ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাজার সিন্ডিকেটে সরকার দলীয়রা জড়িত :সেলিমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান

বারবার কথা দিয়েও সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে, এমন অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, রোজা সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজন জড়িত।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ও নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, সামনে রমজান আসছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ জনগণ চিন্তিত। জিনিসপত্রের দাম আগুন ছোঁয়া। সরকার প্রতিদিন বলছে দাম কমাবে কিন্তু দাম কমে না। এই সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে সেলিমা বলেন, দ্রব্যমূল্যের আগুন ছোঁয়া দাম। একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে তার পরিবারকে খাওয়াতে পারবে? সরকার প্রতিদিন বলছে, জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। আমি বলছি ওরা কমাবে না। তাদের সিন্ডিকেট দাম কমাবে না এবং তারা সিন্ডিকেটকে কিছু বলবে না।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এখন থেকে আমরা লড়াই করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্ত করবো। এই লড়াই আমাদের চলছে, আন্দোলনও চলছে। আজকে কোথাও আইনের বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ পদদলিত হয়েছে।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদও করতে পারে না। আজকে মহান ভাষা দিবসে মাসেও তারা কোনো কথা বলতে পারছে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কারাগারে গিয়েছেন বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী।

বিক্ষোভে সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করে সেলিমা রহমান বলেন, আজকে জনগণ দেখছে ওদের দখলদারিত্ব। কীভাবে একজন নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান দখল করা হচ্ছে। তাকে তো অপমান করেছেই, গ্রামীণের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করেছে, দখলদারিত্বে সরকার নজির সৃষ্টি করেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইউনূস সম্পর্কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তার (মুহাম্মদ ইউনুস) পক্ষে বিদেশে প্রায় তিনশ’ গণ্যমান্য ব্যক্তি বিবৃতি দিলেন, তার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমি আর আপনি কোথায় আছি বাংলাদেশে? আমি-আপনি কোথাও নাই।

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের আবদুল্লাহহিল বাকী, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হকসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাজার সিন্ডিকেটে সরকার দলীয়রা জড়িত :সেলিমা

আপডেট সময় : ১১:১৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বারবার কথা দিয়েও সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে, এমন অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, রোজা সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজন জড়িত।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ও নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, সামনে রমজান আসছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ জনগণ চিন্তিত। জিনিসপত্রের দাম আগুন ছোঁয়া। সরকার প্রতিদিন বলছে দাম কমাবে কিন্তু দাম কমে না। এই সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে সেলিমা বলেন, দ্রব্যমূল্যের আগুন ছোঁয়া দাম। একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে তার পরিবারকে খাওয়াতে পারবে? সরকার প্রতিদিন বলছে, জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। আমি বলছি ওরা কমাবে না। তাদের সিন্ডিকেট দাম কমাবে না এবং তারা সিন্ডিকেটকে কিছু বলবে না।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এখন থেকে আমরা লড়াই করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্ত করবো। এই লড়াই আমাদের চলছে, আন্দোলনও চলছে। আজকে কোথাও আইনের বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ পদদলিত হয়েছে।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদও করতে পারে না। আজকে মহান ভাষা দিবসে মাসেও তারা কোনো কথা বলতে পারছে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কারাগারে গিয়েছেন বিএনপি অসংখ্য নেতাকর্মী।

বিক্ষোভে সমাবেশে সরকারের সমালোচনা করে সেলিমা রহমান বলেন, আজকে জনগণ দেখছে ওদের দখলদারিত্ব। কীভাবে একজন নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান দখল করা হচ্ছে। তাকে তো অপমান করেছেই, গ্রামীণের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করেছে, দখলদারিত্বে সরকার নজির সৃষ্টি করেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইউনূস সম্পর্কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তার (মুহাম্মদ ইউনুস) পক্ষে বিদেশে প্রায় তিনশ’ গণ্যমান্য ব্যক্তি বিবৃতি দিলেন, তার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমি আর আপনি কোথায় আছি বাংলাদেশে? আমি-আপনি কোথাও নাই।

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের আবদুল্লাহহিল বাকী, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হকসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Facebook Comments Box