বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু
- আপডেট সময় : ১১:৪৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ৮০ বার পঠিত
দেশে গত বছরের তুলনায় এ বছর বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা কিছুটা কমে আসলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। বরং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে পুলিশ, র্যাব ও কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা। বন্ধ হয়নি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাও।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
র্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর কিছুটা কমে এসেছে বন্দুকযুদ্ধ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
তবে এই দুটি সংস্থার হিসেবেই বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অবিশ্বাস বেড়েছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দুটি সংস্থা থেকেই বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে।
যাতে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেমন- বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এখতিয়ার বহির্ভূত আচরণ ইত্যাদির অভিযোগ উঠলে তা দ্রুততার সাথে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে এবং সম্পৃৃক্তদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।”
এছাড়া কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা কমাতে, কারাগারসমূহের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি যথাযথ তদন্ত করে তার পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচারিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তাদের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচন ও রাজনীতি
দুটি সংস্থার পর্যবেক্ষণেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নানান রকম উদ্বেগ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
আর এমএসএফ বলছে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২০২৩ সালে মারা যায় ৪২ জন এবং আহত হয় প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা আরো বেড়েছে
এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৩ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন পাঁচ জন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে আরো ১২৯ জন। এর মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টার পর হত্যা করা হয় তিন জনকে, ধর্ষণের চেষ্টার কারণে আত্মহত্যা করে তিন জন।
এসব অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকানে সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা নেয়ার সুপারিশ করেছে এমএসএফ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক নির্যাতন
আসকের হিসেবে বছরজুড়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন সংবাদকর্মী। এছাড়াও সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক লাঞ্ছিত ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বাধা প্রদানের শিকার হয়েছেন ২২ জন সাংবাদিক।
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন
আসক মনে করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন করার ন্যায্য অধিকার রয়েছে,কিন্তু সেই আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে শ্রমিক মেরে ফেলা সম্পূর্ণভাবেই শ্রমিক অধিকারের লঙ্ঘন।
সীমান্তে হত্যার চিত্র
দুটি মানবাধিকার সংস্থার পর্যবেক্ষণেই সীমান্ত পরিস্থিতি উঠে এসেছে। যেখানে ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।