ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বিমানবন্দর থেকে গায়েব ৫৫ কেজি স্বর্ণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৩ বার পঠিত
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লকার থেকে সাড়ে ৫৫কেজির বেশি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ার ঘটনা ফাঁস হবার দুদিন পরও এনিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। তবে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ গায়েবের এ ঘটনায় অন্তত তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে রোববার রাতেই উত্তরার বিমানবন্দর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের হয়। এতে চারজনের নাম ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা এ পর্যন্ত আট জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
তাদের মধ্যে দুজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং একজন শুল্ক বিভাগের সিপাহী এই চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। স্বর্ণ চুরির এই ঘটনা শনিবার ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে এলেও বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রবিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) ।
বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের গুদামে স্বর্ণের হিসাব খতিয়ে দেখে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ গায়েব হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। বিমানবন্দরে গত তিন বছরে জব্দ হওয়া স্বর্ণ শুল্ক বিভাগের ঐ গুদামে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি জানাজানির পর বিমানবন্দরের মতো সংরক্ষিত এলাকা থেকে কীভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটল, এবং সেটি ছাড়াও আরও নানা ধরণের প্রশ্ন উঠেছে।
স্বর্ণ জব্দ হওয়ার পর এর তালিকা তৈরি করে সেগুলো শুল্ক বিভাগের গুদামে রাখার নির্দেশনা আছে। বিমানবন্দরে জব্দ স্বর্ণ কোথায় রাখা হয় : বিমানবন্দরে সাধারণত তিন ক্যাটাগরিতে সোনা উদ্ধার হয়। প্রথমত, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে বৈধ পরিমাণের চাইতে অতিরিক্ত স্বর্ণ জব্দ করা হয়। দ্বিতীয়ত, শুল্কের জন্য সাময়িকভাবে আটক করা স্বর্ণ যার শুল্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তৃতীয়ত চোরাচালানের মাধ্যমে এবং বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ। এই তিন ক্যাটাগরিতে জব্দ করা স্বর্ণ বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নিচতলার শুল্ক বিভাগের গুদামে সংরক্ষণ করা হয়।
বিমানবন্দরের পরিচালক মিরাজ হোসেন জানিয়েছেন, স্বর্ণ জব্দ হওয়ার পর এর তালিকা তৈরি করে সেগুলো শুল্ক বিভাগের গুদামে রাখার নির্দেশনা আছে। তালিকার একটি কপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠাতে হয়। কাস্টমস কমিশনারের দায়িত্ব প্রতি মাসে গুদামে সংরক্ষিত স্বর্ণ তালিকা অনুযায়ী ঠিক আছে কি না তা তদারকি করা।
সেই তদারকির একটি প্রতিবেদনও এনবিআর-এর কাছে পাঠাতে হয়। অনেক সময় দীর্ঘদিন ভল্টে সোনা ফেলে রাখা হলে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। তাই স্বর্ণ জব্দ হওয়ার পর যতো দ্রুত সম্ভব বা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। যেসব স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়, সেক্ষেত্রে আদালতে বিচারকাজ শেষে এই স্বর্ণ কোথায় থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাধারণত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটক স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে অস্থায়ী খাতে জমা থাকে এতো পরিমাণ স্বর্ণ কেন জমে ছিল : মামলার তদন্ত তদারকিতে যুক্ত উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সবশেষ এই স্বর্ণ লোপাটের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন স্বর্ণের নিরাপত্তায় যেসব নিয়ম রয়েছে তার কোন তোয়াক্কা করা হয়নি।
স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে ২০২০ সাল থেকে জব্দ হওয়া স্বর্ণ শুল্ক বিভাগের গুদামে রেখে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ভল্টে জমা দেয়ার জন্য স্বর্ণের তালিকাও তৈরি করা হয়নি। শুল্ক বিভাগের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এত বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন ইসলাম।
