ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

প্রেমের টানে ফিলিপােইনের যুবতি এখন ক্ষেতলালে

সারাবেলা প্রতিবেদন, ক্ষেতলাল
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪৩ বার পঠিত

ক্ষেতলালঃ  প্রেম মানে না কোন বাঁধা তাইতো এবার প্রেমের টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান(৩৭) এর কাছে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৭)। রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ষেতলাল পৌর এলাকায় প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের ভাড়া বাসা  চলে আসেন তিনি। ফিলিপাইনের যুবতী ক্ষেতলালে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে দেখতে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করে।

জানা গেছে, ফিলিপাইন যুবতীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। গত ০২ বছর পূর্ব হইতে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো’র সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাহের উদ্দেশ্যে বিমান যোগে গত ০২ (সেপ্টেম্বর) শনিবার শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় ফিলিপাইন ওই যুবতী।

সেখান থেকে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ী যোগে ০৩ (সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় ফিলিপাইন যুবতীকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে ভাড়া বাসায় পৌঁছায়। পরে বাদ যহর দুজনে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের সময় ওই যুবতীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।

এবিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুজনার মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে খ্রিস্টান ছিলো কিন্তু গত তিন বছর পূর্বে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব চাকুরী করতো সেখান থেকে ভালোবাসার টানে
আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি।

এবিষয়ে ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমান কে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছি। বিবাহ করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।

প্রতিবেশী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, সৌহার্দ্য আমার ছাত্র ছিলো। আজ  জানতে পারি প্রেমের টানে ফিলিপাইন থেকে যুবতি এক মেয়ে তার বাসায় এসেছে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশীরা ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি।

ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানিয়েছে নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমকেজেড/ ৩সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

প্রেমের টানে ফিলিপােইনের যুবতি এখন ক্ষেতলালে

আপডেট সময় : ১১:০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ক্ষেতলালঃ  প্রেম মানে না কোন বাঁধা তাইতো এবার প্রেমের টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান(৩৭) এর কাছে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৭)। রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ষেতলাল পৌর এলাকায় প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের ভাড়া বাসা  চলে আসেন তিনি। ফিলিপাইনের যুবতী ক্ষেতলালে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবদম্পতিকে দেখতে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করে।

জানা গেছে, ফিলিপাইন যুবতীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। গত ০২ বছর পূর্ব হইতে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো’র সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাহের উদ্দেশ্যে বিমান যোগে গত ০২ (সেপ্টেম্বর) শনিবার শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় ফিলিপাইন ওই যুবতী।

সেখান থেকে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ী যোগে ০৩ (সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় ফিলিপাইন যুবতীকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে ভাড়া বাসায় পৌঁছায়। পরে বাদ যহর দুজনে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের সময় ওই যুবতীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।

এবিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুজনার মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে খ্রিস্টান ছিলো কিন্তু গত তিন বছর পূর্বে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব চাকুরী করতো সেখান থেকে ভালোবাসার টানে
আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি।

এবিষয়ে ফিলিপাইন যুবতী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমান কে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছি। বিবাহ করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।

প্রতিবেশী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, সৌহার্দ্য আমার ছাত্র ছিলো। আজ  জানতে পারি প্রেমের টানে ফিলিপাইন থেকে যুবতি এক মেয়ে তার বাসায় এসেছে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশীরা ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি।

ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানিয়েছে নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমকেজেড/ ৩সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box