ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

হংকংয়ে খেলতে না পারার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেসি

ক্রীড়াঙ্গন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৪ বার পঠিত

লিওনেল মেসি

হংকংয়ে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে সফর করলেও প্রীতি ম্যাচে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। তাতে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির সরকার। বিশ্বকাপজয়ী তারকা না থাকায় দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে হতাশাও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ম্যাচে মেসি কেন খেলতে পারেননি মঙ্গলবার সেসবের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে।

বেঞ্চে থাকার পরেও মেসি না খেলায় হংকংয়ের দর্শকরা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কারণ, সরকারিভাবে দ্য মেজর স্পোর্টস ইভেন্টস কমিটি (এমএসইসি) এই ম্যাচটির জন্য ১৫ মিলিয়ন হংক ডলার অর্থায়নের অনুমোদন করেছিল। তার সঙ্গে ভেন্যুর জন্য অনুদান ছিল ১ মিলিয়ন হংক ডলার। মেসিকে না পেয়ে ম্যাচের সময়ই ‘রিফান্ড’ বলে চেঁচিয়েছেন দর্শকরা। মঙ্গলবার মেসি দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক আমি হংকংয়ে খেলতে পারিনি। ফুটবলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমনটা হয়ে থাকে। ম্যাচ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন অনেক সময় খেলা সম্ভব হয় না।’
অনেক দূরে সফর করলে সেখানে খেলার ভীষণ আগ্রহ থাকে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর। সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘এসব ম্যাচে আমি অংশগ্রহণ করতে ভীষণ উন্মুখ হয়ে থাকি। কারণ এত দূর সফর করে যেহেতু আসা, লোকজনও আমাদের খেলা দেখতে চায়। আশা করবো, পরে এখানে এসে হংকংয়ে যেন একটা ম্যাচ খেলতে পারি।’

হংকংয়ে না খেললেও ৩৬ বছর বয়সী সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার শেষ দিকে বদলি হয়ে ৬ মিনিট খেলেছিলেন। ওই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি তখন নেমেছি নিজের অবস্থা দেখার জন্য। তার পর একটি এমআরআই করি সেখানে দেখা যায় আমারে পেশি ফুলে আছে।’

হংকংয়ের পর মেসিদের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচ বুধবার জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে। জাপানের ওই ম্যাচে নিজের অংশগ্রহণ নিয়ে মেসি নিশ্চয়তা দিতে পারেননি, ‘আমি এখনও জানি না খেলতে পারবো কিনা। আগের তুলনায় অনেক ভালোবোধ করছি। তবে আমি খেলতে চাই।’

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

হংকংয়ে খেলতে না পারার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেসি

আপডেট সময় : ১০:৪৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হংকংয়ে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে সফর করলেও প্রীতি ম্যাচে খেলা হয়নি লিওনেল মেসির। তাতে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির সরকার। বিশ্বকাপজয়ী তারকা না থাকায় দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে হতাশাও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ম্যাচে মেসি কেন খেলতে পারেননি মঙ্গলবার সেসবের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে।

বেঞ্চে থাকার পরেও মেসি না খেলায় হংকংয়ের দর্শকরা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কারণ, সরকারিভাবে দ্য মেজর স্পোর্টস ইভেন্টস কমিটি (এমএসইসি) এই ম্যাচটির জন্য ১৫ মিলিয়ন হংক ডলার অর্থায়নের অনুমোদন করেছিল। তার সঙ্গে ভেন্যুর জন্য অনুদান ছিল ১ মিলিয়ন হংক ডলার। মেসিকে না পেয়ে ম্যাচের সময়ই ‘রিফান্ড’ বলে চেঁচিয়েছেন দর্শকরা। মঙ্গলবার মেসি দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক আমি হংকংয়ে খেলতে পারিনি। ফুটবলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমনটা হয়ে থাকে। ম্যাচ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন অনেক সময় খেলা সম্ভব হয় না।’
অনেক দূরে সফর করলে সেখানে খেলার ভীষণ আগ্রহ থাকে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর। সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘এসব ম্যাচে আমি অংশগ্রহণ করতে ভীষণ উন্মুখ হয়ে থাকি। কারণ এত দূর সফর করে যেহেতু আসা, লোকজনও আমাদের খেলা দেখতে চায়। আশা করবো, পরে এখানে এসে হংকংয়ে যেন একটা ম্যাচ খেলতে পারি।’

হংকংয়ে না খেললেও ৩৬ বছর বয়সী সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার শেষ দিকে বদলি হয়ে ৬ মিনিট খেলেছিলেন। ওই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি তখন নেমেছি নিজের অবস্থা দেখার জন্য। তার পর একটি এমআরআই করি সেখানে দেখা যায় আমারে পেশি ফুলে আছে।’

হংকংয়ের পর মেসিদের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচ বুধবার জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে। জাপানের ওই ম্যাচে নিজের অংশগ্রহণ নিয়ে মেসি নিশ্চয়তা দিতে পারেননি, ‘আমি এখনও জানি না খেলতে পারবো কিনা। আগের তুলনায় অনেক ভালোবোধ করছি। তবে আমি খেলতে চাই।’

Facebook Comments Box