পুলিশের দাবি, স্বর্ণ চুরির বিষয়টি শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত মাসেই টের পেয়েছিলেন। শুরুতে তারা সাম্প্রতিক কয়েকটি চালানের মাধ্যমে জমা হওয়া স্বর্ণের বারের হদিস পাচ্ছিলেন না। এরপর তারা গুদামে সংরক্ষিত মালামাল কাগজপত্রের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার উদ্যোগ নেন।
এরপর শনিবার হঠাৎ একটি লকার ভাঙা বলে তারা পুলিশে খবর দেন। দাবি করা হয় স্বর্ণ চুরি গিয়েছে। যদিও স্বর্ণ চুরির ঘটনাটিকে ‘নাটক’ বলে মনে করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এতো পরিমাণ স্বর্ণ গায়েব হল কীভাবে : মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত দোসরা সেপ্টেম্বর কাস্টমস হাউজের গুদাম কর্মকর্তা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, বিমানবন্দর লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডস-সংলগ্ন ট্রানজিট গোডাউন টিজিআর-১-এর গুদামের ভেতরে প্রবেশ করে তিনি দেখতে পান, মূল্যবান পণ্য সংগ্রহের জন্য গুদামে রাখা একটি স্টিলের আলমারির দরজার লক ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
এর আগের রাতে প্রতিদিনের মতো আটক করা পণ্য টিজিআর ১-এ জমা করে কাজ শেষে আনুমানিক রাত ১২টা ১৫ মিনিটে গোডাউনে তালা বন্ধ করে চাবি নিয়ে চারজন কর্মকর্তা একসঙ্গে বিমানবন্দর কাস্টমস এলাকা ত্যাগ করেন। পুলিশ বলছে, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ভেতরে একটি স্টিলের আলমারির লক ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান এবং গোডাউনের পূর্বপাশের ওপরের দিকে এসির বাতাস বের হওয়ার টিনের কিছু অংশ কাটা দেখতে পান।
পরে অনুসন্ধানে চুরির বিষয়টি সামনে আসে। দোসরা সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে যে কোন সময় ‘কে বা কারা সোনার বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায়’ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বিবিসি
সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/০৫ সেপ্টম্বর ২০২৩
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বিমানবন্দর থেকে গায়েব ৫৫ কেজি স্বর্ণ!

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লকার থেকে সাড়ে ৫৫কেজির বেশি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ার ঘটনা ফাঁস হবার দুদিন পরও এনিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। তবে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ গায়েবের এ ঘটনায় অন্তত তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে রোববার রাতেই উত্তরার বিমানবন্দর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের হয়। এতে চারজনের নাম ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা এ পর্যন্ত আট জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
তাদের মধ্যে দুজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং একজন শুল্ক বিভাগের সিপাহী এই চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। স্বর্ণ চুরির এই ঘটনা শনিবার ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে এলেও বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রবিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) ।
বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের গুদামে স্বর্ণের হিসাব খতিয়ে দেখে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ গায়েব হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। বিমানবন্দরে গত তিন বছরে জব্দ হওয়া স্বর্ণ শুল্ক বিভাগের ঐ গুদামে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি জানাজানির পর বিমানবন্দরের মতো সংরক্ষিত এলাকা থেকে কীভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটল, এবং সেটি ছাড়াও আরও নানা ধরণের প্রশ্ন উঠেছে।
