ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ২০ বার পঠিত

ঢাকা : পাঁচ লাখ টন ধান ও ১২ লাখ টন চাল কেনা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ধানগুলো কেনা হবে ৩২ টাকা কেজি দরে। তবে ১২ লাখ টনের মধ্যে সিদ্ধ চাল কেনা হবে ১১ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন কেনা হবে আতপ চাল।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, সিদ্ধ চাল কেনা হবে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আপত চাল কেনা হবে ৪৪ টাকা কেজিতে। ধান আর চাল ছাড়াও ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে। প্রতিকেজি গমের দাম দেওয়া হবে ৩৪ টাকা।

মন্ত্রী বলেন, হাওড়ের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। শুকিয়ে তা ঘরেও তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওড়কে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকের যাতে হয়রানি না হয়, সেজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’

‘যারা অ্যাপসে আবেদন করেছেন কিংবা কৃষি দফতরে কৃষক ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন বা তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করা হবে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ কি-না। যদি এর বেশি হয়, তাহলে তাদের বলবেন আরেকটু শুকিয়ে ১৪ শতাংশ করে নিয়ে আসতে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাদের সেই ধান ফের শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এ জন্য কৃষি দফতরের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের কাছে আর্দ্রতা যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আনতে হবে।

‘আর গোডাউনে ধান দিতে এলে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেই দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই হ্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হন, এ জন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, সেক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ঢাকা : পাঁচ লাখ টন ধান ও ১২ লাখ টন চাল কেনা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ধানগুলো কেনা হবে ৩২ টাকা কেজি দরে। তবে ১২ লাখ টনের মধ্যে সিদ্ধ চাল কেনা হবে ১১ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন কেনা হবে আতপ চাল।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, সিদ্ধ চাল কেনা হবে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আপত চাল কেনা হবে ৪৪ টাকা কেজিতে। ধান আর চাল ছাড়াও ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে। প্রতিকেজি গমের দাম দেওয়া হবে ৩৪ টাকা।

মন্ত্রী বলেন, হাওড়ের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। শুকিয়ে তা ঘরেও তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওড়কে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকের যাতে হয়রানি না হয়, সেজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’

‘যারা অ্যাপসে আবেদন করেছেন কিংবা কৃষি দফতরে কৃষক ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন বা তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করা হবে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ কি-না। যদি এর বেশি হয়, তাহলে তাদের বলবেন আরেকটু শুকিয়ে ১৪ শতাংশ করে নিয়ে আসতে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাদের সেই ধান ফের শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এ জন্য কৃষি দফতরের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের কাছে আর্দ্রতা যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আনতে হবে।

‘আর গোডাউনে ধান দিতে এলে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেই দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই হ্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হন, এ জন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, সেক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Facebook Comments Box