ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পেঁয়াজের দাম কত হওয়া উচিত: প্রশ্ন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ৬২ বার পঠিত

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কত হওয়া উচিত বলে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আজ সোমবার (৪ মার্চ) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল, গত বছর এ সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা, আর এখন ১২০ টাকা। দেশে তো পর্যাপ্ত উৎপাদন হচ্ছে…। এ সময় প্রশ্ন রেখে আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, কৃষি পণ্যে কৃষকেরা দাম পেলে উৎপাদন বাড়বে, এটা খেয়াল রাখতে হবে। এবার তারা মূল্য পাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছি, হাট পর্যায়ে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। গতবছর এ সময়ে অর্ধেক ছিল, এটা ঠিক। কিন্তু কৃষকরা যদি একটু ভালো দাম পায়, তাহলে আগামী বছর এ সময়ে উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। কৃষকরা উৎসাহী হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের কারণে কৃষক যখন দেখে অন্য পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, তখন তুলনা করে পেঁয়াজের দামও বাড়ায়। সে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে এক লিটার তেল কিনতে চায়। সে যখন এক লিটার তেল কিনতে না পারে, তখন যৌক্তিকভাবে তারটা বৃদ্ধি করে। এজন্য পেঁয়াজের দামটা গত বছরের চেয়ে বেশি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং চলছে। আপনারাও বাজারে যাবেন, আমিও বাজারে যাবো দরকার হলে। ১৬৩ টাকায় তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকায় ভোক্তারা সমস্যার সম্মুখীন হবে না। আসলে কোনো কিছু ভালো হলে আপনারা প্রচার করেন না। গত একমাস ধরে চালের বাজার যে স্থিতিশীল, তা আপনারা উল্লেখ করছেন না। রমজান উপলক্ষ্যে প্রতেকটা পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই, যেহেতু সরবরাহ ঠিক রয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

পেঁয়াজের দাম কত হওয়া উচিত: প্রশ্ন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কত হওয়া উচিত বলে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আজ সোমবার (৪ মার্চ) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল, গত বছর এ সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা, আর এখন ১২০ টাকা। দেশে তো পর্যাপ্ত উৎপাদন হচ্ছে…। এ সময় প্রশ্ন রেখে আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, কৃষি পণ্যে কৃষকেরা দাম পেলে উৎপাদন বাড়বে, এটা খেয়াল রাখতে হবে। এবার তারা মূল্য পাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছি, হাট পর্যায়ে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। গতবছর এ সময়ে অর্ধেক ছিল, এটা ঠিক। কিন্তু কৃষকরা যদি একটু ভালো দাম পায়, তাহলে আগামী বছর এ সময়ে উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। কৃষকরা উৎসাহী হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের কারণে কৃষক যখন দেখে অন্য পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, তখন তুলনা করে পেঁয়াজের দামও বাড়ায়। সে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে এক লিটার তেল কিনতে চায়। সে যখন এক লিটার তেল কিনতে না পারে, তখন যৌক্তিকভাবে তারটা বৃদ্ধি করে। এজন্য পেঁয়াজের দামটা গত বছরের চেয়ে বেশি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং চলছে। আপনারাও বাজারে যাবেন, আমিও বাজারে যাবো দরকার হলে। ১৬৩ টাকায় তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকায় ভোক্তারা সমস্যার সম্মুখীন হবে না। আসলে কোনো কিছু ভালো হলে আপনারা প্রচার করেন না। গত একমাস ধরে চালের বাজার যে স্থিতিশীল, তা আপনারা উল্লেখ করছেন না। রমজান উপলক্ষ্যে প্রতেকটা পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই, যেহেতু সরবরাহ ঠিক রয়েছে।

Facebook Comments Box