ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

নতুন মন্ত্রিসভার চ্যালেঞ্জ: প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থার অভাবকে দাপিয়ে বেড়াবে অর্থনৈতিক চাপ

সারাবেলা প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ৩৬ বার পঠিত

শপথ গ্রহণের মাধ্যমে পথ চলা শুরু হলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন সরকারের। নির্বাচনের আসন বিজয়ীর সংখ্যার নিরিখে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করল আওয়ামী লীগ। তবে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, নতুন মন্ত্রিসভা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কতটা সক্ষমতা দেখাতে পারবে, সে বিষয়টিই এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। টানা চতুর্থ দফায় আওয়ামী লীগের নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বিশেষ করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানো এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেছেন, নতুন–পুরোনো মিলিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হলেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকবে। এর পেছনে তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, পুরোনোদের মধ্যে ৩০ জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। কিন্তু পুরোনোদের বড় অংশ মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নতুন ১৪ জন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছেন। এর সঙ্গে অর্থ, বাণিজ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সামলে নির্বাচনী ইশতেহার বা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দুর্বলতা ও যোগ্যতার প্রশ্ন আসতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনেকের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকতে পারে। কিন্তু অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়টি নির্ভর করে দলনেতা ও সরকারের কৌশলের ওপর। আর এ বিষয়গুলো হয় প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে। কিন্তু গেল ৭ তারিখে যা হলো তাকে তো নির্বাচনই বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

আর জাহাঙ্গীরনগর বশ্ববিদ্যালয় এর সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, নতুন মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ অনেক। যেখানে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবার বেশি। কারণ অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতি এর পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

নতুন মন্ত্রিসভার চ্যালেঞ্জ: প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থার অভাবকে দাপিয়ে বেড়াবে অর্থনৈতিক চাপ

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

শপথ গ্রহণের মাধ্যমে পথ চলা শুরু হলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন সরকারের। নির্বাচনের আসন বিজয়ীর সংখ্যার নিরিখে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করল আওয়ামী লীগ। তবে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, নতুন মন্ত্রিসভা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কতটা সক্ষমতা দেখাতে পারবে, সে বিষয়টিই এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। টানা চতুর্থ দফায় আওয়ামী লীগের নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বিশেষ করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানো এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেছেন, নতুন–পুরোনো মিলিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হলেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকবে। এর পেছনে তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, পুরোনোদের মধ্যে ৩০ জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন। কিন্তু পুরোনোদের বড় অংশ মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নতুন ১৪ জন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছেন। এর সঙ্গে অর্থ, বাণিজ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সামলে নির্বাচনী ইশতেহার বা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দুর্বলতা ও যোগ্যতার প্রশ্ন আসতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনেকের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকতে পারে। কিন্তু অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়টি নির্ভর করে দলনেতা ও সরকারের কৌশলের ওপর। আর এ বিষয়গুলো হয় প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে। কিন্তু গেল ৭ তারিখে যা হলো তাকে তো নির্বাচনই বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

আর জাহাঙ্গীরনগর বশ্ববিদ্যালয় এর সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, নতুন মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ অনেক। যেখানে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবার বেশি। কারণ অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতি এর পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
Facebook Comments Box