প্রকাশ্যে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন, সাঁথিয়া আওয়ামী লীগ নেতা শফির পিস্তল জব্দ
- আপডেট সময় : ০৯:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪ ৪৭৪ বার পঠিত
নির্বাচনী আইন লঙ্ঘণ করে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফির লাইসেন্সকৃত পিস্তল জব্দ করেছে পুলিশ। একই সাথে এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাঁথিয়া থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল বাতেনসহ সমর্থকদের দায়ী করে মামলা হয়।
ঐ মামলার আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে গত শনিবার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বেড়া পৌর মেয়র ও নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান আলী, সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সে মিছিলে শফিকুল ইসলাম শফি কোমরে পিস্তল নিয়ে অংশ নেন।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শফিকে অস্ত্রসহ দেখা গেলে আলোচনা শুরু হয়। এবং মঙ্গলবার সাঁথিয়া থানা পুলিশ শফির কাছ থেকে অস্ত্রটি জব্দ করে এবং সাধারণ ডায়েরি করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে গত ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২১ ডিসেম্বর থেকে ০৯ জানুয়ারী পর্যন্ত সকল বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মু. আসাদুজ্জামান।
শফিকুল ইসলাম নির্দেশনা অমান্য করে লাইসেন্সকৃত পিস্তল প্রদর্শন করেছেন। এতে, অস্ত্র আইন ১৮৭৮ এর লঙ্ঘন হওয়ায় শফিকুল ইসলামের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে, শফিকুল ইসলাম শফিকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন হলে, কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।