ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিমানে চড়তে পারবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ ৬৯ বার পঠিত

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না- এমন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা গাড়ি-বাড়ি-ফ্ল্যাট ও জমি ইত্যাদি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিমান ভ্রমণ করতে পারবেন না। তারা নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স নিতে পারবেন না। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক অ্যান্ড কোম্পানিজ ফার্মস থেকে কোনো কোম্পানির নিবন্ধন নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকেও কোনো অনুমোদন পাবেন না তারা। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা কোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবেন না।

এ ছাড়া কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি তার সব ঋণ পরিশোধ করার পর ৫ বছর অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা চূড়ান্ত করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওইসব তালিকা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে পাঠাবে। আইন অনুযায়ী, ওইসব দপ্তর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে বিরত থাকবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিমানে চড়তে পারবেন না

আপডেট সময় : ১০:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না- এমন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা গাড়ি-বাড়ি-ফ্ল্যাট ও জমি ইত্যাদি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিমান ভ্রমণ করতে পারবেন না। তারা নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স নিতে পারবেন না। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক অ্যান্ড কোম্পানিজ ফার্মস থেকে কোনো কোম্পানির নিবন্ধন নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকেও কোনো অনুমোদন পাবেন না তারা। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা কোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবেন না।

এ ছাড়া কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি তার সব ঋণ পরিশোধ করার পর ৫ বছর অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা চূড়ান্ত করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওইসব তালিকা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে পাঠাবে। আইন অনুযায়ী, ওইসব দপ্তর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে বিরত থাকবে।

Facebook Comments Box