ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় শেখ হাসিনা: ‘আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বার পঠিত

অতীতের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে, সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলা নববর্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে, সকল নাগরিকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রবিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা এ আহবান জানান। তিনি বলেন, “আসুন, নতুন বছরে অতীতের সব ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে, সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।”
রবিবার উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বর্ষ পরিক্রমায় আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন, বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।”
বাংলা সনের কথা
পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে উদযাপিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবে উদযাপন করা হয় বাংলা নববর্ষকে।
বাংলা পিডিয়া অনুসারে, এক সময় নববর্ষ উদযাপিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর। কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্র সন ও বাংলা সৌর সনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিলো, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।
বাংলা নববর্ষ আকবরের সময় থেকে থেকে উৎসবের রূপ লাভ করে। সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করতো। পরদিন, নববর্ষে সাধারণ মানুষকে মিষ্টিমুখ করাতেন ভূস্বামীরা।
এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভ দিন হিসেবে উদযাপিত হতে থাকে।
বাংলা নববর্ষের অন্যতম উপাদান হালখাতা। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে, নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খরিদদারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজো পালিত হয়।
নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণত নববর্ষে তারা বাড়িঘর পরিষ্কার রাখে, ব্যবহার্য সামগ্রী ধোয়ামোছা করে এবং সকালে স্নান সেরে পূত-পবিত্র হয়।
দিনটিতে ভালো খাওয়া, ভালো থাকা এবং ভালো পরতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করে। নববর্ষে ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে। মিষ্টি-পিঠা-পায়েস সহ নানা রকম লোকজ খাবারের আয়োজন থাকে ঘরে ঘরে। থাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়। প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার মাধ্যমে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়; যা শহরাঞ্চলে বহুল প্রচলিত।
নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তোলে বৈশাখী মেলা। এটি মূলত সর্বজনীন লোকজ মেলা। এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোক শিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব প্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যায়।।
বর্তমান সময়ের নগরজীবনে, নগর-সংস্কৃতির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষ উৎযাপিত হয়। পহেলা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের উৎসব। এ সময় নতুন সূর্যকে প্রত্যক্ষ করতে উদ্যানের কোনো বৃহৎ বৃক্ষমূলে বা লেকের ধারে অতি প্রত্যূষে নগরবাসী সমবেত হয়।
বর্ষবরণের চমকপ্রদ ও জমজমাট আয়োজন ঘটে রাজধানী ঢাকায়। এখানে বৈশাখী উৎসবের অনুষ্ঠানমালা এক মিলন মেলার সৃষ্টি করে। নববর্ষের প্রথম প্রভাতে রমনা উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় উচ্ছল জনস্রোতে সৃষ্টি হয় জাতীয় বন্ধন।
ছায়ানটের উদ্যোগে জনাকীর্ণ রমনার বটমূলে রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’-এর মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়। ১৩৭২ বঙ্গাব্দে (১৯৬৫) ছায়ানট প্রথম এ উৎসব শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলার প্রভাতী অনুষ্ঠানে নববর্ষকে সম্ভাষণ জানানো হয়।
এখানকার চারুশিল্পীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, নববর্ষের আহবানকে করে তোলে নয়ন মনোহর এবং গভীর আবেদনময়। এ শোভাযাত্রা উপভোগ করে সব শ্রেণীর মানুষ। দিনটিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, টি.এস.সি এবং চারুকলা ইনস্টিটিউট সহ সমগ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিণত হয় বিশাল জনসমুদ্রে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় শেখ হাসিনা: ‘আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি’

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

অতীতের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে, সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলা নববর্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে, সকল নাগরিকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রবিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা এ আহবান জানান। তিনি বলেন, “আসুন, নতুন বছরে অতীতের সব ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে, সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।”
রবিবার উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বর্ষ পরিক্রমায় আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন, বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।”
বাংলা সনের কথা
পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে উদযাপিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবে উদযাপন করা হয় বাংলা নববর্ষকে।
বাংলা পিডিয়া অনুসারে, এক সময় নববর্ষ উদযাপিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর। কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্র সন ও বাংলা সৌর সনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিলো, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।
বাংলা নববর্ষ আকবরের সময় থেকে থেকে উৎসবের রূপ লাভ করে। সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করতো। পরদিন, নববর্ষে সাধারণ মানুষকে মিষ্টিমুখ করাতেন ভূস্বামীরা।
এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভ দিন হিসেবে উদযাপিত হতে থাকে।
বাংলা নববর্ষের অন্যতম উপাদান হালখাতা। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে, নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খরিদদারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজো পালিত হয়।
নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণত নববর্ষে তারা বাড়িঘর পরিষ্কার রাখে, ব্যবহার্য সামগ্রী ধোয়ামোছা করে এবং সকালে স্নান সেরে পূত-পবিত্র হয়।
দিনটিতে ভালো খাওয়া, ভালো থাকা এবং ভালো পরতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করে। নববর্ষে ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে। মিষ্টি-পিঠা-পায়েস সহ নানা রকম লোকজ খাবারের আয়োজন থাকে ঘরে ঘরে। থাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়। প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার মাধ্যমে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়; যা শহরাঞ্চলে বহুল প্রচলিত।
নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তোলে বৈশাখী মেলা। এটি মূলত সর্বজনীন লোকজ মেলা। এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোক শিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব প্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যায়।।
বর্তমান সময়ের নগরজীবনে, নগর-সংস্কৃতির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষ উৎযাপিত হয়। পহেলা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের উৎসব। এ সময় নতুন সূর্যকে প্রত্যক্ষ করতে উদ্যানের কোনো বৃহৎ বৃক্ষমূলে বা লেকের ধারে অতি প্রত্যূষে নগরবাসী সমবেত হয়।
বর্ষবরণের চমকপ্রদ ও জমজমাট আয়োজন ঘটে রাজধানী ঢাকায়। এখানে বৈশাখী উৎসবের অনুষ্ঠানমালা এক মিলন মেলার সৃষ্টি করে। নববর্ষের প্রথম প্রভাতে রমনা উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় উচ্ছল জনস্রোতে সৃষ্টি হয় জাতীয় বন্ধন।
ছায়ানটের উদ্যোগে জনাকীর্ণ রমনার বটমূলে রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’-এর মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়। ১৩৭২ বঙ্গাব্দে (১৯৬৫) ছায়ানট প্রথম এ উৎসব শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলার প্রভাতী অনুষ্ঠানে নববর্ষকে সম্ভাষণ জানানো হয়।
এখানকার চারুশিল্পীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, নববর্ষের আহবানকে করে তোলে নয়ন মনোহর এবং গভীর আবেদনময়। এ শোভাযাত্রা উপভোগ করে সব শ্রেণীর মানুষ। দিনটিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, টি.এস.সি এবং চারুকলা ইনস্টিটিউট সহ সমগ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিণত হয় বিশাল জনসমুদ্রে।

Facebook Comments Box