ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

আধিপত্যবাদ-গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে : ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ১৩ বার পঠিত

আধিপত্যবাদ-গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলছেন, মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। রাওয়াল পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুর জেলার গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তারা।

জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০ ওয়াগান রেলগাড়ি ভর্তি করে ২৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত। ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য ধান, চাল, গম লুট করে। ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সামগ্রী পাচার করে। ১.৫ বিলিয়ন ডলারের পাট চুরি করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের শিল্প কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্পকারখানা তৈরি করে। ভারতে বাংলাদেশি জাল টাকা ছেপে দেশের বাজার সয়লাব করে দেয়। এভাবে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই শোষণ করে আসছে।

জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, গণসচেতনতা তৈরি লক্ষ্যে ভারতীয় পণ্যের বিষক্রিয়ার কথা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।

সেলিম বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ মহাসচিব আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

আধিপত্যবাদ-গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে : ১২ দলীয় জোট

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

আধিপত্যবাদ-গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলছেন, মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। রাওয়াল পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুর জেলার গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তারা।

জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০ ওয়াগান রেলগাড়ি ভর্তি করে ২৭০০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় ভারত। ১০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যশস্য ধান, চাল, গম লুট করে। ৮ বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সামগ্রী পাচার করে। ১.৫ বিলিয়ন ডলারের পাট চুরি করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের শিল্প কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে আগরতলায় পাঁচটি নতুন শিল্পকারখানা তৈরি করে। ভারতে বাংলাদেশি জাল টাকা ছেপে দেশের বাজার সয়লাব করে দেয়। এভাবে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই শোষণ করে আসছে।

জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব। এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, গণসচেতনতা তৈরি লক্ষ্যে ভারতীয় পণ্যের বিষক্রিয়ার কথা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।

সেলিম বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ মহাসচিব আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

Facebook Comments Box