ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার উদ্যোগ, নির্দেশনা না মানলে জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেই উদ্যোগের হিসেবে, এখন থেকে চাল বাজারজাতকরণের আগে, বস্তার গায়ে ধানের জাত, মিল গেটের মূল্য এবং ওজন লিখতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করতে হবে। এই নির্দেশনা না মানলে জেল-জরিমানা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনা না মানলে, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আইনের ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর, ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে, সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড প্রদান করার বিধান।

নির্দেশনার কপি ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে, মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে তাদের পছন্দমতো ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের আগে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব ধরনের চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (কেজি) উল্লেখ থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে; বলা হয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার উদ্যোগ, নির্দেশনা না মানলে জেল-জরিমানা

আপডেট সময় : ০৭:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেই উদ্যোগের হিসেবে, এখন থেকে চাল বাজারজাতকরণের আগে, বস্তার গায়ে ধানের জাত, মিল গেটের মূল্য এবং ওজন লিখতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম ও অবস্থান উল্লেখ করতে হবে। এই নির্দেশনা না মানলে জেল-জরিমানা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনা না মানলে, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আইনের ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর, ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে, সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড প্রদান করার বিধান।

নির্দেশনার কপি ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে, মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে তাদের পছন্দমতো ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের আগে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব ধরনের চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (কেজি) উল্লেখ থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে; বলা হয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়।

Facebook Comments Box