ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীতে আরেক শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৯৩ বার পঠিত

অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিন আয়হামের

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে বুক খালি হলো আরেক মায়ের। ইউনাইটেড হাসপাতালের ঘটনারই যেনো পুনরাবৃত্তি হলো মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে।

অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিন আয়হামের । ঘটনার পরই চম্পট দিয়েছে যার দিকে অভিযোগের তীর সেই ডা. এস এম মুক্তাদির (অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন)।

স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেয়া হয় আয়হামকে। পরে তার তার জ্ঞান ফেরেনি।

আয়হামকে সুন্নতে খতনা করাতে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ভর্তি করা হয় মালিবাগের  অবস্থিত জে এস ডায়াগোনেস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেককাপ সেন্টারে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, অ্যানেস্থেসিয়া দিতে নিষেধ করার পরও সেটি শরীরে পুশ করেন ডাক্তার মুক্তাদির। তার অভিযোগ, এই মৃত্যুর দায় মাক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তপক্ষ সবারই।

ফখরুল আলম বলেন, আমি বারবার পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেশিয়া না দেয়া হয়।

প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা খায়কুন নাহার চুমকি।

ঘটনার পরই ডায়াগোনেস্টির সেন্টার থেকে উধাও হয়ে যান, অর্থোপেডিক ডা. মুক্তাদির। যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সংযুক্ত বলে জানা গেছে।

গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলো আয়ান।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীতে আরেক শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে বুক খালি হলো আরেক মায়ের। ইউনাইটেড হাসপাতালের ঘটনারই যেনো পুনরাবৃত্তি হলো মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে।

অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিন আয়হামের । ঘটনার পরই চম্পট দিয়েছে যার দিকে অভিযোগের তীর সেই ডা. এস এম মুক্তাদির (অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন)।

স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেয়া হয় আয়হামকে। পরে তার তার জ্ঞান ফেরেনি।

আয়হামকে সুন্নতে খতনা করাতে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ভর্তি করা হয় মালিবাগের  অবস্থিত জে এস ডায়াগোনেস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেককাপ সেন্টারে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, অ্যানেস্থেসিয়া দিতে নিষেধ করার পরও সেটি শরীরে পুশ করেন ডাক্তার মুক্তাদির। তার অভিযোগ, এই মৃত্যুর দায় মাক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তপক্ষ সবারই।

ফখরুল আলম বলেন, আমি বারবার পায়ে ধরেছি। আমার ছেলেকে যেন ফুল অ্যানেস্থেশিয়া না দেয়া হয়।

প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা খায়কুন নাহার চুমকি।

ঘটনার পরই ডায়াগোনেস্টির সেন্টার থেকে উধাও হয়ে যান, অর্থোপেডিক ডা. মুক্তাদির। যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সংযুক্ত বলে জানা গেছে।

গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলো আয়ান।

Facebook Comments Box