ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সময়ই বলে দেবে: জিএম কাদের

রংপুর ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪ ২৫ বার পঠিত

সোমবার রংপুর কাচারি বাজার এলাকার আদালতপাড়ায় আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী (লাঙ্গল) জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী (লাঙ্গল) জিএম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি, বরং যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে ২-১টি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। তাদের পক্ষেই তারা কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। অপেক্ষা করুন।

সোমবার দুপুরে রংপুর কাচারি বাজার এলাকার আদালতপাড়ায় আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। এ সময় আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করে লাঙ্গলে ভোট চেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এরপর রংপুর টাউন হলসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণসংযোগ করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ২৬টি আসনে কোনো ভাগাভাগি হয়নি, মহাজোটও হয়নি। এগুলো সব অপপ্রচার। আমরা সব জায়গায় চেয়েছিলাম প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আরেকটা চেয়েছিলাম অস্ত্র, পেশিশক্তি ও অর্থের প্রভাব থেকে নির্বাচনকে সরিয়ে রাখা। তাহলে আমরা নির্বাচন করব। আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে এসব আসনে তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। তারা কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছে। লাঙ্গলের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাহলে জাতীয় পার্টিকে ছাড়টা কোথায় দেওয়া হলো? আমরা তাদের সঙ্গে সব জায়গায় সরাসরি প্রতিযোগিতা করছি। যদি পরিস্থিতি ভালো থাকে, নৌকার সঙ্গে সরাসরি ফাইট করে আমরা অনেক জায়গায় জয়লাভ করতে পারব।

ভোটের মাত্র এক সপ্তাহ আগে একদিনে দেশের পাঁচটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী হয়ে থাকেন না, অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যান। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে প্রার্থীরা অন্য কারও প্ররোচনায় কিংবা সমর্থনে বা আঁতাত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা মেসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।

জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।

গণসংযোগকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিউর রহমান শাফি, কেন্দ্রীয় সদস্য ও রংপুর মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-মামুন, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ।

এছাড়া কেন্দ্রীয়, রংপুর বিভাগ, জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি, যুব সংহতি, ছাত্র সমাজ, শ্রমিক পার্টি, মহিলা পার্টিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সময়ই বলে দেবে: জিএম কাদের

আপডেট সময় : ১১:২৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী (লাঙ্গল) জিএম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি, বরং যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে ২-১টি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। তাদের পক্ষেই তারা কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। অপেক্ষা করুন।

সোমবার দুপুরে রংপুর কাচারি বাজার এলাকার আদালতপাড়ায় আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। এ সময় আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করে লাঙ্গলে ভোট চেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এরপর রংপুর টাউন হলসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণসংযোগ করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ২৬টি আসনে কোনো ভাগাভাগি হয়নি, মহাজোটও হয়নি। এগুলো সব অপপ্রচার। আমরা সব জায়গায় চেয়েছিলাম প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আরেকটা চেয়েছিলাম অস্ত্র, পেশিশক্তি ও অর্থের প্রভাব থেকে নির্বাচনকে সরিয়ে রাখা। তাহলে আমরা নির্বাচন করব। আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে এসব আসনে তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। তারা কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছে। লাঙ্গলের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাহলে জাতীয় পার্টিকে ছাড়টা কোথায় দেওয়া হলো? আমরা তাদের সঙ্গে সব জায়গায় সরাসরি প্রতিযোগিতা করছি। যদি পরিস্থিতি ভালো থাকে, নৌকার সঙ্গে সরাসরি ফাইট করে আমরা অনেক জায়গায় জয়লাভ করতে পারব।

ভোটের মাত্র এক সপ্তাহ আগে একদিনে দেশের পাঁচটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী হয়ে থাকেন না, অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যান। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে প্রার্থীরা অন্য কারও প্ররোচনায় কিংবা সমর্থনে বা আঁতাত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা মেসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।

জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।

গণসংযোগকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিউর রহমান শাফি, কেন্দ্রীয় সদস্য ও রংপুর মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-মামুন, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ।

এছাড়া কেন্দ্রীয়, রংপুর বিভাগ, জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি, যুব সংহতি, ছাত্র সমাজ, শ্রমিক পার্টি, মহিলা পার্টিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Facebook Comments Box