ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

পাবনায় গরু চুরি আতঙ্কে রাতভর পাহারায় গ্রামবাসী

পাবনা প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১২ বার পঠিত

গরু চুরির আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের মানুষ। প্রায় এক মাস আগে গরু চুরি করতে আসা তিন যুবক গণধোলাইয়ে নিহত হওয়ার পরে হঠাৎ করে গরু চোরেরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিরাতেই গরু চুরি করতে আসছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটছে গরু মালিকদের।

জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা গ্রামে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসী চোরদের ধাওয়া করলে তিন চোর উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে গণধোলাইয়ে নিহত হয়। নিহতদের সবাই চুরি ডাকাতি ও হত্যাসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি ছিল। তবে এই ঘটনার পরেই হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু চুরির উপদ্রব বেড়ে গেছে। গত ২২ জানুয়ারি রাতে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামে দুটি মহিষ চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় মহিষ রেখে পালিয়ে যায় চোর।

এর তিনদিন পর একই ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামে চারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চোক্র। গত বুধবার রাতে হেলেঞ্চা গ্রামে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় মালিকের চিৎকারে এলাকাবাসী ধাওয়া করলে চোর গরু রেখে পালিয়ে যায়। একইদিন উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে রজব সরকারের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় চোর পালিয়ে যায়।

অষ্টমনিষা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান মজির হোসেন বলেন, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চোরেরা গরু চুরি করতে আসে। এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। তবে পালাতে গিয়ে তারা সামনে পড়া মানুষকে বিভিন্ন হুমকি দেয় ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতে করে।

খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠু বলেন, প্রতিটি গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কে চেক পোস্ট বসিয়েছি। পুলিশ সহযোগিতা করছে। এতে কিছুটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, চুরির উপদ্রব ঠেকাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব পাহারায় পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করছে। এছাড়া পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

পাবনায় গরু চুরি আতঙ্কে রাতভর পাহারায় গ্রামবাসী

আপডেট সময় : ১১:১০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গরু চুরির আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের মানুষ। প্রায় এক মাস আগে গরু চুরি করতে আসা তিন যুবক গণধোলাইয়ে নিহত হওয়ার পরে হঠাৎ করে গরু চোরেরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিরাতেই গরু চুরি করতে আসছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটছে গরু মালিকদের।

জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা গ্রামে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসী চোরদের ধাওয়া করলে তিন চোর উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে গণধোলাইয়ে নিহত হয়। নিহতদের সবাই চুরি ডাকাতি ও হত্যাসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি ছিল। তবে এই ঘটনার পরেই হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু চুরির উপদ্রব বেড়ে গেছে। গত ২২ জানুয়ারি রাতে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামে দুটি মহিষ চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় মহিষ রেখে পালিয়ে যায় চোর।

এর তিনদিন পর একই ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামে চারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চোক্র। গত বুধবার রাতে হেলেঞ্চা গ্রামে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় মালিকের চিৎকারে এলাকাবাসী ধাওয়া করলে চোর গরু রেখে পালিয়ে যায়। একইদিন উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে রজব সরকারের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় চোর পালিয়ে যায়।

অষ্টমনিষা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান মজির হোসেন বলেন, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চোরেরা গরু চুরি করতে আসে। এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। তবে পালাতে গিয়ে তারা সামনে পড়া মানুষকে বিভিন্ন হুমকি দেয় ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতে করে।

খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠু বলেন, প্রতিটি গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কে চেক পোস্ট বসিয়েছি। পুলিশ সহযোগিতা করছে। এতে কিছুটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, চুরির উপদ্রব ঠেকাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব পাহারায় পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করছে। এছাড়া পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

Facebook Comments Box