সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০৬:১৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২৪ বার পঠিত
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এর দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ ওয়ালীউর রহমান রতন।
বক্তব্য রাখেন, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জিকরুল হক, সকালের সময় প্রতিনিধি মোতালেব হোসেন হক, প্রভাতের আলোর সাংবাদিক মাসুদুর রহমান লেলিন, সমকালের জেলা প্রতিনিধি আমিরুল হক আরমান, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম, তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি তামিম রহমান, নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, ভোরের পাতার জয়নাল আবেদীন হিরো, যুগের আলোর রাজু আহমেদ প্রমুখ।
সাংবাদিক বক্তারা বলেন, সংবাদ কর্মীরা সমাজের বিবেক। তারা অনিয়ম দূর্নীতি তুলে ধরে জাতিকে সচেতন করে। যে কারণে অন্যায়কারী ও দূর্নীতিকারীরা সতর্ক থাকে এবং সরকার দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে দিক নির্দেশনা পায়। ফলে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, দেশ ও জাতি উন্নতি করে।
তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে অবাধ তথ্য প্রবাহের পথ অবারিত করেছে। অথচ সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এই তথ্য প্রদানের পরিবর্তে সংবাদ কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সরকার প্রধানের নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। যা প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী করতে পারেন না।
বক্তারা আরও বলেন সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের ফাইভষ্টার মাঠে প্রানী সম্পদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৫০ ষ্টল বানানো হলেও ২৬ টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। দিনব্যাপী মেলাটি প্রদর্শীত হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টায় তা শেষ হয়ে যায়। এনিয়ে সত্য তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সংবাদ কর্মীকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।একই সাথে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ।
একারনে আমরা এর তীব্র প্রডিবাদ জানিয়ে বিচার দাবী করছি। সেই সাথে সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ্যে ও ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে ক্ষমা চাইবেন। নয়তো ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে সৈয়দপুর থেকে অপসারণ করতে হবে। আর যদি তা না করা হয় তাহলে ওই কর্মকর্তার অপকর্মের পেছনে তার খুটির জোর কোথায় তা অনুসন্ধান করে জনসম্মুখে মুখোশ উন্মোচন করা হবে । পাশাপাশি আন্দোলন জোরদার করার হুশিয়ারি সংকেত দেন তাঁরা।
এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন বলে জানান তিনি।