মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার সময় আদালতে যা যা ঘটেছে
- আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪ ২৫ বার পঠিত
গ্রামীণ টেলিকমে শ্রম আইন লঙ্ঘনের আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা হয় সোমবার বিকেলের দিকে। রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম আদালত ভবনটি অবশ্য এদিন অনেক আগে থেকেই ব্যাপক পুলিশি পাহারায় মুড়ে দেয়া হয়েছিল।এ মামলার আসামি নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বেলা একটা ৪০ মিনিটের দিকে তার আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন।
আদালতের ঘড়িতে যখন দুপুর দুইটা ১৪ মিনিট, তখন এজলাসে আসেন তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা। রায় ঘোষণার শুরুতেই বিচারক আসামিপক্ষের আগে করা দুইটি আবেদন নামঞ্জুর করেন।
তিনি বলেন,“পুরো রায় পড়ছি না। যতটুকু পড়া যায় ততটুকুই পড়ছি।”। আইনজীবীদের পরে রায়ের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করে নেয়ার জন্য বলেন বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
রায়ে আদালত বলেন, “কলকারখানা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের অনুমতি ব্যতীত কোন চাকুরিবিধি অনুমতি দেয়া যাবে না। গ্রামীণ টেলিকমের নিজস্ব নিয়োগ বিধি করার কোনও সুযোগ নাই।”
“আবার যেগুলো ট্রায়ালে সাবমিট করি নাই সেটা কেন এখানে আসবে? মামলা (কোয়াশমেন্ট) বাতিল চেয়ে করা আবেদনে যেসব শুনানি করেছি তা কেন এখানে আসবে? সেটা আসলেতো আদালত জাজমেন্টাল হয়ে যাবে”, মন্তব্য করেন মামুন।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
রায়ের আগে ও পরে প্রায় দুই ঘন্টার মতো আদালত কক্ষে ছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস-সহ চার আসামি। সাজা ঘোষণার পরও তাকে হাসতে দেখা গেছে।