ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, জাপার বিরোধিতা

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধন বিল ২০২৪ সংসদে কন্ঠভোটে পাশ হয়েছে। এর ফলে স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংসদে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র সদস্যদের ভোটে সংশোধনীসহ আইনটি পাস হয়। তবে, এর বিরোধিতা করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওইদিন নতুন মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সভায় আইনের খসড়াটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

আইনটির বিষয়ে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য সহজে বিচার নিশ্চিত করা। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতারা এমন কোনো অপরাধ করে না, যা ভয়ের কারণ হবে।

বিরোধিতা করে সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই আইনের অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। যারা মাঠে আন্দোলন করছে, তারা এর অপপ্রয়োগ সম্পর্কে ভালো বলতে পারবে।

আইনটি প্রণয়নের সময় আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া, আইনটি স্থায়ী করার ফলে ভবিষ্যতে এর খড়গ ক্ষমতাসীনদের ওপর পড়তে পারে বলেও হুঁশিয়ারী দেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য।

জাতীয় পার্টির অন্য সংসদ সদস্যরা বলেন, সবসময় আওয়ামী লীগের সুদিন থাকবে না। তাই অন্যের জন্য ফাঁদ পাতা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেন তারা।

উল্লেখ্য, বিএনপির আমলে ২০০২ সালে প্রথম অস্থায়ীভাবে দ্রুত বিচার আইনটি প্রণয়ন করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ায়। আগামী ৯ এপ্রিল আইনটির বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগেই স্থায়ী করা হলো বিধানটি। ফলে নতুন করে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন, জাপার বিরোধিতা

আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধন বিল ২০২৪ সংসদে কন্ঠভোটে পাশ হয়েছে। এর ফলে স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংসদে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র সদস্যদের ভোটে সংশোধনীসহ আইনটি পাস হয়। তবে, এর বিরোধিতা করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওইদিন নতুন মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সভায় আইনের খসড়াটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

আইনটির বিষয়ে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য সহজে বিচার নিশ্চিত করা। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতারা এমন কোনো অপরাধ করে না, যা ভয়ের কারণ হবে।

বিরোধিতা করে সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই আইনের অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। যারা মাঠে আন্দোলন করছে, তারা এর অপপ্রয়োগ সম্পর্কে ভালো বলতে পারবে।

আইনটি প্রণয়নের সময় আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া, আইনটি স্থায়ী করার ফলে ভবিষ্যতে এর খড়গ ক্ষমতাসীনদের ওপর পড়তে পারে বলেও হুঁশিয়ারী দেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য।

জাতীয় পার্টির অন্য সংসদ সদস্যরা বলেন, সবসময় আওয়ামী লীগের সুদিন থাকবে না। তাই অন্যের জন্য ফাঁদ পাতা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেন তারা।

উল্লেখ্য, বিএনপির আমলে ২০০২ সালে প্রথম অস্থায়ীভাবে দ্রুত বিচার আইনটি প্রণয়ন করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ায়। আগামী ৯ এপ্রিল আইনটির বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগেই স্থায়ী করা হলো বিধানটি। ফলে নতুন করে আইনটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
Facebook Comments Box