ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

মামুনুল হককে দেখতে বাসার সামনে অনুসারীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ ১৩ বার পঠিত

কারামুক্ত হওয়ায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নজর দেখতে তার বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন ভক্ত ও অনুসারীরা।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। তার ছেলে ও শতশত নেতাকর্মী-সমর্থকরা জেলগেটে তাকে স্বাগত জানান।
পরে নেতাকর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিতে দিতে ছাদ খোলা গাড়িতে করে মামুনুল হককে নিয়ে আসেন বারিধারা মাদ্রাসায়। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মামুনুল হক। সেখানে ভক্ত ও অনুসারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। এরপর রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে নিজের বাসায় যান মামুনুল হক।
মামুনুল হকের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো নেতাকর্মী সেখানে ভিড় করে আছেন। তারা বলেন, দীর্ঘ তিন বছর আমাদের হুজুর কারাগারে ছিলেন। আজ মুক্তি পেয়েছেন। আমরা খুশি। হুজুরকে দেখতে এসেছি। তিনি বিশ্রামে আছেন। আশা করি ওনার সঙ্গে আমাদের দেখা হবে।
শাইখুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনায়েদ বলেন, এখন মামুনুল হক বিশ্রামে আছেন। অনেক নেতাকর্মী ওনাকে দেখতে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
এ ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

মামুনুল হককে দেখতে বাসার সামনে অনুসারীদের ভিড়

আপডেট সময় : ০৮:১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হওয়ায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নজর দেখতে তার বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন ভক্ত ও অনুসারীরা।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। তার ছেলে ও শতশত নেতাকর্মী-সমর্থকরা জেলগেটে তাকে স্বাগত জানান।
পরে নেতাকর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দিতে দিতে ছাদ খোলা গাড়িতে করে মামুনুল হককে নিয়ে আসেন বারিধারা মাদ্রাসায়। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মামুনুল হক। সেখানে ভক্ত ও অনুসারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। এরপর রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে নিজের বাসায় যান মামুনুল হক।
মামুনুল হকের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো নেতাকর্মী সেখানে ভিড় করে আছেন। তারা বলেন, দীর্ঘ তিন বছর আমাদের হুজুর কারাগারে ছিলেন। আজ মুক্তি পেয়েছেন। আমরা খুশি। হুজুরকে দেখতে এসেছি। তিনি বিশ্রামে আছেন। আশা করি ওনার সঙ্গে আমাদের দেখা হবে।
শাইখুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনায়েদ বলেন, এখন মামুনুল হক বিশ্রামে আছেন। অনেক নেতাকর্মী ওনাকে দেখতে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
এ ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

Facebook Comments Box