ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, যা বললেন সেই শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪২ বার পঠিত
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার। তিনি দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর’ চেষ্টা করা হচ্ছে।
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার। তিনি দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর’ চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত দশ বছরে আমি অনেক সুনাম কামিয়েছি, আমি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছি, যা তারা মেনে নিতে পারেনি। এখন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা পেছন থেকে আন্দোলনের কলকাঠি নাড়ছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, সবাই তো আন্দোলন করছে না। যাদেরকে আমি পড়াতে রাজি হইনি, বা নিলেও পরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে বের করে দিয়েছি, তারাই এই দলে যোগ দিয়েছে। এক ছাত্রীকে কোচিং থেকে বের করে দেয়ার কারণে একজন অভিভাবক আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।

এর আগে মুরাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কলেজের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন তিনি। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, একদিন আমাকে ডেকে জোর করে মাস্ক খুলে লিপ কিস করে। এরপর পিছন থেকে আমার জামার ভেতর হাত দিয়েছে। তারপর আমাকে ল্যাপটপ দেখায়, ল্যাপটপে পর্ন ছিল। এরপর সে জোর করে আমাকে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভিডিওটা দেখায়। সে আমার পাশে এসে বসতো, হাত ধরতো, ঘাড়ের ওপর হাত রাখতো। এগুলো করতো আর বলতো আমি তো তোমার বাবার মতো, আমি তোমাকে খারাপ কিছু করতে পারি না। আমি যা কিছু করছি তা ভালোই, এগুলো খারাপ কিছু না। তুমি মাইন্ড করো না।

ভুক্তভোগী বলেন, উনি আমাদের সিনিয়র ম্যাথ টিচার (গণিত শিক্ষক)। তার নাম হলো মুরাদ হোসেন সরকার। ক্লাস সিক্সের প্রথম থেকেই ওনার কাছে আমি পড়ি। সে প্রথম দিক থেকেই আমাদের বলতো যে সে আমাদের বাবার মতো। আমি নাকি তার মেয়ে, আমার নাম তার মেয়ের নাম একই। সে আমাকে অনেক আদর করে, আমি নাকি তার কাছে স্পেশাল। প্রত্যেকটা ক্লাসে, প্রতিদিন আমাকে এ কথা বলতো সে। প্রথম দিকে আমাকে অনেক আদর করতো, ভালোভাবেই পড়াতো।

ওই ছাত্রী বলেন, একদিন সে আমার পাশে এসে বসে, আমার হাত ধরে। তারপর একদিন ল্যাপটপে পর্ন দেখায়। আমি প্রথমে ওদিকে তাকাইনি, পরে আমাকে বলে এদিকে তাকাও। আমি প্রথমে কিছু বুঝিনি। পরে আন্দাজ করতে পেরেছি যে এটা খারাপ কিছু। সে আমাকে ফোর্স করে যে এদিকে তাকাও। পরে ৩-৪ মিনিট একটা ভিডিও আমাকে দেখায়। সে পুরো ভিডিওটা দেখানোর পর আমাকে বলে যে, নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে। তুমি নিজেকে সবসময় কন্ট্রোলে রাখবা। পরে রাগ করে আমাকে বলে তুমি বাড়ি চলে যাও।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, যা বললেন সেই শিক্ষক

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার। তিনি দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর’ চেষ্টা করা হচ্ছে।
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার। তিনি দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর’ চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত দশ বছরে আমি অনেক সুনাম কামিয়েছি, আমি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছি, যা তারা মেনে নিতে পারেনি। এখন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা পেছন থেকে আন্দোলনের কলকাঠি নাড়ছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, সবাই তো আন্দোলন করছে না। যাদেরকে আমি পড়াতে রাজি হইনি, বা নিলেও পরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে বের করে দিয়েছি, তারাই এই দলে যোগ দিয়েছে। এক ছাত্রীকে কোচিং থেকে বের করে দেয়ার কারণে একজন অভিভাবক আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।

এর আগে মুরাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কলেজের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন তিনি। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, একদিন আমাকে ডেকে জোর করে মাস্ক খুলে লিপ কিস করে। এরপর পিছন থেকে আমার জামার ভেতর হাত দিয়েছে। তারপর আমাকে ল্যাপটপ দেখায়, ল্যাপটপে পর্ন ছিল। এরপর সে জোর করে আমাকে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভিডিওটা দেখায়। সে আমার পাশে এসে বসতো, হাত ধরতো, ঘাড়ের ওপর হাত রাখতো। এগুলো করতো আর বলতো আমি তো তোমার বাবার মতো, আমি তোমাকে খারাপ কিছু করতে পারি না। আমি যা কিছু করছি তা ভালোই, এগুলো খারাপ কিছু না। তুমি মাইন্ড করো না।

ভুক্তভোগী বলেন, উনি আমাদের সিনিয়র ম্যাথ টিচার (গণিত শিক্ষক)। তার নাম হলো মুরাদ হোসেন সরকার। ক্লাস সিক্সের প্রথম থেকেই ওনার কাছে আমি পড়ি। সে প্রথম দিক থেকেই আমাদের বলতো যে সে আমাদের বাবার মতো। আমি নাকি তার মেয়ে, আমার নাম তার মেয়ের নাম একই। সে আমাকে অনেক আদর করে, আমি নাকি তার কাছে স্পেশাল। প্রত্যেকটা ক্লাসে, প্রতিদিন আমাকে এ কথা বলতো সে। প্রথম দিকে আমাকে অনেক আদর করতো, ভালোভাবেই পড়াতো।

ওই ছাত্রী বলেন, একদিন সে আমার পাশে এসে বসে, আমার হাত ধরে। তারপর একদিন ল্যাপটপে পর্ন দেখায়। আমি প্রথমে ওদিকে তাকাইনি, পরে আমাকে বলে এদিকে তাকাও। আমি প্রথমে কিছু বুঝিনি। পরে আন্দাজ করতে পেরেছি যে এটা খারাপ কিছু। সে আমাকে ফোর্স করে যে এদিকে তাকাও। পরে ৩-৪ মিনিট একটা ভিডিও আমাকে দেখায়। সে পুরো ভিডিওটা দেখানোর পর আমাকে বলে যে, নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে। তুমি নিজেকে সবসময় কন্ট্রোলে রাখবা। পরে রাগ করে আমাকে বলে তুমি বাড়ি চলে যাও।

Facebook Comments Box