয়তো জানতে পারবেন (সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে)।

তিনি অভিযোগ করেন, সচেতনভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে সরকার। গণতন্ত্রের লেবাসে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। সাবেক সেনা ও পুলিশ প্রধানের এমন দুর্নীতি-জালিয়াতি সভ্য দেশে ভাবা যায় না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

আমার দেশের দ্বীপে গেলে মিয়ানমার থেকে গুলি করে, সরকার কিছুই বলে না: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

সরকারের নতজানু নীতি ও দাসসুলভ মনোভাবের কারণে বারবার বাংলাদেশের সীমান্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। নিজ দেশের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক যেতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা— এ কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে প্রেসক্লাবে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ এর আলোচনা সভায় এসব বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমার দেশ থেকে আমাদের দ্বীপে যেতে পারছি না। সেই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু তো করা হয়নি। এমনকি একটি বক্তব্যও দেয়নি। উল্টো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে কিছু বলবো।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, কী ব্যর্থতা, সরকারের নতজানু মনোভাব…. মিয়ানমারের মতো একটি দেশকেও কিছু বলা যাবে না? কতটা দাসসুলভ মনোভাব হলে এমনটি হতে পারে।

এ সময় তিনি ছন্দে ছন্দে বলেন, ‘দাস্য সুখে হাসছো মুখে’। সুখটা দাসত্বের কিন্তু মুখে হাসি…. কিছু বলা যাবে না, কারণ তাদের সাথে তো আমার-তাদের দেনদরবার হচ্ছে প্রতিদিন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সীমান্তে মানুষ মারে সরকার কথা বলে না। পানি দেয় না, একটা কথাও বলে না। সেন্টমার্টিনে এখন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার চুপ করে আছে। হাজার হাজার মানুষ এখন বিপদগ্রস্ত।

টাকা পাচার ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারা দেশের টাকা পাচার করে, টাকা কোথায় যায়? সেটি সবাই মোটামুটি জানে। সাংবাদিকরাও জানে, কিন্তু তারা লিখতে পারে না। মানুষ জেনেও মুখ খুলতে পারে না। মোবাইল ব্যাংকিং নগদের প্রতি লেনদেন থেকে ৫ পয়সা করে কমিশন নেয়া হয়। সেই কমিশন দেশের বাইরে চলে যায়। কোথায় যায় সেটি আমি জানতে চাই। জানতে পারিনি। আপনারা খোঁজ করলে হয়তো জানতে পারবেন (সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে)।

তিনি অভিযোগ করেন, সচেতনভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে সরকার। গণতন্ত্রের লেবাসে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। সাবেক সেনা ও পুলিশ প্রধানের এমন দুর্নীতি-জালিয়াতি সভ্য দেশে ভাবা যায় না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

Facebook Comments Box