স্বর্ণ জব্দ হওয়ার পর এর তালিকা তৈরি করে সেগুলো শুল্ক বিভাগের গুদামে রাখার নির্দেশনা আছে। বিমানবন্দরে জব্দ স্বর্ণ কোথায় রাখা হয় : বিমানবন্দরে সাধারণত তিন ক্যাটাগরিতে সোনা উদ্ধার হয়। প্রথমত, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে বৈধ পরিমাণের চাইতে অতিরিক্ত স্বর্ণ জব্দ করা হয়। দ্বিতীয়ত, শুল্কের জন্য সাময়িকভাবে আটক করা স্বর্ণ যার শুল্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তৃতীয়ত চোরাচালানের মাধ্যমে এবং বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ। এই তিন ক্যাটাগরিতে জব্দ করা স্বর্ণ বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নিচতলার শুল্ক বিভাগের গুদামে সংরক্ষণ করা হয়।
বিমানবন্দরের পরিচালক মিরাজ হোসেন জানিয়েছেন, স্বর্ণ জব্দ হওয়ার পর এর তালিকা তৈরি করে সেগুলো শুল্ক বিভাগের গুদামে রাখার নির্দেশনা আছে। তালিকার একটি কপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠাতে হয়। কাস্টমস কমিশনারের দায়িত্ব প্রতি মাসে গুদামে সংরক্ষিত স্বর্ণ তালিকা অনুযায়ী ঠিক আছে কি না তা তদারকি করা।
সেই তদারকির একটি প্রতিবেদনও এনবিআর-এর কাছে পাঠাতে হয়। অনেক সময় দীর্ঘদিন ভল্টে সোনা ফেলে রাখা হলে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। তাই স্বর্ণ জব্দ হওয়ার পর যতো দ্রুত সম্ভব বা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। যেসব স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়, সেক্ষেত্রে আদালতে বিচারকাজ শেষে এই স্বর্ণ কোথায় থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাধারণত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটক স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে অস্থায়ী খাতে জমা থাকে এতো পরিমাণ স্বর্ণ কেন জমে ছিল : মামলার তদন্ত তদারকিতে যুক্ত উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সবশেষ এই স্বর্ণ লোপাটের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন স্বর্ণের নিরাপত্তায় যেসব নিয়ম রয়েছে তার কোন তোয়াক্কা করা হয়নি।
স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে ২০২০ সাল থেকে জব্দ হওয়া স্বর্ণ শুল্ক বিভাগের গুদামে রেখে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ভল্টে জমা দেয়ার জন্য স্বর্ণের তালিকাও তৈরি করা হয়নি। শুল্ক বিভাগের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এত বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন ইসলাম।
পুলিশের দাবি, স্বর্ণ চুরির বিষয়টি শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত মাসেই টের পেয়েছিলেন। শুরুতে তারা সাম্প্রতিক কয়েকটি চালানের মাধ্যমে জমা হওয়া স্বর্ণের বারের হদিস পাচ্ছিলেন না। এরপর তারা গুদামে সংরক্ষিত মালামাল কাগজপত্রের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার উদ্যোগ নেন।
এরপর শনিবার হঠাৎ একটি লকার ভাঙা বলে তারা পুলিশে খবর দেন। দাবি করা হয় স্বর্ণ চুরি গিয়েছে। যদিও স্বর্ণ চুরির ঘটনাটিকে ‘নাটক’ বলে মনে করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এতো পরিমাণ স্বর্ণ গায়েব হল কীভাবে : মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত দোসরা সেপ্টেম্বর কাস্টমস হাউজের গুদাম কর্মকর্তা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, বিমানবন্দর লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডস-সংলগ্ন ট্রানজিট গোডাউন টিজিআর-১-এর গুদামের ভেতরে প্রবেশ করে তিনি দেখতে পান, মূল্যবান পণ্য সংগ্রহের জন্য গুদামে রাখা একটি স্টিলের আলমারির দরজার লক ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
এর আগের রাতে প্রতিদিনের মতো আটক করা পণ্য টিজিআর ১-এ জমা করে কাজ শেষে আনুমানিক রাত ১২টা ১৫ মিনিটে গোডাউনে তালা বন্ধ করে চাবি নিয়ে চারজন কর্মকর্তা একসঙ্গে বিমানবন্দর কাস্টমস এলাকা ত্যাগ করেন। পুলিশ বলছে, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ভেতরে একটি স্টিলের আলমারির লক ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান এবং গোডাউনের পূর্বপাশের ওপরের দিকে এসির বাতাস বের হওয়ার টিনের কিছু অংশ কাটা দেখতে পান।
পরে অনুসন্ধানে চুরির বিষয়টি সামনে আসে। দোসরা সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে যে কোন সময় ‘কে বা কারা সোনার বার ও স্বর্ণালংকার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায়’ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বিবিসি
সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/০৫ সেপ্টম্বর ২০২৩
Facebook Comments Box