গোলাগুলি বন্ধ হলেও উৎকন্ঠা কমেনি সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের মানুষের
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫৭ বার পঠিত
বিদ্রোহীদের আক্রমণে টিকতে না পেরে, বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সেনাসহ, বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের সদস্যরা
মিয়ানমারের আভ্যন্তরীন যুদ্ধ কিংবা গৃহযুদ্ধ যে নামেই বলা হোক না কেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মনে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর বাসিন্দারা এখনো সন্দেহ সংশয়ে দিন কাটাচ্ছে। বাজারসংলগ্ন হিন্দুপাড়া। সেখান থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে কাঁটাতার ঘেঁষে ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) তুমব্রু রাইট ক্যাম্প সীমান্তচৌকি। বিজিপিকে হটিয়ে এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি সেখানে অবস্থান নিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে গোলাগুলি নেই। এরপরও আতঙ্ক কাটছে না সীমান্তঘেঁষা পাড়ার বাসিন্দাদের। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সংঘাত শুরুর পর আতঙ্কে অনেকে পাড়া ছেড়ে আত্মীয়স্বজনসহ অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। গোলাগুলি কমলে আবার ফিরেও আসেন তারা।
এদিকে, মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ ৩৩০ জন নাগরিককে আগামীকাল ফেরত পাঠানো হবে। বুধবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তায় বলা হয়,বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ, ৩৩০ জনকে বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে, কক্সবাজারের ইনানীর নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটায়, দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিদ্রোহীদের আক্রমণে টিকতে না পেরে, বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সেনাসহ, বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের সদস্যরা।
তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করা মিয়ানমারের বিজিপি কিংবা সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা ? এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিশ্লেষক মহলেও বইছে আন্তর্জাতিক আইনের ও ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির চুলচেরা বিশ্লেষন। এবিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক মিশন প্রধান অবসর প্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম মনে করেন, ব্যবস্থা নিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ব্যাহত হতে পারে। তাই সীমান্ত সংঘাত এড়িয়ে এ অঞ্চলের শান্তি ও সুরক্ষার প্রশ্নে সহজ সমাধানই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।