ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

নির্বাচনি বিরোধে গুলিবিদ্ধ ৩০ জনসহ আহত শতাধিক, পুলিশের শতাধিক রাউন্ড গুলি

সুনামগন্জে প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪ ১৬৪ বার পঠিত

দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১০৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচনি বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের অন্তত ৩০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হন। তবে অধিকাংশই পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১০৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রমতে, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। ফের সংঘর্ষের আশংকায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ভিডিও ধারণকালে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিনের দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি মাসুদ রানা পুলিশের মারধরের শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের জেরে গত দুদিন দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার রাতে ঈগল মার্কার সমর্থক পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের আমরু মিয়ার ছেলে শামীম আহমদের সঙ্গে নৌকার সমর্থক নৈনগাঁও গ্রামের আবুল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল মিয়ার সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই পরিস্থিতি শান্ত করে দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়।

বুধবার সকালে আবুল মিয়া দোয়ারাবাজারের নিজ বাসভবনে এলে প্রতিপক্ষ শামীম আহমদের লোকজন হামলা চালায়। এ ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছামাত্র আবুল মিয়ার পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১০৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার তনু জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

পুলিশ সুপার ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

নির্বাচনি বিরোধে গুলিবিদ্ধ ৩০ জনসহ আহত শতাধিক, পুলিশের শতাধিক রাউন্ড গুলি

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচনি বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের অন্তত ৩০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হন। তবে অধিকাংশই পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১০৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রমতে, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। ফের সংঘর্ষের আশংকায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের ভিডিও ধারণকালে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিনের দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি মাসুদ রানা পুলিশের মারধরের শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের জেরে গত দুদিন দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার রাতে ঈগল মার্কার সমর্থক পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের আমরু মিয়ার ছেলে শামীম আহমদের সঙ্গে নৌকার সমর্থক নৈনগাঁও গ্রামের আবুল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল মিয়ার সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই পরিস্থিতি শান্ত করে দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়।

বুধবার সকালে আবুল মিয়া দোয়ারাবাজারের নিজ বাসভবনে এলে প্রতিপক্ষ শামীম আহমদের লোকজন হামলা চালায়। এ ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছামাত্র আবুল মিয়ার পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১০৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে জড়িত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার তনু জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

পুলিশ সুপার ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Facebook Comments Box