ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

অপপ্রচার ঠেকাতে ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ হবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ১০ বার পঠিত

নিরাপদ সাইবার স্পেস, সাইবার অপরাধ দমন ও অপপ্রচার ঠেকাতে একটি আলাদা ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশেষ চক্র, বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক চক্র, যুদ্ধাপরাধী চক্র ও বিএনপি–জামায়াত ক্রমাগত গুজব ছড়াচ্ছে। এদের একটি বড় অংশ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। তারা মূলত ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বিকৃত খবর প্রচার করছে।
শেখ হাসিনা গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডা, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও গুজব প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক সাইবার প্যাট্রলিং জোরদার করা হয়েছে; গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রাখা হয়েছে। গুজব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এবং সাইবার সাপোর্ট হেল্প লাইনের মাধ্যমে গুজব সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বিদেশে অবস্থানরত গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

অপপ্রচার ঠেকাতে ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ হবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিরাপদ সাইবার স্পেস, সাইবার অপরাধ দমন ও অপপ্রচার ঠেকাতে একটি আলাদা ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশেষ চক্র, বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক চক্র, যুদ্ধাপরাধী চক্র ও বিএনপি–জামায়াত ক্রমাগত গুজব ছড়াচ্ছে। এদের একটি বড় অংশ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। তারা মূলত ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বিকৃত খবর প্রচার করছে।
শেখ হাসিনা গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডা, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও গুজব প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক সাইবার প্যাট্রলিং জোরদার করা হয়েছে; গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রাখা হয়েছে। গুজব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এবং সাইবার সাপোর্ট হেল্প লাইনের মাধ্যমে গুজব সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বিদেশে অবস্থানরত গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

Facebook Comments Box