যানজট কমাতে আইজিপিকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:১৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৪ বার পঠিত
শুক্রবার সকালে গণভবনে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান ও জার্মানি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ের ফলে রাজধানীর যানজট অনেকটা সহনশীল হয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্যাম কমাতে আরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। গতকালই আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে, বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি ট্রাফিক লাইটগুলো সচল করে যানবাহন এক ধরনের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছি।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান ও জার্মানি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যানজটের বিষয়ে এ পদ্ধতি খুব শিঘ্রই চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে যানজটের অতিরিক্ত চাপ ছিল। এখন সে চাপ নেই। কাজেই এখন ট্রাফিক লাইট পদ্ধতিতে চলে যাওয়া সহজ হবে। তবে, সেক্ষেত্রেও বেশিক্ষণ নয়। অল্প, সময় ধরে রেখে রেখে ছাড়তে হবে। যাতে, মানুষ চলমান থাকে তাহলে তারা বিরক্ত হবে না, আর যানজটের অনুভূতিটাও হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল তৈরীর আগে নানা মানুষ নানা ধরনের কথা বলেছে। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে কেন মেট্রো বানাচ্ছি এ ব্যাপারেও তুমুল টকশো হয়েছে।
সেগুলো প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন জানিয়ে বলেন, তাদের ভাষ্য ছিল, ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েই যানজট নিরসন করা যেত। তাহলে এতো টাকা খরচ করে মেট্রো কেনো? তবে, যারা এই আলোচনা করেছেন তারা এখন কী বলছে আমি সেটা জানতে চাই।
যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে তাদেরও দ্রব্যমূল্য অবৈধ মজুদে কিছু কারসাজি আছে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগেও এমন হয়েছে যে, পেঁয়াজের খুব অভাব। কিন্তু পরে দেখা গেলো বস্তা বস্তা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এমন লোকদেরকে গণধোলাই দেয়া উচিত। কারণ সরকার কিছু করতে বললে, সরকারের দোষ হবে। তারথেকে পাবলিক যদি এটার প্রতিকার করে তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবেনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর আগেও ভাতের হাহাকার ছিল। ভিক্ষুকরা তখন ভাত আর ভাতের ফেন ভিক্ষা চাইতো। এখন তো তা নেই। আগে মানুষ গরীব ছিলো। একবেলা ভাত জুটতো কপালে। এখন কিন্তু তা নেই।
দেশে যথেষ্ঠ পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোন কোন এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতে বাহির থেকে পেঁয়াজ আনতে হবে না।
তবে আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, আমদানির কথা বলতে হয় এখানেও কিছু কারণ রয়েছে। তারমধ্যে মূল কারণ হচ্ছে, যারা এগুলো অবৈধভাবে লুকিয়ে থাকে তারা যেন সেগুলো বের করে। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এটা বাস্তবতা। এখানে লুকোনোর কিছু নেই।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর আজ প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জার্মানি সফর, ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের নানা অভিজ্ঞতা জানান তিনি।