পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বেশীরভাগ ক্লিনিকের নিবন্ধন হালনাগাদ নেই, প্রশাসন নিরব
- আপডেট সময় : ০৭:০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ৫৩ বার পঠিত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নিবন্ধন হালনাগাদ না থাকা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেনি স্বাস্থ্য প্রশাসন। এতে উপজেলার এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে স্বাস্থ্য সেবার নামে রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে শহরের এসব ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, সরকারি ওষুধ বিক্রি, নিবন্ধন না থাকা ও নিবন্ধন হালনাগাদ না থাকার অভিযোগে জরিমানা ও সিলগালা করে স্বাস্থ্য প্রশাসন। তবে এবার রহস্যজনকভাবেই স্বাস্থ্য প্রশাসন নীরব রয়েছে।
জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরে চারটি ক্লিনিক ও সাতটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ভাঙ্গুড়া বাজারে অবস্থিত নিরাপদ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিউ বড়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ নিবন্ধন রয়েছে।
শহরের শরৎনগর বাজারে অবস্থিত হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে গত অর্থবছরের নিবন্ধন রয়েছে।
অপরদিকে শরৎনগর বাজারের অন্যতম বৃহৎ বড়াল ক্লিনিকে তিন বছর ধরে নিবন্ধন হালনাগাদ নেই।
এছাড়া অন্যান্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিবন্ধনের হালনাগাদ নেই একাধিক বছর। অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এতে বড়াল নদে বর্জ্য ফেলে পানি দূষণ করার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়ায় অবস্থিত বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধন পাওয়ার জন্য শর্তাবলী পূরণ নেই। এরপরেও স্থানীয় ও সিভিল সার্জন অফিসকে ম্যানেজ করে নিবন্ধন বাগিয়ে নিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। হাসপাতাল সম্মুখেই সমতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ছোট্ট একটি কক্ষে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি। সেখানে বুধবার ও বৃহস্পতিবার গিয়ে কোনো টেকনোলজিস্ট পাওয়া যায়নি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উত্তম কুমার নিজেই একজন টেকনোলজিস্ট এর সীল ও স্বাক্ষর দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তম কুমার বলেন, রোগী কম থাকায় সব সময় টেকনোলজিস্ট থাকেন না। এছাড়া যেসব সমস্যা আছে আমার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেসব সমস্যা অন্যান্য বড় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, ভাঙ্গুড়াতে কোন অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেই তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হালনাগাদ নেই। এখনো সিভিল সার্জন অফিসের কোন নির্দেশ পাইনি, নির্দেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা সিভিল সার্জন ডাক্তার দেওয়ান শহীদুল্লাহ বলেন, পাবনা জেলায় ২৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। সব ক্লিনিকের নিবন্ধন রয়েছে। যদিও অনেকের নিবন্ধনের হালনাগাদ নেই। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে সবগুলো ক্লিনিকে ভিজিট করা সম্ভব নয়। তাই সকল ক্লিনিক মালিককে নির্দিষ্ট কিছু সময় দেওয়া হয়েছে নিবন্ধন হালনাগাদের জন্য। তাই অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।